প্রাকৃতিক আইনের উদ্ভব হয়-
A
থমাস হবসন, হুগো, গ্রোসিয়াস ও জন লক-এর লেখনী থেকে
B
ম্যাগনা কার্টা থেকে
C
কনফুসিয়ানিজম থেকে
D
গ্রিক, খ্রিস্টান ও মধ্যযুগীয় ধর্মতত্ত্ব থেকে
উত্তরের বিবরণ
প্রাকৃতিক আইন (Natural Law) এমন এক সর্বজনীন নীতি, যা কোনো নির্দিষ্ট সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় আইন বা সামাজিক প্রথার ওপর নির্ভরশীল নয়। এটি মানুষের যুক্তি, ন্যায়বোধ ও নৈতিকতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। প্রাকৃতিক আইনের ধারণা প্রাকৃতিক অধিকারের (Natural Rights) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত, যা মানবজাতির জন্মগত ও অবিচ্ছেদ্য অধিকার হিসেবে বিবেচিত।
মূল ধারণা ও অবদান:
-
জন লক (John Locke): ব্রিটিশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও আধুনিক গণতন্ত্রের জনক জন লক তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “Two Treatises of Government”-এ সামাজিক চুক্তি (Social Contract) মতবাদ বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্র গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের প্রাকৃতিক অধিকার—জীবন, স্বাধীনতা ও সম্পত্তি—রক্ষা করা। এইভাবে তিনি জনগণের সার্বভৌমত্বের ধারণা প্রতিষ্ঠা করেন।
-
থমাস হবস (Thomas Hobbes): লকের মতো তিনিও প্রকৃতির রাজ্য (State of Nature) সম্পর্কে আলোচনা করেন। তবে লক ও হবসের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য ছিল।
-
লকের দৃষ্টিতে প্রকৃতির রাজ্য: সেখানে প্রাকৃতিক আইন বিদ্যমান ছিল, এবং মানুষ তা স্বেচ্ছায় মেনে চলত। প্রকৃতির রাজ্য ছিল শান্তিপূর্ণ ও সম্পদে সমৃদ্ধ। কিন্তু সময়ের সাথে মানুষ নিজস্ব স্বার্থে প্রাকৃতিক আইনের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করতে শুরু করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, যা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করে।
-
অন্যান্য চিন্তাবিদ: হবসন, ভিক্টর হুগো ও জন লক প্রমুখ দার্শনিক তাঁদের লেখনী ও চিন্তার মাধ্যমে প্রাকৃতিক আইনের ধারণাকে আরও গভীর ও বিস্তৃত করেছেন।
সারসংক্ষেপে, প্রাকৃতিক আইন তত্ত্ব মানব সমাজে ন্যায়, নৈতিকতা ও স্বাধীনতার সার্বজনীন ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত, যা আধুনিক গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের তাত্ত্বিক ভিত্তি গড়ে তুলেছে।
0
Updated: 14 hours ago
কোন দেশের জাতীয় সংসদ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট?
Created: 2 months ago
A
মিয়ানমার
B
চীন
C
সিঙ্গাপুর
D
ব্রুনাই
মিয়ানমার (বার্মা)
-
রাজধানী: নেপিদো
-
মুদ্রা: কিয়াট
-
প্রধান ভাষা: বার্মিজ
-
বর্তমান প্রেসিডেন্ট: মিন্ট সোয়ে
-
সীমান্ত রক্ষী বাহিনী: বর্ডার গার্ড পুলিশ (BGP)
-
আইনসভা: দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট
সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক ইতিহাস:
মিয়ানমার ১৯৬২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত প্রায় ৪৭ বছর ধরে জান্তা শাসনের অধীনে ছিল। ২০১১ সালে সামরিক বাহিনী সীমিত ক্ষমতা দিয়ে বেসামরিক সরকারের হাতে নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে। ২০১৫ সালে অং সাং সু চি’র নেতৃত্বে এনএলডি দল নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সাং সু চি ও তার সরকার উৎখাত হয়।
আইনসভা কাঠামো:
মিয়ানমারের আইনসভা দুই কক্ষে বিভক্ত:
-
নিম্নকক্ষ: পিথু হুততাও
-
উচ্চকক্ষ: অ্যামিয়োথা হুততাও
তুলনামূলক তথ্য:
চীন, সিঙ্গাপুর, ও ব্রুনাই-এর আইনসভা এককক্ষ বিশিষ্ট।
উৎস: Britannica
0
Updated: 2 months ago
২০২০ সালে প্রকাশিত 'আইনের শাসন' সূচকে শীর্ষস্থান অর্জনকারী দেশের নাম কী?
Created: 1 day ago
A
ডেনমার্ক
B
নরওয়ে
C
জার্মানি
D
সিঙ্গাপুর
বিশ্ব বিচার প্রকল্প (World Justice Project - WJP) কর্তৃক প্রকাশিত Rule of Law Index 2020 অনুসারে ডেনমার্ক বিশ্বে শীর্ষস্থান অধিকার করে। এই সূচকটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইনের শাসন, দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। মূলত এটি পরিমাপ করে একটি দেশে নাগরিকরা কতটা আইনের সমান সুরক্ষা ভোগ করে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা নিরপেক্ষভাবে আইন প্রয়োগ করে।
প্রধান সূচকসমূহের মধ্যে রয়েছে:
১. আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও নাগরিক অধিকার রক্ষা – রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে আইন মেনে চলার প্রবণতা মূল্যায়ন করা হয়।
২. দুর্নীতির মাত্রা – সরকারি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা বিবেচনা করা হয়।
৩. বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা – আদালতের উপর রাজনৈতিক প্রভাবের অনুপস্থিতি এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার সহজলভ্যতা পরীক্ষা করা হয়।
৪. প্রশাসনিক জবাবদিহিতা ও সুশাসন – সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও নাগরিক সেবার মান বিশ্লেষণ করা হয়।
ডেনমার্ক দীর্ঘদিন ধরেই সুশাসন, স্বচ্ছ প্রশাসন ও কার্যকর বিচারব্যবস্থার জন্য বিশ্বে উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত। দেশটির আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়, দুর্নীতির হার অত্যন্ত কম এবং নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি দৃঢ়।
২০২৪ সালের Rule of Law Index অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলা তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে, যা দেশটির গভীর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্বল বিচারব্যবস্থার প্রতিফলন। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অবস্থান ১২৭তম, যা ২০২০ সালের ১১৫তম অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়েছে—এটি দেশের বিচারিক স্বচ্ছতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।
0
Updated: 1 day ago