"Imperialism, the Highest Stage of Capitalism" বইটি কার লেখা?
A
টমাস হবসন
B
ভি. আই লেনিন
C
কার্ল মার্কস
D
এন্টিনিও গ্রামসি
উত্তরের বিবরণ
লেনিনের তত্ত্ব সম্পূর্ণরূপে অর্থনীতি নির্ভর না হলেও এর কেন্দ্রে অর্থনৈতিক উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি তাঁর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শনের বিশ্লেষণে “Imperialism is the Highest Stage of Capitalism” নামক গ্রন্থের মাধ্যমে পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন। এই রচনা বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার রূপান্তর ও বৈষম্যের ভিত্তি বিশ্লেষণে একটি মার্কসবাদী মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃত।
মূল তথ্যসমূহ:
-
গ্রন্থটির রচয়িতা: ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন (১৮৭০–১৯২৪)
-
প্রকাশকাল: ১৯১৭ সাল
-
মূল বক্তব্য: লেনিনের মতে, সাম্রাজ্যবাদ হলো পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ ও চূড়ান্ত স্তর, যেখানে বড় বড় পুঁজিপতি গোষ্ঠী ও একচেটিয়া প্রতিষ্ঠান (Monopoly Capital) মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপনিবেশ বিস্তারে নিয়োজিত হয়।
-
অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ: তিনি যুক্তি দেন, পুঁজি ও সাম্রাজ্য একে অপরের পরিপূরক; অর্থাৎ, পুঁজিবাদ যখন নিজ দেশের অভ্যন্তরে বাজার সীমায় পৌঁছে যায়, তখন তা নতুন বাজার ও সম্পদ আহরণের জন্য বিদেশে সম্প্রসারণ ঘটায়, যা সাম্রাজ্যবাদের জন্ম দেয়।
-
রাজনৈতিক প্রভাব: এই তত্ত্ব পরবর্তীতে বিশ্বের উপনিবেশবিরোধী আন্দোলন ও সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের জন্য এক তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সারসংক্ষেপে, লেনিনের “Imperialism is the Highest Stage of Capitalism” শুধু অর্থনৈতিক তত্ত্ব নয়, বরং এটি বিশ্ব রাজনীতি, শ্রেণি সংগ্রাম ও উপনিবেশবাদ বোঝার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী গ্রন্থ, যা পুঁজিবাদের প্রকৃত স্বরূপ ও তার বৈশ্বিক পরিণতি উন্মোচন করে।
0
Updated: 14 hours ago
'দ্যা আইডিয়া অব জাস্টিস' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
মার্থা ন্যুসবাম
B
জোসেফ স্টিগলিটজ
C
অমর্ত্য সেন
D
জন রাউলস
অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)
-
অমর্ত্য সেন একজন ভারতীয় বাঙালি অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক, যিনি ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
-
তিনি দারিদ্র ও দুর্ভিক্ষের সমস্যা নিয়ে গভীর গবেষণার জন্য বিশ্বব্যাপী সম্মানিত।
-
অমর্ত্য সেন হার্ভার্ড সোসাইটি অফ ফেলোস, ট্রিনিটি কলেজ, অক্সফোর্ড, এবং ক্যামব্রিজের সিনিয়র ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।
-
১৯৯৮ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের মাস্টার ছিলেন।
-
তিনি ইকোনমিস্ট ফর পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি সংস্থার একজন ট্রাস্টি।
-
প্রথম ভারতীয় শিক্ষাবিদ হিসেবে তিনি একটি অক্সব্রিজ কলেজের প্রধান হন।
-
এছাড়াও তিনি প্রস্তাবিত নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।
-
২০০৬ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে ৬০ বছরের কম বয়সী ভারতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
-
২০১০ সালে তিনি বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।
লেখক ও গ্রন্থাবলি:
-
অমর্ত্য সেনের লেখা গ্রন্থাবলি ৩০টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
-
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ The Idea of Justice, যা জন রলসের A Theory of Justice (1971)-এর মূল তত্ত্বগুলোর সমালোচনা ও পরিমার্জন।
উৎস: Britannica
0
Updated: 2 months ago
'হ্যারিপটার' কি?
Created: 3 months ago
A
এক জাতীয় ধাতব পাত্র
B
সাম্প্রতিককালে সর্বাধিক বিক্রীত একটি শিশুতোষ বই
C
একজাতীয় গুচ্ছবোমা
D
এক ধরনের খেলনা
হ্যারি পটার শিশু-কিশোর সাহিত্যের ইতিহাসে একটি বিপ্লবী নাম, যা সাম্প্রতিক যুগে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইগুলোর একটি। এটি মূলত সাত খণ্ডের এক কল্পনাপ্রবণ উপন্যাস সিরিজ, যার স্রষ্টা ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং।
এই সিরিজের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৭ সালে, এবং শেষ হয় ২০০৭ সালে। প্রতিটি খণ্ডই পাঠক হৃদয়ে গভীরভাবে জায়গা করে নেয়। শুরুটা হয় Harry Potter and the Philosopher’s Stone উপন্যাস দিয়ে, আর শেষ খণ্ড হিসেবে প্রকাশিত হয় Harry Potter and the Deathly Hallows।
২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর তারিখে মুক্তি পায় এই সিরিজের প্রথম চলচ্চিত্র, যা বইটির মতোই বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। সিনেমা সংস্করণে হ্যারি পটার, রন উইজলি এবং হারমায়োনি গ্রেঞ্জার চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেন যথাক্রমে ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ, রুপার্ট গ্রিন্ট এবং এমা ওয়াটসন। মূল চরিত্রের জন্য লেখিকা জে. কে. রাউলিং নিজ হাতে বেছে নিয়েছিলেন ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফকে।
জে. কে. রাউলিং-এর জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৬৫ সালে। ১৯৯০ সালে ম্যানচেস্টার থেকে লন্ডনে যাওয়ার একটি ট্রেনযাত্রায় তাঁর মনে প্রথম হ্যারি পটারের চরিত্রটি উদ্ভব হয়। সেই যাত্রার সময়ই তিনি গল্প লেখার খসড়া তৈরি করতে শুরু করেন।
বর্তমানে এই সিরিজের বইগুলো ৬৫টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪০ কোটিরও বেশি কপি, যা এটিকে পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যে পরিণত করেছে।
উৎস: Britannica
0
Updated: 3 months ago
'দ্যা আইডিয়া অব জাস্টিস'-গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 day ago
A
মাথা ন্যুসবাম
B
জোসেফ স্টিগলিটজ
C
অমর্ত্য সেন
D
জন বাউলস
‘The Idea of Justice’ (২০০৯)
রচয়িতা: অমর্ত্য সেন (Amartya Sen, জন্ম ১৯৩৩)
পরিচিতি: অমর্ত্য সেন একজন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক, যিনি ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি দারিদ্র্য, অসমতা, উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার বিষয়ক গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাত।
গ্রন্থের মূল বিষয়:
‘The Idea of Justice’ গ্রন্থে অমর্ত্য সেন ন্যায়বিচারের ধারণাকে বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর মতে—
-
ন্যায়বিচার কেবল বিমূর্ত বা তাত্ত্বিক ধারণা নয়, বরং মানুষের প্রকৃত জীবনের মান উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
তিনি “Capability Approach” তত্ত্বে জোর দিয়েছেন, যা বলে সমাজের উন্নয়ন পরিমাপ করা উচিত মানুষের প্রকৃত সক্ষমতা (মানুষ কী করতে ও কীভাবে বাঁচতে পারে)-এর ওপর ভিত্তি করে।
অমর্ত্য সেনের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
-
Poverty and Famines (১৯৮১)
-
Development as Freedom (১৯৯৯)
-
Identity and Violence (২০০৬)
সম্পর্কিত দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদগণ:
-
মার্থা নুসবাম (Martha Nussbaum): মার্কিন দার্শনিক; অমর্ত্য সেনের সঙ্গে Capability Approach-এর সহ-উন্নয়নকারী। (তবে The Idea of Justice তাঁর লেখা নয়।)
-
জোসেফ স্টিগলিটজ (Joseph Stiglitz): মার্কিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ; Globalization and Its Discontents গ্রন্থের লেখক।
-
জন রলস (John Rawls): A Theory of Justice (১৯৭১)-এর রচয়িতা; আধুনিক ন্যায়বিচার তত্ত্বের অন্যতম ভিত্তি স্থাপনকারী চিন্তাবিদ।
0
Updated: 1 day ago