১৯৯৫ সাল কোন সংস্থাটির গোল্ডেন জুবিলি হিসেবে পালিত হচ্ছে?
A
UNO
B
NAM
C
GATT
D
ASEAN
উত্তরের বিবরণ
United Nations Organization (UNO) বা জাতিসংঘ বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের পর বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এটি গঠিত হয়। জাতিসংঘের প্রস্তাবনা ও নামকরণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট। সংস্থাটি প্রাথমিকভাবে ৫১টি দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩। ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘ তার ৫০ বছর পূর্তি বা “Golden Jubilee” উদযাপন করে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাবর্ষ নিম্নরূপ:
-
GATT (General Agreement on Tariffs and Trade): প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালে; যার লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্ক ও বাণিজ্য বাধা হ্রাস করা। পরবর্তীতে এটি ১৯৯৫ সালে World Trade Organization (WTO) তে রূপান্তরিত হয়।
-
NAM (Non-Aligned Movement): গঠিত হয় ১৯৬১ সালে, ঠান্ডা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এমন দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য সৃষ্টির জন্য, যারা যুক্তরাষ্ট্র বা সোভিয়েত ইউনিয়নের কোনো জোটে যোগ দেয়নি।
-
ASEAN (Association of Southeast Asian Nations): প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ সালে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে।
সার্বিকভাবে, এই সংস্থাগুলো—জাতিসংঘসহ—বিশ্বে শান্তি, উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
0
Updated: 14 hours ago
জাতিসংঘের কোন সংস্থা বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যকার রোহিঙ্গা বিষয়ে মধ্যস্থতা করছে?
Created: 3 months ago
A
ইউএনডিপি
B
ইউনিসেফ
C
ইউএনএইচসিআর
D
ইউনেস্কো
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর (UNHCR) বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যকার রোহিঙ্গা সংকটে প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এই সংস্থাটি ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকেই কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীর মানবিক সহায়তা, নিবন্ধন, খাদ্য, চিকিৎসা, আশ্রয় এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করে আসছে।
UNHCR:
- এর পূর্ণরূপ United Nations High Commissioner for Refugees।
- জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (UNHCR) শরণার্থীদের কল্যাণ ও সুরক্ষার জন্য কাজ করে।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় শরণার্থীদের সহায়তার লক্ষ্যে ১৯৫০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তে UNHCR গঠিত হয়।
- সংস্থাটির প্রধানকে হাইকমিশনার বলা হয় এবং এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত।
- শরণার্থীদের পুনর্বাসন, আশ্রয় ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী কাজ করে।
- এই মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য UNHCR দুইবার নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে—১৯৫৪ এবং ১৯৮১ সালে।
উল্লেখ্য,
- UNHCR বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মায়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা।
অন্যদিকে,
- ইউএনডিপি মূলত উন্নয়ন কার্যক্রমে, ইউনিসেফ শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যে, এবং ইউনেস্কো শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কাজ করে।
0
Updated: 3 months ago
বর্তমানে জাতিসংঘের মহাসচিব কোন দেশের নাগরিক?
Created: 3 months ago
A
গিনি
B
ঘানা
C
সেনেগাল
D
মরক্কো
প্রশ্নটি তৎকালীন সাম্প্রতিক যা পরিবর্তনশীল।
0
Updated: 3 months ago
কোন সংকটকে কেন্দ্র করে ১৯৫০ সালে ‘শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাব’ জাতিসংঘের মাধ্যমে পেশ করা হয়?
Created: 12 hours ago
A
ভিয়েতনাম সংকট
B
সাইপ্রাস সংকট
C
কোরিয়া সংকট
D
প্যালেস্টাইন সংকট
১৯৫০ সালের কোরিয়া সংকট ছিল শীতল যুদ্ধের শুরুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংঘাত, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। এই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেয়, যার নাম ছিল “শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাব (Uniting for Peace Resolution)”। এর উদ্দেশ্য ছিল বৈশ্বিক শান্তি রক্ষা এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে সাধারণ পরিষদকে বিকল্প উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করা।
-
সংকটের সূচনা: ১৯৫০ সালের ২৫ জুন, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনী দক্ষিণ কোরিয়া আক্রমণ করলে কোরীয় উপদ্বীপে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয়। এই হামলা শীতল যুদ্ধের শক্তির ভারসাম্যকে নড়বড়ে করে তোলে।
-
জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া: নিরাপত্তা পরিষদ দ্রুত উত্তর কোরিয়ার আক্রমণ নিন্দা করে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক সামরিক সহায়তা অনুমোদন দেয়।
-
‘শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাব’ (Uniting for Peace): ১৯৫০ সালের নভেম্বরে এই প্রস্তাবটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। এর মাধ্যমে বলা হয়, যদি নিরাপত্তা পরিষদ স্থায়ী সদস্যদের ভেটো ব্যবহারের কারণে অচল হয়ে পড়ে, তবে সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে শান্তি রক্ষার উদ্যোগ নিতে পারবে।
-
মূল উদ্দেশ্য: জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করা এবং যুদ্ধ বা আক্রমণের সময় দ্রুত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করা।
এই প্রস্তাব কেবল কোরিয়া সংকট মোকাবিলায় নয়, পরবর্তীতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযান (UN Peacekeeping Operations) পরিচালনার ক্ষেত্রেও দিকনির্দেশক ভূমিকা পালন করে। এটি জাতিসংঘের ইতিহাসে একটি মাইলফলক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।
0
Updated: 12 hours ago