হালদা নদী কি জন্য বিখ্যাত ?
A
মৎস্য প্রজনন
B
নদী প্রজনন
C
খরস্রোতা
D
ইলিশ মাছ
উত্তরের বিবরণ
হালদা নদী বাংলাদেশের একটি অনন্য নদী, যা মূলত মৎস্য প্রজননের জন্য বিখ্যাত। এটি বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী যেখানে প্রাকৃতিকভাবে রুইজাতীয় মাছ ডিম ছাড়ে।
-
নদীটি চট্টগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিলিত হয়েছে।
-
এখানে রুই, কাতলা, মৃগেল প্রভৃতি মাছ প্রজনন মৌসুমে ডিম ছাড়ে, যা স্থানীয় জেলেরা সংগ্রহ করে।
-
এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, যা বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
-
হালদা নদীকে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র বলা হয়।
-
ইউনেস্কোর মানদণ্ড অনুযায়ী এটি বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের যোগ্যতা রাখে।
অতএব, সঠিক উত্তর মৎস্য প্রজনন, কারণ এটি নদীটির প্রধান বৈশিষ্ট্য ও খ্যাতির মূল কারণ।
0
Updated: 18 hours ago
নিচের কোন নদী বাংলাদেশে উৎপত্তি হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে?
Created: 6 days ago
A
করতোয়া
B
কর্ণফুলী
C
হালদা
D
মাতামুহুরী
হালদা নদী বাংলাদেশে উৎপত্তি হলেও বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়নি। মাতামুহুরি নদী চট্টগ্রাম থেকে আরাকানকে বিভক্তকারী পর্বতমালায় ২১°১৪´ উত্তর অক্ষাংশ ও ৯২°৩৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে উদ্ভূত একটি নদী। এর উৎসস্থান সাঙ্গু নদীর উৎস থেকে মাত্র ১° উত্তর ও ১° পূর্বে অবস্থিত। মগ ভাষায় নদীটির নাম মামুরি, যার বাংলা সংস্করণ মাতামুহুরী। সাঙ্গুর মতো মাতামুহুরীও পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তর-পশ্চিম দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পূর্ব দিক দিয়ে কক্সবাজার জেলায় প্রবেশ করেছে এবং ২১°৪৫´ উত্তর অক্ষাংশ ও ৯১°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
-
মাতামুহুরী নদী: চট্টগ্রাম থেকে আরাকান পর্বতমালা পর্যন্ত প্রবাহিত।
-
নদীর দৈর্ঘ্য: প্রায় ২৮৭ কিমি।
-
মাতামুহুরী মোহনা: বঙ্গোপসাগরে একটি চওড়া বদ্বীপ সৃষ্টি করেছে, যা ভোলাখাল থেকে খুটাখালি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
বদ্বীপটির বৈশিষ্ট্য: সুন্দরবনের বৈশিষ্ট্যধারী, খাঁড়ি ও গরান বনের আচ্ছাদনসহ ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
-
চাষাবাদ: বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে পুরো এলাকা চাষাবাদের অধীনে আনা হয়েছে।
-
প্রধান উপজেলা: চকোরিয়া।
মাতামুহুরী নদী এই অঞ্চলের পরিবেশ ও কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে চাষাবাদে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে ভূমিকা শক্তিশালী হয়েছে।
0
Updated: 6 days ago
বাংলাদেশের নবীনতম নদী কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পদ্মা
B
যমুনা
C
জিঞ্জিরাম
D
মেঘনা
বাংলাদেশে নতুন নদী সৃষ্টি হওয়ার ইতিহাস খুবই সীমিত; বরং নদী ভরাট হয়ে বা সংস্কারের অভাবে ধীরে ধীরে মরতে থাকে। প্রশ্নটি ট্রিকি, কারণ এখানে “নবীনতম নদী” বলতে সর্বশেষ যে নদীর ধারা সৃষ্টি হয়েছে সেটাকেই বোঝানো হয়েছে।
বাস্তবে, বাংলাদেশে নতুন নদী তৈরি হওয়ার ঘটনা প্রায় ২৪০ বছর পূর্বে ১৭৮৭ সালে ঘটে, যখন তীব্র ভূমিকম্প ও বন্যার ফলে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে যমুনা নদীর সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে নতুন নদী তৈরি হওয়ার কোনো উল্লেখযোগ্য ইতিহাস নেই। তাই যমুনা নদীকে বাংলাদেশে নবীনতম নদী হিসেবে ধরা হয়।
-
যমুনা নদী:
-
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী এবং বিশ্বের দীর্ঘতম নদীর মধ্যে অন্যতম। প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মপুত্রের নিম্নপ্রবাহকে যমুনা বলা হয়।
-
১৭৮২-১৭৮৭ সালের মধ্যে সংঘটিত ভূমিকম্প ও প্রবল বন্যার ফলে ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান যমুনা নদীর সৃষ্টি হয়।
-
ব্রহ্মপুত্র নদ হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের একটি হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বত ও আসামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
-
ভূমিকম্পের কারণে ব্রহ্মপুত্র ময়মনসিংহের দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় দুটি শাখায় বিভক্ত হয় ⎯ একটি যমুনা নামে প্রবাহিত হয়ে গোয়ালন্দে পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়, অপরটি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে ভৈরবের কাছে মেঘনায় পতিত হয়।
-
প্রধান শাখানদী: ধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা।
-
উপনদীসমূহ: তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাই, কালজানি, তোরসা, জলঢাকা, নাগর, দুপচাপিয়া, যমুনেশ্বরী, রায়ঢাক, ধবলা, ঘাঘট, বাঙালি, বড়াল, গঙ্গা, নারদ, ধবল বা দুধকুমার, তুলসী গঙ্গা, শিব বরনাই।
-
-
পদ্মা নদী:
-
বাংলাদেশের প্রধান নদী পদ্মা। গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গার অংশ এটি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
-
পদ্মা যমুনার সাথে মিলিত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চাঁদপুরে মেঘনার সঙ্গে মিশেছে।
-
শাখানদী: মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙ্গা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসাত, পশুর, বড়াল, গড়াই, ইছামতি।
-
উপনদী: মহানন্দা, টাঙ্গন, নাগর, পুনর্ভবা, কুলিক।
-
-
জিঞ্জিরাম নদী:
-
বাংলাদেশ-ভারতের আন্তঃসীমান্ত নদী।
-
কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলায় প্রবাহিত। দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ কিলোমিটার।
-
-
মেঘনা নদী:
-
বাংলাদেশের প্রশস্ত ও গভীরতম নদী। উৎপত্তিস্থল ভারতের আসামের বরাক নদী।
-
বরাক নদী দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে সিলেটের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে ⎯ সুরমা ও কুশিয়ারা।
-
কিশোরগঞ্জের ভৈরববাজারের কাছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত।
-
চাঁদপুরে পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত।
-
উপনদীসমূহ: মনু, বাউলাই, গোমতী, তিতাস, কাসনি।
-
শাখানদী: জাঙ্গালিয়া, ডাকাতিয়া।
-
0
Updated: 1 month ago
তিতাস কোন নদীর উপনদী?
Created: 1 week ago
A
পদ্মা
B
মেঘনা
C
গোমতী
D
কর্ণফুলী
তিতাস নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে প্রবাহমান একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটি বাংলাদেশের এবং ভারতের মধ্যে আন্তঃসীমানা সংশ্লিষ্ট নদী হিসেবে পরিচিত। নদীটির উৎপত্তি ভারতের ত্রিপুরা অঙ্গরাজ্য থেকে। তিতাস নদীকে "মেঘনার কন্যা" বা "মেঘনার মেয়ে" হিসেবে অভিহিত করা হয়, কারণ এটি মেঘনা নদীর একটি শাখা এবং পরে মেঘনায় মিলিত হয়।
এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
উৎপত্তি: তিতাস নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে উৎপন্ন হয়।
-
প্রবাহ: এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়।
-
সম্পর্ক: তিতাস নদী বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নদী হলেও, এটি বাংলাদেশের এবং ভারতের মধ্যকার সীমান্তে অবস্থিত একটি আন্তঃসীমানা নদী।
-
বৈশিষ্ট্য: তিতাস নদী মেঘনা নদীর একটি শাখা, তাই এর একটি আলাদা পরিচয় "মেঘনার কন্যা" হিসেবে পরিচিত।
উদাহরণ: "The Titas River, originating from Tripura, India, flows through Bangladesh and is considered the daughter of the Meghna River."
0
Updated: 1 week ago