সবচেয়ে কঠিন পদার্থের নাম কী?
A
সোনা
B
রুপা
C
লোহা
D
হীরক
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বে এখন পর্যন্ত জানা পদার্থগুলোর মধ্যে হীরক বা হীরা সবচেয়ে কঠিন পদার্থ হিসেবে স্বীকৃত। এটি বিশুদ্ধ কার্বন দ্বারা গঠিত এবং এর অণু কাঠামো অত্যন্ত দৃঢ়।
-
হীরক-এর প্রতিটি কার্বন পরমাণু চারটি অন্য কার্বন পরমাণুর সঙ্গে শক্ত কোভ্যালেন্ট বন্ধনে যুক্ত থাকে।
-
এই বন্ধনের কারণেই এটি সবচেয়ে কঠিন প্রাকৃতিক পদার্থ হিসেবে পরিচিত।
-
এটি কাটাকাটি বা পালিশের কাজে ব্যবহৃত হয়, যেমন—লোহা বা কাঁচ কাটার ব্লেডে।
-
সোনা, রুপা ও লোহা নরম ধাতু; এগুলো সহজে বাঁকানো বা গলানো যায়।
-
অন্যদিকে হীরক তাপ ও চাপ সহনশীল, তাই এটি ভাঙা বা ক্ষয় করা প্রায় অসম্ভব।
অতএব, সবচেয়ে কঠিন পদার্থ হলো হীরক (Diamond)।
0
Updated: 18 hours ago
মস্তিষ্কের ডোপামিন তৈরির কোষগুলো নষ্ট হলে কি রোগ হয়?
Created: 2 months ago
A
এপিলেপসি
B
পারকিনসন
C
প্যারালাইসিস
D
থ্রমবোসিন
পারকিনসন রোগ হলো মস্তিষ্কের একটি সমস্যা, যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত-পা কাঁপতে শুরু করে এবং চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। সাধারণত এই রোগ ৫০ বছরের পর দেখা দেয়।
রোগের কারণ:
-
মস্তিষ্কে কিছু স্নায়ুকোষ থাকে, যা ডোপামিন নামের রাসায়নিক তৈরি করে।
-
ডোপামিন পেশি নিয়ন্ত্রণ ও নড়াচড়ায় সাহায্য করে।
-
যদি এই কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়, ডোপামিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
-
ডোপামিন না থাকলে স্নায়ুকোষগুলো পেশিকে সঠিক সংকেত দিতে পারে না, ফলে পেশি শক্ত বা অকার্যকর হয়ে যায়।
লক্ষণ:
প্রাথমিকভাবে হাত ও পা হালকা কাঁপতে থাকে। অন্যান্য লক্ষণ হতে পারে:
-
একপাশের পা বা হাত ঠিকমত নড়াচড়া করতে পারা না
-
চোখের পাতার কাঁপুনি
-
কোষ্ঠকাঠিন্য
-
খাবার গিলতে সমস্যা
-
হাঁটাচলায় অসুবিধা
-
মাংসপেশিতে ব্যথা বা টান
-
কথা বলার সময় মুখের অপ্রাকৃতিক অঙ্গভঙ্গি বা মুখের স্থির থাকা
নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ:
-
ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ
-
নিয়মিত ফিজিওথেরাপি
-
পরিমিত ও স্বাস্থ্যকর খাবার
-
সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখা
উৎস: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
ছায়াপথ তার নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে যে সময় লাগে তাকে কি বলে?
Created: 3 months ago
A
সৌর বছর
B
কসমিক ইয়ার
C
আলোক বর্ষ
D
পলিসার
ছায়াপথ:
- সৌরজগতের গ্রহসমূহ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, আর সূর্য মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির মধ্যবিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
- এই মধ্যবিন্দুর চারদিকে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর ২২৫-২৫০ মিলিয়ন বছর সময় লাগে।
- এই সময়টাকেই কসমিক ইয়ার বা গ্যালাকটিক ইয়ার বলে।
- ছায়াপথের নিজ অক্ষে আবর্তনকালকে কসমিক ইয়ার বলে।
উৎস: Britannica.com
0
Updated: 3 months ago
HCl (aq) + NaOH (aq) → NaCl (aq) + H2O (l) কোন ধরণের বিক্রিয়া?
Created: 2 months ago
A
বিয়োজন বিক্রিয়া
B
দহন বিক্রিয়া
C
পানি যোজন বিক্রিয়া
D
প্রশমন বিক্রিয়া
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকারভেদ
1️⃣ প্রশমন বিক্রিয়া (Neutralization Reaction)
-
সংজ্ঞা: এসিড এবং ক্ষার দ্রবণ মিশলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, যার ফলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।
-
প্রক্রিয়া:
-
এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) প্রদান করে।
-
ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH⁻) প্রদান করে।
-
H⁺ এবং OH⁻ যুক্ত হয়ে পানি (H₂O) তৈরি করে।
-
-
উদাহরণ:
2️⃣ পানি যোজন বিক্রিয়া (Hydration Reaction)
-
সংজ্ঞা: আয়নিক যৌগের কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক পানির অণু সংযুক্ত হওয়া।
-
পানি কেলাস: কেলাসে যুক্ত থাকা পানি।
3️⃣ বিয়োজন বিক্রিয়া (Decomposition Reaction)
-
সংজ্ঞা: সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত।
-
প্রক্রিয়া: যৌগের অণু ভেঙ্গে এক বা একাধিক মৌল বা যৌগে পরিণত হয়।
-
উদাহরণ:
4️⃣ দহন বিক্রিয়া (Combustion Reaction)
-
সংজ্ঞা: কোনো মৌল বা যৌগকে বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে জ্বালিয়ে, তা অক্সাইডে রূপান্তরিত করা।
-
উদাহরণ:
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago