রবিশংকর একজন বিখ্যাত -
A
সেতার বাদক
B
গায়ক
C
সরোজ বাদক
D
ক্রিকেটার
উত্তরের বিবরণ
পণ্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন ভারতের শাস্ত্রীয় সংগীতের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি সেতার বাজানোর মাধ্যমে ভারতীয় সংগীতকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেন।
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৭ এপ্রিল ১৯২০ সালে ভারতের বারাণসীতে এবং মৃত্যুবরণ করেন ১১ ডিসেম্বর ২০১২ সালে।
-
রবিশঙ্করকে বলা হয় সেতারের সম্রাট, কারণ তাঁর হাতেই ভারতীয় সেতারবাদন আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করে।
-
তিনি ইউরোপ ও আমেরিকায় ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রচার করেন এবং বিখ্যাত সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসন (The Beatles)–এর সংগেও কাজ করেন।
-
তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান ভারতীয় রাগসঙ্গীতকে পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে সংযোগ ঘটানো।
-
সংগীতে অবদানের জন্য তিনি ভারত রত্ন, পদ্মভূষণ, ও গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
0
Updated: 18 hours ago
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ অনুযায়ী, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (ADP) জিডিপির কত শতাংশ?
Created: 1 month ago
A
৩.১%
B
৩.৭%
C
৪.৩%
D
৫.৮%
জাতীয় বাজেট ২০২৫–২৬ অর্থবছরের সামগ্রিক চিত্রটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দিকনির্দেশনা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দেয়। এই বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো একটি বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। নিচে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো—
-
বাজেটের ক্রম: এটি বাংলাদেশের ৫৪তম জাতীয় বাজেট, অন্তবর্তীকালীন বাজেটসহ এটি ৫৫তম।
-
বাজেটের শিরোনাম: ‘বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়’।
-
বাজেট উত্থাপনকারী: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেটটি উপস্থাপন করেন।
-
বাজেট উত্থাপনের তারিখ: ২ জুন, ২০২৫।
-
বাজেট অনুমোদনের তারিখ: ২২ জুন, ২০২৫।
-
বাজেট কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১ জুলাই, ২০২৫।
-
জিডিপির আকার: ৬২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উৎপাদনক্ষমতাকে নির্দেশ করে।
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৫%, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
-
বাজেটের মোট আকার: ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
-
অনুদান ব্যতীত বাজেট ঘাটতি: ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা।
-
অনুদানসহ বাজেট ঘাটতি: ২ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা।
-
সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রাপ্ত খাত (পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট): জনপ্রশাসন খাত।
-
উন্নয়ন বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ: পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে, যা অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতি সরকারের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।
-
অনুন্নয়ন (পরিচালন) বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ: সুদ খাতে, যা ঋণ পরিশোধের ব্যয় বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
-
মাথাপিছু আয়: ২,৮২০ মার্কিন ডলার, যা দেশের মানুষের গড় আয় নির্দেশ করে।
-
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (ADP): ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির প্রায় ৩.৭%।
-
উন্নয়ন বাজেটে মোট বরাদ্দ: ২,৪৫,৬০৯ কোটি টাকা।
-
অনুমিত মুদ্রাস্ফীতির হার: ৬.৫%, যা মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্য নির্দেশ করে।
0
Updated: 1 month ago
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্যের অন্যতম প্রস্তাব কি?
Created: 4 weeks ago
A
দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সংসদ
B
সংসদের আসন বৃদ্ধি
C
সংরক্ষিত নারী আসন বাতিল
D
পি আর (PR) চালু করা
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সংস্কার নিয়ে ঐকমত্যের অন্যতম প্রস্তাব ছিল দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সংসদ গঠন। এ প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল সংসদীয় ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ ও জনকেন্দ্রিক করা।
সংস্কার প্রস্তাবের মূল দিকগুলো হলো:
-
বর্তমান এককক্ষের পরিবর্তে নিম্নকক্ষ (জাতীয় সংসদ) ও উচ্চকক্ষ (সিনেট) গঠন করা হবে।
-
এই ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া হবে আরও সুষ্ঠু ও চেক-অ্যান্ড-ব্যালেন্স ভিত্তিক।
-
নিম্নকক্ষে ৪০০ সদস্য থাকবে (এর মধ্যে ৩০০ জন সরাসরি নির্বাচিত ও ১০০ জন নারী সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচিত)।
-
উচ্চকক্ষে ১০৫ সদস্য থাকবে (এর মধ্যে ১০০ জন সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে নির্বাচিত, ৫ জন রাষ্ট্রপতির মনোনীত, এবং ৩০% নারী সংরক্ষিত আসন)।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
২০২৪ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে—সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
-
সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
-
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
0
Updated: 4 weeks ago
বাংলাদেশে চা বোর্ড কোথায় অবস্থিত ?
Created: 2 weeks ago
A
শ্রীমঙ্গল
B
ঢাকা
C
চট্রগ্রাম
D
পঞ্চগড়
বাংলাদেশে চা বোর্ড চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের চা শিল্পের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এবং দেশের চা উৎপাদন এবং বিপণন সংক্রান্ত নীতি ও কার্যক্রমের তদারকি করে থাকে।
-
চট্টগ্রাম শহরের অবস্থান: চট্টগ্রাম বাংলাদেশের প্রধান বন্দর নগরী এবং চা বোর্ড এখানে অবস্থিত হওয়ায়, এটি চা ব্যবসায়ের কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
চা উৎপাদন ও বিপণন: চট্টগ্রাম শহরের চা বোর্ড চা উৎপাদন, বিক্রি, রফতানি, এবং শিল্পের উন্নতি নিয়ে কাজ করে। এটি দেশের চা শিল্পের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নীতি নির্ধারণে সহায়তা করে।
-
চা বাগান: চট্টগ্রামের আশপাশে অনেক চা বাগান রয়েছে, বিশেষ করে কক্সবাজার, বান্দরবন এবং শ্রীমঙ্গল এলাকা। চট্টগ্রাম চা বোর্ডের মাধ্যমে এসব বাগানের চা উৎপাদন এবং মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
-
অন্য স্থান: চট্টগ্রামের চা বোর্ড দেশের অন্যান্য শহরগুলোর তুলনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মাধ্যমে পুরো দেশের চা শিল্প পরিচালিত হয়। ঢাকায় এবং অন্যান্য স্থানে চা বোর্ড নেই।
এই কারণে, চট্টগ্রাম হচ্ছে বাংলাদেশের চা বোর্ডের প্রধান অবস্থান।
0
Updated: 2 weeks ago