ওয়ানগালা কাদের উৎসব?
A
সাঁওতাল
B
গারো
C
মারমা
D
চাকমা
উত্তরের বিবরণ
ওয়ানগালা উৎসব গারো জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী এক ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান। এটি মূলত ফসল কাটা শেষে দেবতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উৎসব হিসেবে পালিত হয়। উৎসবটি গারোদের সংস্কৃতি, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাম্প্রদায়িক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
-
ওয়ানগালা উৎসবের প্রকৃতি: এটি গারোদের ফসল তোলার উৎসব, যা দেবতা “সালজং”-এর উদ্দেশ্যে উদযাপিত হয়।
-
সময়কাল: প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, বিশেষ করে নতুন ধান ওঠার পর এই উৎসব পালিত হয়।
-
উদযাপনের স্থান: ভারতের মেঘালয় রাজ্য এবং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা ও টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত গারো জনগোষ্ঠী এটি পালন করে।
-
উৎসবের বৈশিষ্ট্য: উৎসবে ঢাক-ঢোল, বাঁশি, গান, নাচ এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ব্যবহার দেখা যায়। এটি “ফসল উৎসব” নামেও পরিচিত।
-
অর্থ ও উদ্দেশ্য: প্রকৃতি ও দেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে সমাজে ঐক্য, আনন্দ ও সহযোগিতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়।
0
Updated: 18 hours ago
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার সংখ্যা কয়টি?(অক্টোবর, ২০২৫)
Created: 1 month ago
A
২৬টি
B
২৭টি
C
২৮টি
D
২৯টি
বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস ক্যাডার দেশের প্রশাসনিক কাঠামো পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি জাতীয় মানব সম্পদ পরিকল্পনা ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। এই ক্যাডার সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো হলো—
-
বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন হলো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যা প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন সরকারি পদে নিযুক্তির জন্য যোগ্য এবং উপযুক্ত ব্যক্তি নির্বাচন করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
-
প্রতিষ্ঠানটি দেশের জনপ্রশাসন ব্যবস্থায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এবং মানব সম্পদ পরিকল্পনায় উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যেমন অন্যান্য দেশের প্রতিরূপ সংস্থাসমূহ।
-
কর্ম কমিশন দেশব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা আয়োজন করে, যার মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের সরকারি চাকরিতে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হয়।
-
বাংলাদেশে মোট ২৬টি সিভিল সার্ভিস ক্যাডার রয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ কত সালে জারি হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৮০ সালে
B
১৯৮১ সালে
C
১৯৮৫ সালে
D
১৯৯১ সালে
পারিবারিক আদালত অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫ হলো একটি আইনগত অধ্যাদেশ যা পরিবারের প্রতিটি সদস্যের আইনগত সমস্যার বিচার নিষ্পত্তি নিশ্চিত করে। এটি ১৯৮৫ সালে জারি করা হয়েছিল।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে পারিবারিক আদালতের বিচার্য বিষয়গুলোর জন্য প্রয়োজনীয় আইনসমূহ সংকলিত হয়েছে।
-
পারিবারিক আদালতের আইনগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী আইন, হিন্দু আইন, দেওয়ানি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন এবং অন্যান্য পারিবারিক আইন সম্পর্কিত অধ্যাদেশ।
-
এটি রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং পার্বত্য জেলার বাইরে সারা দেশে প্রযোজ্য।
-
আইন অনুযায়ী, দেশের সকল মুন্সেফ আদালত পারিবারিক আদালত হিসেবে গণ্য হবে এবং মুন্সেফগণ এ আদালতের বিচারক হবেন।
-
পারিবারিক আদালত মূলত পাঁচটি বিষয়ে বিচারকার্য সম্পন্ন করে:
• বিবাহ বিচ্ছেদ (Divorce)
• দাম্পত্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধার (Restoration of marital relationship)
• মোহরানা (Dowry/Mahr)
• ভরণপোষণ (Maintenance)
• অভিভাবকত্ব (Custody)
0
Updated: 1 month ago
মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে দেশের শীর্ষ জেলা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কুমিল্লা
B
যশোর
C
রাজশাহী
D
ময়মনসিংহ
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী বাংলাদেশের মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে ময়মনসিংহ জেলা শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এ তথ্য দেশের মৎস্য উৎপাদনের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য ও সামগ্রিক উৎপাদন হার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়।
-
মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে শীর্ষ তিন জেলা:
১. ময়মনসিংহ – ৩,৪৫,০০১ মেট্রিক টন
২. কুমিল্লা – ৩,১৫,৪৫৭ মেট্রিক টন
৩. যশোর – ২,৪৮,০৮৯ মেট্রিক টন -
মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে শীর্ষ বিভাগসমূহ:
১. চট্টগ্রাম বিভাগ – ৮,৮০,৭৯৭ মেট্রিক টন
২. খুলনা বিভাগ – ৮,২২,৩৬১ মেট্রিক টন
৩. রাজশাহী বিভাগ – ৫,৭৬,৮৩০ মেট্রিক টন -
মোট মৎস্য উৎপাদনের পরিসংখ্যান:
-
মোট মৎস্য উৎপাদন: ৫০,১৮,৪৮৩ মেট্রিক টন
-
মিঠা পানিতে মৎস্য উৎপাদন: ৪৩,৮৯,৮৬০ মেট্রিক টন
-
লোনা পানির মৎস্য উৎপাদন: ৪,২৮,৬২৩ মেট্রিক টন
-
0
Updated: 1 month ago