অপরাজেয় বাংলার স্থপতি কে?
A
হামিদুর রহমান
B
সৈয়দ আবদুল্লাহ খালেদ
C
কামরুল হাসান
D
মুর্তজা বশির
উত্তরের বিবরণ
অপরাজেয় বাংলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অমর প্রতীক, যা মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব, ত্যাগ ও সংগ্রামের স্মারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এটি শুধু একটি ভাস্কর্য নয়, বরং জাতীয় চেতনার প্রতিফলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে অবস্থিত এই ভাস্কর্যটি দেশের শিল্প ও ইতিহাসের এক অনন্য নিদর্শন।
-
অবস্থান: অপরাজেয় বাংলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে অবস্থিত।
-
স্থপতি: এটি নির্মাণ করেছেন বিখ্যাত ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালেদ (১৯৪২–২০১৭)।
-
স্থাপনের সময়: এর কাজ শুরু হয় ১৯৭৩ সালে এবং সম্পন্ন হয় ১৯৭৯ সালে।
-
প্রতীকী অর্থ: এটি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস, ঐক্য ও দেশপ্রেমের প্রতীক। নারী ও পুরুষের সম্মিলিত উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধে সমাজের সকল শ্রেণির অংশগ্রহণকে প্রকাশ করে।
-
গঠনশৈলী: ভাস্কর্যটি ত্রিভুজাকৃতি বেদির উপর দাঁড়ানো, যেখানে তিনজন সংগ্রামী মানুষকে বন্দুক ও দৃঢ় অভিব্যক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতীয় ঐক্য ও বীরত্বের শিল্পসম্মত প্রতিরূপ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 19 hours ago
তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল Kurdistan Workers' Party বা PKK এর প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 4 weeks ago
A
জালাল তালাবানী
B
মাসুদ বারজানী
C
মাজলুম আবদি
D
আবদুল্লাহ ওচালান
তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল Kurdistan Workers' Party (PKK)-এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন আবদুল্লাহ ওচালান। এটি একটি কুর্দি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন, যা তুরস্কসহ ইরান, ইরাক ও সিরিয়ায় কুর্দিদের অধিকার আদায়ে কাজ করে আসছে।
প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৮ সালে আবদুল্লাহ ওচালানের নেতৃত্বে।
-
প্রকৃতি: শুরুতে সাম্যবাদী বিপ্লবী গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
-
মূল লক্ষ্য: স্বাধীন কুর্দিস্তান প্রতিষ্ঠা; পরবর্তীতে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ও সাংস্কৃতিক অধিকারে গুরুত্ব দেয়।
-
আদর্শ: বিপ্লবী মার্কসবাদ-লেনিনবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী জাতীয়তাবাদ।
-
কার্যক্রম: ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ পরিচালনা করছে।
-
লক্ষ্যবস্তু: তুরস্কের পুলিশ, সামরিক বাহিনী, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো।
-
আন্তর্জাতিক অবস্থান: যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বহু দেশ পিকেকে-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
-
সাম্প্রতিক ঘটনা: ১ মার্চ ২০২৫ সালে পিকেকে ৪০ বছরের সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
0
Updated: 4 weeks ago
'Stop Genocide' (স্টপ জেনোসাইড) প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা কে?
Created: 1 week ago
A
চাষী নজরুল ইসলাম
B
জহির রায়হান
C
খান আতাউর রহমান
D
তারেক মাসুদ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নির্মিত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’। এটি নির্মাণ করেছিলেন বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক জহির রায়হান। ১৯৭১ সালের এ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ছিল এক অনন্য আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ—যেখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা ও গণহত্যার বিভীষিকা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল।
এই প্রামাণ্যচিত্রের মূল উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের জনগণের ওপর চালানো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্যাতন, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা। জহির রায়হান তখন কলকাতায় অবস্থান করছিলেন এবং সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তিনি তাঁর সৃষ্টিশীলতা, সাহস ও দায়বদ্ধতার মাধ্যমে ছবিটি নির্মাণ করেন। এতে দেখা যায়—বোমাবর্ষণে ধ্বংসপ্রাপ্ত গ্রাম, উদ্বাস্তুদের দুর্দশা, গণহত্যার শিকার সাধারণ মানুষের করুণ চিত্র এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা।
এই চলচ্চিত্রের নাম ‘স্টপ জেনোসাইড’ অর্থাৎ “গণহত্যা বন্ধ করো”—এটি কেবল একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং এক শক্তিশালী মানবিক আবেদন। জহির রায়হান চেয়েছিলেন পৃথিবীর বিবেকবান মানুষ যেন বাংলাদেশের মানুষের ওপর সংঘটিত এই ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জহির রায়হান একজন প্রতিভাবান চলচ্চিত্রকার ছিলেন, যিনি পূর্বে ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘কাচের দেয়াল’, ‘বেহুলা’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজ ও রাজনীতির বাস্তবতা তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু ‘স্টপ জেনোসাইড’ তাঁর চলচ্চিত্র জীবনের এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত—যেখানে কল্পকাহিনির পরিবর্তে বাস্তব ঘটনার দলিল হয়ে ওঠে ক্যামেরার প্রতিটি ফ্রেম। চলচ্চিত্রটিতে ব্যবহৃত ভাষ্য, শব্দ ও দৃশ্য বিন্যাস এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল যে, দর্শক অবচেতনে বাংলাদেশের বেদনা ও সংগ্রামের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়।
চলচ্চিত্রটি ১৯৭১ সালে মুক্তি পায় এবং এটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় চলচ্চিত্রটি দেখে গভীরভাবে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং মন্তব্য করেছিলেন যে, এটি শুধুমাত্র একটি প্রামাণ্যচিত্র নয়, বরং ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল। অনেক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও এই ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সত্য তুলে ধরা হয়।
‘স্টপ জেনোসাইড’ আজও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে একটি অমূল্য সম্পদ। এটি কেবল একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং স্বাধীনতার সংগ্রামে শিল্পের মাধ্যমে প্রতিবাদের এক উজ্জ্বল প্রতীক। জহির রায়হানের এই কাজ প্রমাণ করে যে, একজন শিল্পী শুধু বিনোদন নয়, বরং মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েও তাঁর শিল্পকে শক্তিশালী অস্ত্রে পরিণত করতে পারেন।
0
Updated: 1 week ago
কোথায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
লন্ডন
B
প্যারিস
C
ব্রাসেলস
D
ফ্রাঙ্কফুর্ট
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) হল ইউরো মুদ্রার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক এবং এটি মূলত ইউরোজোনের আর্থিক নীতি পরিচালনা করে। এর উদ্ভব এবং কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিম্নরূপ:
-
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক ধারণা এসেছে ১৯৮৮ সালে, যখন Economic and Monetary Union (EMU) গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
-
১৯৯৪ সালে European Monetary Institute (EMI) প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ECB-এর পূর্বসূরী হিসেবে কাজ করে।
-
১ জুন, ১৯৯৮ সালে আমস্টারডাম চুক্তির মাধ্যমে ECB আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, EMI-এর উত্তরসূরী হিসেবে।
-
১ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে EU অঞ্চলে একক মুদ্রা 'ইউরো' চালু করা হয়।
-
ECB-এর সদরদপ্তর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অবস্থিত।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল কার্যাবলী হলো:
-
EU অঞ্চলে একটি স্থিতিশীল ব্যাংকিং পরিবেশ নিশ্চিত করা।
-
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
-
নিরাপদ ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
-
ইউরো নোট ইস্যু ও সরবরাহ করা।
-
ইউরো মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করা।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কিত তথ্য:
-
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদরদপ্তর স্ট্রাসবার্গ, ব্রাসেলস এবং লুক্সেমবার্গে অবস্থিত।
-
EU-এর সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে।
-
বর্তমানে EU-এর সদস্য দেশ সংখ্যা ২৭টি।
0
Updated: 1 month ago