উপসর্গের কাজ কী?
A
নতুন শব্দ গঠন
B
ভাবের পার্থক্য নিরূপণ
C
অর্থ পরিবর্তন
D
বর্ণ সংস্করণ
উত্তরের বিবরণ
উপসর্গের কাজ হলো নতুন শব্দ গঠন করা।
-
উপসর্গ হলো সেই অংশ যা মূল শব্দের আগে বসে এবং শব্দের অর্থ বা ভাবকে পরিবর্তন বা সম্প্রসারণ করে।
-
উদাহরণ:
-
‘অজ্ঞান’ → অ + জ্ঞান,
-
‘অসাধারণ’ → অ + সাধারণ।
-
-
উপসর্গ মূল শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে এবং শব্দভাণ্ডারে বৈচিত্র্য আনে।
-
অন্যান্য বিকল্প—
-
ভাবের পার্থক্য নিরূপণ → আংশিক কাজ, মূল উদ্দেশ্য নয়,
-
অর্থ পরিবর্তন → কিছু ক্ষেত্রে হয়, তবে মূল উদ্দেশ্য নতুন শব্দ তৈরি,
-
বর্ণ সংস্করণ → উপসর্গের কাজ নয়।
-
-
শিক্ষার্থীদের জন্য উপসর্গের জ্ঞান শব্দগঠন ও ব্যাকরণে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
0
Updated: 3 hours ago
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ-
Created: 2 months ago
A
কদ
B
দুর
C
ইতি
D
আন
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়।
-
সংখ্যা: ২১টি
-
উপসর্গসমূহ:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা -
টিপ: এই চারটি উপসর্গ (আ, সু, বি, নি) তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।
-
-
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
-
বাংলা ভাষায় ব্যবহার হওয়া সংস্কৃত উপসর্গকে তৎসম উপসর্গ বলা হয়।
-
সংখ্যা: ২০টি
-
উপসর্গসমূহ:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ
-
-
বিদেশি উপসর্গ
-
তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি।
-
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 2 months ago
'কদাকার' শব্দটি কোন উপসর্গযোগে গঠিত?
Created: 2 months ago
A
দেশি উপসর্গযোগে
B
বিদেশি উপসর্গযোগে
C
সংস্কৃত উপসর্গযোগে
D
কোনোটি নয়
•‘কদ’ খাঁটি বাংলা উপসর্গযোগে নিন্দিত অর্থে গঠিত শব্দ: কদবেল, কদাকার এবং কদর্য ইত্যাদি।
[অপশনে খাঁটি বাংলা উপসর্গ কথাটা লেখা না থাকায়, প্রশ্নটি 'কোনটিই নয়' সঠিক উত্তর হিসেবে গ্রহণ করা হলো।]
-------------------
• উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. খাটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যে সকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
• বিদেশি উপসর্গ:
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 2 months ago
ক্রমাগত অর্থে 'অ' উপসর্গের প্রয়োগ ঘটেছে নিচের কোন শব্দে?
Created: 1 month ago
A
অজানা
B
অথৈ
C
অঝোর
D
অপয়া
বাংলা উপসর্গ মোট একুশটি, যেগুলো হলো:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
‘অ’ উপসর্গের প্রয়োগ:
-
নিন্দিত অর্থে: অকেজো, অচেনা, অপয়া
-
অভাব অর্থে: অচিন, অজানা, অথৈ
-
ক্রমাগত অর্থে: অঝোর, অঝোরে
0
Updated: 1 month ago