বাংলা ভাষার মধ্যযুগ-
A
১২০১ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ
B
৬০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ
C
১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ
D
৮০০ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার মধ্যযুগ হলো ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
-
এই সময়কাল বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ বিকাশকাল, যেখানে ধর্মীয়, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক ভাবনার কবিতা ও রচনাগুলো বৃদ্ধি পায়।
-
মধ্যযুগে বিভিন্ন প্রকারের সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে—ধর্মীয় কাব্য, জ্ঞানগাথা, আধ্যাত্মিক গীত ও উপাখ্যান।
-
এই সময়ের মুসলিম কবি ও সাহিত্যিকদের রচনা বাংলা সাহিত্যে বৈচিত্র্য এবং নতুন ধারা যোগ করেছে।
-
অন্যান্য বিকল্পগুলো—
-
১২০১ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ → আংশিক সময়কাল,
-
৬০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ → প্রাচীন বাংলা,
-
৮০০ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দ → প্রাচীন বাংলা বা পল্লী সাহিত্যের সময়।
-
-
মধ্যযুগের সাহিত্যিকদের মধ্যে শাহ মুহম্মদ সগীর, কাজী নজরুল ইসলাম পূর্বসুরীদের অন্তর্ভুক্ত।
0
Updated: 4 hours ago
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে কোন ধর্মপ্রচারক-এর প্রভাব অপরিসীম?
Created: 2 months ago
A
শ্রীচৈতন্যদেব
B
শ্রীকৃষ্ণ
C
আদিনাথ
D
মনোহর দাশ
শ্রী চৈতন্যদেব এবং চৈতন্যযুগ
-
শ্রী চৈতন্যদেব মধ্যযুগের বাংলার একজন প্রভাবশালী ধর্মপ্রচারক। যদিও তিনি নিজে কোনো সাহিত্যিক কাব্য রচনা করেননি, তবু তাঁর নামেই একটি সাহিত্য যুগের সূচনা হয়, যা চৈতন্যযুগ নামে পরিচিত।
-
তাঁর প্রভাবে বৈষ্ণব সাহিত্য জন্মে, যা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ফসল বলে বিবেচিত। এই সাহিত্য বাঙালির স্বজাত্যবোধ এবং নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
-
বাংলায় চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনী গ্রন্থ হলো বৃন্দাবন দাসের রচিত ‘চৈতন্য-ভাগবত’।
-
বাংলা সাহিত্যের মধ্যে চৈতন্যযুগের সময়কাল ১৫০০ থেকে ১৭০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
-
শ্রীচৈতন্যদেবের পিতৃদত্ত নাম বিশম্ভর মিশ্র, ডাকনাম নিমাই।
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে।
বৈষ্ণব সাহিত্য
বৈষ্ণব সাহিত্য প্রধানত তিন প্রকারে বিভক্ত:
-
জীবনীকাব্য
-
বৈষ্ণব শাস্ত্র
-
পদাবলী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
মধ্যযুগের শেষ কবি কে?
Created: 6 months ago
A
আব্দুল হাকিম
B
বড়ু চণ্ডীদাস
C
আলাওল
D
ভারত চন্দ্র রায় গুণাকর
অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
- তিনি মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি।
- তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।
- রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে তিনি অন্নদামঙ্গলকাব্য রচনা করেন।
- রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ভারতচন্দ্রকে ‘রায়গুণাকর’ উপাধি দেন।
- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরকে ‘মধ্যযুগের শেষ বড় কবি’ বলা হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 6 months ago
মধ্যযুগের সাহিত্যধারা কেমন ছিল?
Created: 1 month ago
A
গদ্যনির্ভর
B
ধর্মনির্ভর
C
কল্পনানির্ভর
D
রূপকথানির্ভর
মধ্যযুগ বাংলা সাহিত্যে ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্তকালকে বোঝায়। এই সময়ের সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ধর্মকেন্দ্রিকতা, যেখানে মানবতার গুরুত্ব তুলনামূলকভাবে গৌণ।
মধ্যযুগের প্রধান সাহিত্যধারা এবং বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
বৈষ্ণব সাহিত্য
-
মঙ্গলকাব্য
-
শাক্তপদ
-
অনুবাদ সাহিত্য
-
নাথ সাহিত্য
-
জীবনী সাহিত্য বা চরিত সাহিত্য
-
লোক সাহিত্যধারা
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
-
বৈষ্ণব সাহিত্যধারা মধ্যযুগের সাহিত্যে পরিমাণ ও গুণের দিক থেকে সমৃদ্ধ।
-
লোক সাহিত্যধারা ব্যতিক্রমী, কারণ এতে ধর্ম বা দেব-দেবীর চেয়ে মানুষের গুরুত্ব বেশি, এবং মানবিক প্রণয় ও কামনাকে মূল বিবেচনা করা হয়েছে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago