কোনটি মূল ধ্বনি নয়?
A
উ
B
অ
C
এ
D
ঔ
উত্তরের বিবরণ
মূল ধ্বনি নয় ‘ঔ’।
-
বাংলা স্বরবর্ণের মূল ধ্বনি হলো অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, এ, ঐ, ও। এগুলো স্বতন্ত্র স্বর হিসেবে উচ্চারিত হয়।
-
‘ঔ’ ধ্বনি মূল ধ্বনি নয়, কারণ এটি দুটি স্বরের যৌগ থেকে তৈরি সংযুক্ত ধ্বনি, যা স্বতন্ত্র স্বর হিসেবে গণ্য হয় না।
-
মূল ধ্বনিগুলো সাধারণত একক স্বর এবং ধ্বনিগতভাবে মৌলিক, যেমন: অ, আ, ই।
-
সংযুক্ত বা যৌগিক ধ্বনিগুলো (ঐ, ঔ) মূল ধ্বনির সমতুল্য নয়, তবে উচ্চারণে স্বরসংযোজন দ্বারা তৈরি।
-
অন্য বিকল্পগুলো—উ, অ, এ—সবই স্বতন্ত্র মূল ধ্বনি।
0
Updated: 4 hours ago
কোন্ ধ্বনি পরিবর্তনটি যথাযথ নয়?
Created: 4 weeks ago
A
ক্রন্দন > কাঁদা
B
অঞ্চল > আঁচল
C
সংগীত > গীতিকা
D
দন্ত > দাঁত
বাংলা ভাষায় ধ্বনি পরিবর্তনের মাধ্যমে শব্দের রূপান্তর ঘটে, যা সাধারণত তৎসম শব্দ থেকে তদ্ভব শব্দ গঠনের সময় দেখা যায়। এই পরিবর্তনে স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির রূপান্তর ঘটে, যা শব্দের উচ্চারণ ও গঠনে প্রভাব ফেলে। নিচে প্রতিটি বিকল্প বিশ্লেষণ করে দেখা যাক—
ক) ক্রন্দন → কাঁদা:
এটি ধ্বনি-পরিবর্তনের মাধ্যমে গঠিত একটি তদ্ভব রূপ। তৎসম শব্দ ‘ক্রন্দন’ (অর্থ: কান্না) থেকে তদ্ভব ক্রিয়াপদ ‘কাঁদা’ (অর্থ: কান্না করা) উৎপন্ন হয়েছে। এখানে ব্যঞ্জনধ্বনি ও স্বরধ্বনির পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
খ) অঞ্চল → আঁচল:
এটিও ধ্বনি-পরিবর্তনের একটি উদাহরণ। তৎসম শব্দ ‘অঞ্চল’ (অর্থ: অঞ্চল বা কাপড়ের প্রান্ত) থেকে তদ্ভব শব্দ ‘আঁচল’ (অর্থ: শাড়ির প্রান্ত) গঠিত হয়েছে। এখানে স্বরধ্বনির বিকৃতি ঘটেছে, যা ধ্বনিগত রূপান্তর নির্দেশ করে।
গ) সংগীত → গীতিকা:
এই রূপটি ধ্বনি পরিবর্তনের মাধ্যমে গঠিত নয়। এখানে শব্দরূপান্তর প্রত্যয়যোগের মাধ্যমে ঘটেছে। ‘গীতিকা’ শব্দটি ‘গীত’ (অর্থ: গান) শব্দের সঙ্গে ‘-ইকা’ প্রত্যয় যোগ করে গঠিত, যা ছোট গান বা সংগীতের এক রূপ বোঝায়। তাই ‘সংগীত’ থেকে ‘গীতিকা’ ধ্বনি পরিবর্তনের ফলে উৎপন্ন হয়নি।
ঘ) দন্ত → দাঁত:
এটি একটি সুস্পষ্ট ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ, যেখানে তৎসম শব্দ ‘দন্ত’ (অর্থ: দাঁত) থেকে তদ্ভব শব্দ ‘দাঁত’ গঠিত হয়েছে। এখানে স্বরবিকৃতি ও উচ্চারণগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
অতএব, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে ধ্বনি-পরিবর্তনের মাধ্যমে গঠিত নয় — গ) সংগীত → গীতিকা।
0
Updated: 4 weeks ago
কোনটি ধ্বনি-পরিবর্তনের উদাহরণ নয়?
Created: 1 month ago
A
অভিশ্রুতি
B
অন্তর্হতি
C
প্রাতিপদিক
D
ব্যঞ্জন বিকৃতি
প্রাতিপদিক হলো বিভক্তিহীন নাম শব্দ, যা কোনো ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ নয়। সাধারণত মুখ, পা, বই ইত্যাদি শব্দকে প্রাতিপদিক বলা হয়।
-
প্রাতিপদিক
-
বিভক্তিহীন নাম শব্দ
-
উদাহরণ: মুখ, পা, বই
-
-
ধ্বনি পরিবর্তন
-
উচ্চারণের সুবিধার জন্য কিছু শব্দের ধ্বনি পরিবর্তিত হয়
-
ধ্বনি পরিবর্তনের প্রধান উদাহরণ: অভিশ্রুতি, অন্তর্হতি, এবং ব্যঞ্জন বিকৃতি
-
-
অভিশ্রুতি
-
বিপর্যস্ত স্বরধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরের সঙ্গে মিলিয়ে পরবর্তী স্বরের পরিবর্তন ঘটলে অভিশ্রুতি ঘটে
-
উদাহরণ:
-
করিয়া → কইরিয়া → কইরা
-
শুনিয়া → শুনে
-
বলিয়া → বলে
-
হাটুয়া → হাউটা → হেটো
-
মাছুয়া → মেছাে
-
-
-
অন্তর্হতি
-
শব্দের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্তর্হতি বলা হয়
-
উদাহরণ:
-
ফলাহার → ফলার
-
আলাহিদা → আলাদা
-
ফাল্গুন → ফাগুন
-
-
-
ব্যঞ্জন বিকৃতি
-
শব্দের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হলে তাকে ব্যঞ্জন বিকৃতি বলা হয়
-
উদাহরণ:
-
কবাট → কপাট
-
ধােবা → ধােপা
-
ধাইমা → দাইমা
-
-
0
Updated: 1 month ago
'ধ্বনি' সম্পর্কে নিচের কোন বাক্যটি সঠিক নয়?
Created: 1 month ago
A
ধ্বনি দৃশ্যমান
B
মানুষের ভাষার মূলে আছে কতগুলো ধ্বনি
C
ধ্বনি উচ্চারণীয় ও শ্রবণীয়
D
অর্থবোধক ধ্বনিগুলোই মানুষের বিভিন্ন ভাষার বাগ্ধ্বনি
ধ্বনি হলো ভাষার সবচেয়ে ক্ষুদ্র একক, যা মানুষের মনের ভাব প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণভাবে আমরা যেকোনো আওয়াজকেই ধ্বনি হিসেবে বুঝতে পারি, কিন্তু ভাষার ধ্বনি হলো সুনির্দিষ্ট অর্থবোধক আওয়াজ, যা মানুষের উচ্চারণের মাধ্যমে তৈরি হয়।
-
ভাষার ক্ষুদ্রতম একককে ধ্বনি বলা হয়।
-
ধ্বনি বলতে সাধারণভাবে যেকোনো আওয়াজ বোঝানো হতে পারে।
-
ভাষার ধ্বনি হলো এমন আওয়াজ যা বাগ্যন্থের সাহায্যে উচ্চারিত এবং মানুষের ভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়।
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, "কোনও ভাষার উচ্চারিত শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আমরা কতগুলি ধ্বনি পাই।"
মুহম্মদ আবদুল হাই ‘ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব’ গ্রন্থে লিখেছেন, "অর্থবোধক ধ্বনিগুলোই মানুষের বিভিন্ন ভাষার বাগ্ধ্বনি।"
মূল বিষয়গুলো হলো:
-
অর্থবোধক ধ্বনি সমষ্টিই ভাষার প্রধান উপাদান।
-
ধ্বনি দৃশ্যমান নয়, এটি উচ্চারণযোগ্য ও শ্রবণযোগ্য।
-
ধ্বনিকে লিখিত আকারে প্রকাশ করতে এক প্রকার সংকেত বা চিহ্নের প্রয়োজন, যাকে বর্ণ বলা হয়।
-
ধ্বনি নিজে দৃশ্যমান না হলেও বর্ণ দৃশ্যমান হয়ে থাকে।
0
Updated: 1 month ago