বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণের সংখ্যা কোনটি?
A
১০
B
৮
C
১১
D
৯
উত্তরের বিবরণ
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণের সংখ্যা ১০টি।
-
মাত্রাবিহীন বর্ণ হলো যেসব বর্ণে স্বরচিহ্ন বা মাত্রা যুক্ত হয় না।
-
এই বর্ণগুলো স্বতন্ত্রভাবে উচ্চারিত হয় এবং স্বরধ্বনির সাহায্য ছাড়াই পূর্ণ ধ্বনি প্রকাশ করে।
-
মাত্রাবিহীন ১০টি বর্ণ হলো—
ং, ঃ, ঁ, ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ। -
এগুলো সাধারণত ধ্বনিগতভাবে স্বরচিহ্নবিহীন এবং ব্যঞ্জনধ্বনির মূল রূপে ব্যবহৃত হয়।
-
“মাত্রাযুক্ত বর্ণ” বলতে বোঝায় যে বর্ণগুলো স্বরধ্বনির সাহায্যে উচ্চারিত হয়, যেমন: কা, কি, কে ইত্যাদি।
0
Updated: 4 hours ago
ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য কোথায়?
Created: 4 weeks ago
A
লেখার ধরনে
B
উচ্চারনের বিশিষ্টতায়
C
সংখ্যাগত পরিমানে
D
ইন্দ্রিয় গ্রাহ্যে
ধ্বনি ও বর্ণ বাংলা ব্যাকরণে দুটি স্বতন্ত্র ধারণা, যাদের মূল পার্থক্য তাদের প্রকৃতি এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার মধ্যে নিহিত। ধ্বনি শ্রুতিগ্রাহ্য, আর বর্ণ দৃষ্টিগ্রাহ্য। নিচে এই পার্থক্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
ধ্বনি:
-
এটি মুখ থেকে উচ্চারিত শব্দ বা কথনের একক।
-
কান দিয়ে শোনা যায়, অর্থাৎ এটি শ্রুতিগ্রাহ্য।
-
ভাষার মৌখিক রূপের অংশ এবং উচ্চারণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
-
উদাহরণ: ‘ক’ বা ‘আ’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্রুতিগোচর হয়।
-
ভাষাভেদে ধ্বনির সংখ্যা ও প্রকৃতি ভিন্ন হতে পারে।
বর্ণ:
-
এটি ধ্বনির লিখিত প্রতীক বা চিহ্ন।
-
চোখ দিয়ে দেখা যায়, অর্থাৎ এটি দৃষ্টিগ্রাহ্য।
-
বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ (অ, আ, ই) ও ব্যঞ্জনবর্ণ (ক, খ, গ) উভয়ই রয়েছে, যা ধ্বনিকে লিখিত রূপে প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: আমরা যখন ‘ক’ উচ্চারণ করি, তখন তা ধ্বনি; কিন্তু লিখলে ‘ক’ তখন তা বর্ণ।
এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্যের মূল ভিত্তি হলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা, অর্থাৎ একটির উৎস শ্রবণেন্দ্রিয় আর অন্যটির দৃষ্টিেন্দ্রিয়।
0
Updated: 4 weeks ago
‘ওষ্ঠ্য’ বর্ণ কোনগুলো?
Created: 1 day ago
A
ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
B
প, ফ, ব, ভ, ম
C
ক, খ, গ, ঘ, ঙ
D
চ, ছ, জ, ঝ, ঞ
ওষ্ঠ্য বর্ণ সেই বর্ণগুলো যেগুলো উচ্চারণের সময় দুই ঠোঁট বা ওষ্ঠের সাহায্যে উচ্চারিত হয়। এই বর্ণগুলোর উচ্চারণে জিহ্বার ভূমিকা কম, মূল ভূমিকা পালন করে ঠোঁট।
পয়েন্টসমূহ:
-
ওষ্ঠ্য শব্দের অর্থ ঠোঁট-সংক্রান্ত বা ঠোঁট দিয়ে উচ্চারিত।
-
বাংলা বর্ণমালায় প, ফ, ব, ভ, ম এই পাঁচটি বর্ণ উচ্চারণে দুই ঠোঁট স্পর্শ করে।
-
যেমন, ‘পান’, ‘ফুল’, ‘বল’, ‘ভাল’, ‘মাঠ’— এসব শব্দ উচ্চারণে ঠোঁটের কাজ স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
-
অন্যদিকে ট, ঠ, ড, ঢ, ণ হলো মূর্ধন্য, এবং ক, খ, গ, ঘ, ঙ হলো কণ্ঠ্য বর্ণ।
-
তাই উচ্চারণস্থানের ভিত্তিতে সঠিক উত্তর হলো প, ফ, ব, ভ, ম, অর্থাৎ ওষ্ঠ্য বর্ণ।
0
Updated: 1 day ago
কোনটি নিলীন বর্ণ -
Created: 4 days ago
A
ই
B
উ
C
এ
D
অ
অ স্বরবর্ণের কোনো সংক্ষিপ্ত রূপ নেই, কারণ এটি একটি নিলীন বর্ণ, অর্থাৎ এটি শব্দে উচ্চারিত হলেও অনেক সময় স্পষ্টভাবে ধ্বনিত হয় না। স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় কার। বাংলায় মোট ১০টি কার রয়েছে, যা স্বরবর্ণের ধ্বনিকে সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশ করে। অন্যদিকে, ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় ফলা, যার সংখ্যা মোট ৬টি।
• অ নিলীন বর্ণ, কারণ এটি অনেক সময় শব্দে উচ্চারণে লুপ্ত থাকে, যেমন—“কমল” শব্দে দ্বিতীয় অ উচ্চারিত হয় না।
• কার ব্যবহার করা হয় স্বরবর্ণকে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত করে লিখতে; যেমন— ই-কার, ঈ-কার, উ-কার, ঊ-কার, এ-কার, ঐ-কার, ও-কার, ঔ-কার, ঋ-কার, এবং ঌ-কার।
• ফলা ব্যবহৃত হয় ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ প্রকাশ করতে, যা মূল ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত থেকে তার উচ্চারণ পরিবর্তন করে।
• বাংলায় প্রচলিত ৬টি ফলা হলো— য-ফলা, র-ফলা, ব-ফলা, ম-ফলা, ন-ফলা এবং ল-ফলা।
• এই নিয়মগুলো বাংলা বর্ণমালার গঠন ও উচ্চারণব্যবস্থাকে সুনির্দিষ্ট ও স্বচ্ছ করে তোলে।
0
Updated: 4 days ago