যা সহজে অতিক্রম করা যায় না’-এ বাক্যাংশের সংক্ষিপ্ত রূপ কী?
A
অনতিক্রম্য
B
অলঙ্ঘ্য
C
দুরতিক্রম্য
D
দুর্গম
উত্তরের বিবরণ
‘যা সহজে অতিক্রম করা যায় না’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো দুরতিক্রম্য।
-
“দুর” উপসর্গের অর্থ হলো কঠিন বা কষ্টসাধ্য।
-
“অতিক্রম্য” মানে অতিক্রম করা যায় এমন।
-
দুটি মিলে “দুরতিক্রম্য” অর্থ দাঁড়ায়—যা সহজে অতিক্রম করা যায় না, অর্থাৎ কঠিন বা দুঃসাধ্য কিছু।
-
শব্দটি সাধারণত বাধা, প্রতিবন্ধকতা বা বিপদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন— দুরতিক্রম্য বাধা বা দুরতিক্রম্য পরিস্থিতি।
-
অন্য বিকল্পগুলোর মধ্যে “দুর্গম” মানে পৌঁছানো কঠিন, “অলঙ্ঘ্য” মানে লঙ্ঘন করা যায় না, “অনতিক্রম্য” মানে কখনো অতিক্রম করা যায় না—যা সম্পূর্ণ অসম্ভব বোঝায়।
0
Updated: 4 hours ago
“মুক্তি পেতে ইচ্ছুক” এককথায় কি বলে?
Created: 2 days ago
A
মুমুক্ষু
B
মূমূক্ষ
C
মুমূক্ষ
D
মুমুক্ষা
মুক্তি লাভের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে বাংলা ভাষায় নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহৃত হয়। যে ব্যক্তি মুক্তি পেতে ইচ্ছুক তাকে বোঝাতে এককথায় বলা হয় মুমুক্ষু। শব্দটি সংস্কৃত মূল থেকে উদ্ভূত এবং ধর্মীয় বা দার্শনিক আলোচনায় বহুল ব্যবহৃত।
– মুমুক্ষু শব্দের অর্থ হলো “যে মুক্তি কামনা করে” বা “যে মুক্তির প্রত্যাশী।”
– এটি সাধারণত আত্মিক বা আধ্যাত্মিক মুক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
– অপরদিকে, মুমুক্ষা শব্দটি দ্বারা বোঝায় “মুক্তি লাভের আকাঙ্ক্ষা” বা “মুক্তির বাসনা।”
– অর্থাৎ মুমুক্ষু ব্যক্তি, কিন্তু মুমুক্ষা তার ইচ্ছা বা বাসনা।
– এভাবে দুটির পার্থক্য হলো—একটি ব্যক্তিকে নির্দেশ করে, অন্যটি সেই আকাঙ্ক্ষাকে।
0
Updated: 2 days ago
যিনি বক্তৃতা দানে পটু তাকে এক কথায় কি বলে?
Created: 4 weeks ago
A
বক্তা
B
বাচাল
C
বাগ্মী
D
মিতভাষী
‘যিনি বক্তৃতা দানে পটু’ এর এক কথায় প্রকাশ হলো বাগ্মী।
বাগ্মী শব্দটি এমন ব্যক্তিকে বোঝায়, যিনি বক্তৃতা বা বক্তব্য প্রদানে দক্ষ, প্রাঞ্জল ও প্রভাববিস্তারকারীভাবে কথা বলতে পারেন।
অন্য শব্দগুলোর অর্থ:
-
বাচাল: যে অতিরিক্ত কথা বলে; প্রগল্ভ বা বাগাড়ম্বরপ্রিয় ব্যক্তি।
-
মিতভাষী: যে অল্প কথা বলে; সংযমী বক্তা বা সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলায় অভ্যস্ত।
-
বক্তা: যে বক্তব্য দেয় বা বক্তৃতা প্রদান করে; তবে এটি দক্ষতার পরিবর্তে কেবল ভূমিকা প্রকাশ করে।
অতএব, প্রদত্ত প্রশ্নে সঠিক এক কথায় প্রকাশ হবে — বাগ্মী।
0
Updated: 4 weeks ago
যা স্থায়ী নয়-
Created: 2 weeks ago
A
অস্থায়ী
B
ক্ষণস্থায়ী
C
ক্ষণিক
D
নশ্বর
যে জিনিস স্থায়ী নয়, অর্থাৎ দীর্ঘস্থায়ী নয় বা সাময়িক সময়ের জন্য থাকে, তাকে বলা হয় অস্থায়ী। শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয় এমন কোনো কিছু যা কিছু সময় পর পরিবর্তিত হয়, নষ্ট হয়ে যায় বা আর থাকে না। এটি এমন এক অবস্থা বা অবয়বের প্রতীক, যা স্থায়িত্ব লাভ করে না এবং নির্দিষ্ট সময়ের পর বিলুপ্ত হয়ে যায়।
‘অস্থায়ী’ শব্দটি গঠিত হয়েছে ‘অ’ উপসর্গ ও ‘স্থায়ী’ শব্দের সমন্বয়ে। এখানে ‘অ’ উপসর্গটি ‘না’ বা ‘অভাব’ অর্থে ব্যবহৃত, ফলে শব্দটির আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় ‘যা স্থায়ী নয়’। বাংলা ভাষায় এটি সাধারণত বস্তু, অবস্থা, সম্পর্ক বা জীবনের বিভিন্ন দিক বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে স্থায়িত্বের অভাব থাকে।
বাংলা সাহিত্যে ও দৈনন্দিন জীবনে এই শব্দের ব্যবহার বেশ সাধারণ। যেমন— অস্থায়ী বাড়ি, অস্থায়ী চাকরি, অস্থায়ী সমাধান ইত্যাদি ক্ষেত্রে বোঝানো হয় এমন কিছু যা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কার্যকর, কিন্তু স্থায়ী নয়। এই ব্যবহার সমাজের বাস্তব অবস্থা, পরিবর্তনশীলতা ও সময়ের প্রভাবকে প্রকাশ করে।
এই ধারণাটি মানবজীবনের পরিবর্তনশীল প্রকৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। জীবনের সুখ-দুঃখ, সম্পর্ক কিংবা অর্জন—সবকিছুই কোনো না কোনোভাবে অস্থায়ী। সাহিত্যিকেরা এই শব্দের মাধ্যমে জীবনের ক্ষণস্থায়ী রূপ, অনিত্যতা ও পরিবর্তনের দর্শন প্রকাশ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর অনেক কবিতায় জীবনের অস্থায়িত্বকে চিরন্তন সত্য হিসেবে তুলে ধরেছেন।
অস্থায়ী শব্দটি কেবল দার্শনিক বা আবেগগত নয়, বরং প্রশাসনিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। যেমন অস্থায়ী নিয়োগ, অস্থায়ী অনুমতি, বা অস্থায়ী সরকার— এসবের মাধ্যমে বোঝানো হয় সীমিত মেয়াদের জন্য কোনো ব্যবস্থা বা দায়িত্ব।
এ শব্দটির বিপরীতার্থক হলো স্থায়ী, যার অর্থ চিরস্থায়ী, স্থির বা পরিবর্তনহীন। ফলে দুটি শব্দই একে অপরের পরিপূরক অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং ভাষার অর্থবোধকে সমৃদ্ধ করে।
অতএব, ‘যা স্থায়ী নয়’— এর সঠিক একক শব্দ হলো অস্থায়ী, কারণ এটি সময়সাপেক্ষ ও পরিবর্তনশীল বস্তুর প্রকৃতিকে যথাযথভাবে প্রকাশ করে। সুতরাং প্রশ্নের সঠিক উত্তর — ক) অস্থায়ী।
0
Updated: 2 weeks ago