জাতিসংঘ কোন সালে মানবাধিকার সংক্রান্ত বৈশ্বিক যোষণার ঐতিহাসিক নথিটি গ্রহণ করে?
A
১৯৪৮
B
১৯৫৯
C
১৯৪৫
D
২০০০
উত্তরের বিবরণ
মানবাধিকার সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষণাপত্র (Universal Declaration of Human Rights - UDHR) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৮ সালে গৃহীত হয়। এটি মানব ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক নথি, যেখানে প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার সার্বজনীন স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
এই ঘোষণাপত্রের প্রণয়ন মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তৈরি করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে এমন নির্যাতন ও অবিচার রোধ করা যায়।
মূল তথ্য:
-
গৃহীত তারিখ: ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৮
-
প্রণয়নকারী সংস্থা: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (UN General Assembly)
-
প্রধান ভূমিকা পালনকারী: এলেনর রুজভেল্ট, যিনি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন ছিলেন
-
ধারা সংখ্যা: মোট ৩০টি অনুচ্ছেদ, যা জীবনের অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শিক্ষা, কাজ, নিরাপত্তা ও সমতার মতো মৌলিক অধিকারগুলোকে সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরে
জাতিসংঘ সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
প্রতিষ্ঠা: ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫
-
সদর দপ্তর: নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
-
মূল লক্ষ্য: আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা
১০ ডিসেম্বর দিনটি প্রতি বছর “বিশ্ব মানবাধিকার দিবস (Human Rights Day)” হিসেবে পালন করা হয়।
0
Updated: 5 hours ago
বর্তমানে জাতিসংঘের কয়টি মিশন চলমান রয়েছে? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
১০টি
B
১১টি
C
১২টি
D
১৩টি
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন (United Nations Peacekeeping Mission) হলো একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, যা সংঘাতপ্রবণ দেশগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে, মানবাধিকার রক্ষা করতে এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে কাজ করে।
-
প্রধান লক্ষ্য: সংঘর্ষমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা, মানবাধিকার রক্ষা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৮ সালে
-
প্রথম মিশন: ১ম আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় অনুষ্ঠিত United Nations Truce Supervision Organization (UNTSO)
বর্তমান শান্তিরক্ষা মিশন (১১টি):
-
MINURSO: পশ্চিম সাহারা
-
MINUSCA: মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র
-
MONUSCO: গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
-
UNDOF: গোলান হাইটস
-
UNFICYP: সাইপ্রাস
-
UNIFIL: লেবানন
-
UNISFA: আবিয়েই
-
UNMIK: কসোভো
-
UNMISS: দক্ষিণ সুদান
-
UNMOGIP: ভারত ও পাকিস্তান
-
UNTSO: মধ্যপ্রাচ্য
মূল উদ্দেশ্য:
-
সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সশস্ত্র পক্ষগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি বা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করা
-
যুদ্ধ বা সংঘাতের কারণে বিপর্যস্ত জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া
-
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, আঞ্চলিক সরকারের সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালনা
-
যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে পুনর্গঠন কার্যক্রম, যেমন অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ১৯৮৮ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করে।
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘ সনদের কোন অনুচ্ছেদে নিরাপত্তা পরিষদের কাজ ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
২৩ নং
B
২৭ নং
C
২৪ নং
D
২৮ নং
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UN Security Council – UNSC) হলো জাতিসংঘের প্রধান সংস্থা, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা এবং সংঘাত প্রতিরোধের জন্য দায়িত্বশীল। এটি বিশ্বজুড়ে সংঘর্ষ রোধ, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করে।
-
সদস্য সংখ্যা: ১৫ জন (৫টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী)
-
স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র — একত্রে পরিচিত পি-৫ (P-5)
-
নিরাপত্তা পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তার সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য করতে পারে
জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষদের ক্ষমতা ও কাজ (২৪ নং অনুচ্ছেদ):
-
আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা
-
সংঘাত, বিবাদ বা উত্তেজনার উৎস হতে পারে এমন বিষয়ে তদন্ত ও শান্তির প্রতি হুমকি চিহ্নিত করা, এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ করা
-
সমরাস্ত্রের মজুদ ও নিয়ন্ত্রণের কৌশল প্রণয়ন
-
আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা
-
সামরিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ সম্পর্কিত চুক্তি অনুমোদন ও পরিবর্তন করা
-
জাতিসংঘ মহাসচিব মনোনয়ন, সাধারণ পরিষদে সুপারিশ, এবং আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক নিয়োগে সাধারণ পরিষদের সাথে সমন্বয় করা
অতিরিক্ত প্রাসঙ্গিক ধারাসমূহ:
-
২৩ নং অনুচ্ছেদ: নিরাপত্তা পরিষদ গঠন
-
২৭ নং অনুচ্ছেদ: নিরাপত্তা পরিষদের ভোটিং পদ্ধতি
-
২৮ নং অনুচ্ছেদ: নিরাপত্তা পরিষদের কাজের পদ্ধতি
0
Updated: 1 month ago
সম্প্রতি, কোন অঞ্চলকে বিশ্বের সবচেয়ে খাদ্যসংকটপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে? (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
Created: 1 month ago
A
উইঘুর রাজ্য
B
গাজা উপত্যকা
C
আরাকান রাজ্য
D
কিশনগড় উপত্যকা
গাজা উপত্যকাকে বর্তমানে জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে খাদ্যসংকটপূর্ণ ও ক্ষুধার্ত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এখানে মানবিক পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং চরম দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
-
প্রায় ২৩ লাখ মানুষ এখন বিপর্যয়কর ক্ষুধার মুখোমুখি, যা এক মারাত্মক মানবিক সংকটের ইঙ্গিত দেয়।
-
মার্চের ২ তারিখ থেকে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনাহার, অপুষ্টি ও মানবিক বিপর্যয় আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
-
খাবার, ওষুধ, পানি ও জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহে ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে।
-
সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েলের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা সহায়তা সংকটকে আরও তীব্র করেছে।
0
Updated: 1 month ago