ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে স্থানান্তরিত হয় কত সালে?
A
১৯১২ সালে
B
১৯১৩ সালে
C
১৯১৪ সালে
D
১৯১৫ সালে
উত্তরের বিবরণ
১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়া ছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন কর্তৃক ঘোষিত বঙ্গভঙ্গের ফলে প্রশাসনিকভাবে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলা আলাদা করা হলেও ব্যাপক বিক্ষোভ, বয়কট ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মুখে ব্রিটিশ সরকার তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেওয়া হয় রাজা পঞ্চম জর্জের (King George V) শাসনামলে, যখন লর্ড হার্ডিঞ্জ ভারতের ভাইসরয় ছিলেন। এই সময়েই ভারতের প্রশাসনিক রাজধানী পরিবর্তনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়, যা উপমহাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।
ঘটনাগুলোর ধারাবাহিক ক্রম নিম্নরূপ:
১. ১২ ডিসেম্বর ১৯১১: দিল্লিতে রাজা পঞ্চম জর্জের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারতীয় প্রজাদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা প্রদান করা হয়।
২. একই অনুষ্ঠানে রাজা ঘোষণা দেন যে, ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করা হবে। এর মাধ্যমে ভারতের রাজনৈতিক কেন্দ্র পূর্বাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চলে সরিয়ে নেওয়া হয়।
৩. ১৯১২ সালে দিল্লিতে সরকারের অস্থায়ী প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়, যা পরবর্তীতে স্থায়ী প্রশাসনিক অবকাঠামো তৈরির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
৪. দীর্ঘ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার পর ১৯৩১ সালে দিল্লিকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ সম্পন্ন হয়।
৫. এর পূর্বে কলকাতাই ছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী, যা ১৮৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শেষ হওয়ার পর থেকে প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
রাজধানী স্থানান্তরের এই সিদ্ধান্ত মূলত ভারতের কেন্দ্রীয় অঞ্চল থেকে শাসন সহজতর করা ও রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে বঙ্গভঙ্গ রদ করে ব্রিটিশ সরকার বাঙালিদের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া ক্ষোভ প্রশমনেরও চেষ্টা করে। এই ঘটনাগুলো ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায় হিসেবে স্থান পেয়েছে।
0
Updated: 6 hours ago
ভারত ও নেপালের মধ্যকার বিতর্কিত একটি অঞ্চল-
Created: 2 months ago
A
লাদাখ
B
কালাপানি
C
কাশ্মীর
D
তিনবিঘা করিডোর
• কালাপানি
-
কালাপানি হলো ভারত ও নেপালের মধ্যে বিতর্কিত একটি অঞ্চল, যা উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলায় অবস্থিত।
-
বর্তমানে এটি ভারত প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
-
নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি খোলা সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে কিছু অঞ্চল নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বিরোধ আছে।
-
বিরোধের কেন্দ্রে থাকা ভূখণ্ডগুলোর মধ্যে কালাপানি, লিপুলেখ ও সুস্তা অন্যতম।
-
অবস্থান: নেপালের উত্তর-পশ্চিম অংশে; দক্ষিণে ভারতের কুমায়ুন, উত্তরে চীনের তিব্বত।
-
এই ভূখণ্ড হলো ভারত, নেপাল ও চীনের সংযোগস্থল।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সীমান্ত
-
তিন বিঘা করিডোর: বাংলাদেশ ও ভারতের সংযোগ পথ।
-
কাশ্মীর: ভারত ও পাকিস্তান মধ্য অবস্থিত; কিছু অংশ ভারত শাসিত, কিছু পাকিস্তান শাসিত।
উৎস: BBC ও সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ✅
0
Updated: 2 months ago
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কোন অংশে ভারত সম্প্রতি (ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ) সামরিক বিমান হামলা পরিচালনা করে?
Created: 2 months ago
A
এবোটাবাদ
B
বালাকোট
C
কোয়েটা
D
গিলগিট
এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা পরিবর্তনশীল। এটি বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
0
Updated: 2 months ago
সম্প্রতি, কোন দেশ বাংলাদেশ থেকে পাটপণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
চীন
B
ভারত
C
পাকিস্তান
D
যুক্তরাষ্ট্র
১১ আগস্ট, ২০২৫ ভারত বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটপণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানির ধরন ও পথে পরিবর্তন এসেছে।
-
বিধিনিষেধ প্রযোজ্য পণ্যগুলো হলো:
-
পাট ও পাটজাতীয় পণ্যের কাপড়
-
পাটের দড়ি বা রশি
-
পাটজাতীয় পণ্য দিয়ে তৈরি দড়ি বা রশি
-
পাটের বস্তা বা ব্যাগ
-
-
নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, এসব পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে হলে সমুদ্রপথে মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর ব্যবহার করতে হবে।
-
বর্তমানে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসব পণ্যের যে পরিমাণ রপ্তানি হয়, তার মাত্র ১ শতাংশ সমুদ্রপথে যায়, বাকিটা স্থলপথে রপ্তানি হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারত বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্যের বড় বাজার।
-
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে মোট ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
-
বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৩.৭৫ শতাংশ আসে ভারতের বাজার থেকে।
-
অন্যদিকে, ভারত বাংলাদেশ থেকে ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে, যার বড় অংশ শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য।
0
Updated: 1 month ago