এশিয়াকে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে পৃথক করেছে কোন প্রণালী?
A
জিব্রাল্টার প্রণালী
B
বসফরাস প্রণালী
C
বাবেল মান্দেব প্রণালী
D
বেরিং প্রণালী
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রণালীগুলো ভূ-রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এসব প্রণালী মহাদেশ ও দেশকে পৃথক করার পাশাপাশি মহাসাগর ও সাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে বৈশ্বিক নৌপরিবহনের প্রধান পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিচে উল্লেখযোগ্য প্রণালীগুলোর অবস্থান, সংযোগ ও বিভাজন সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করা হলো।
১. বাবেল মান্দেব প্রণালী: এশিয়ার ইয়েমেন ও আফ্রিকার জিবুতি ও এরিত্রিয়াকে পৃথক করেছে। এটি লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরকে সংযুক্ত করে, যা সুয়েজ খাল হয়ে ইউরোপ-এশিয়ার নৌপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২. জিব্রাল্টার প্রণালী: ইউরোপের স্পেন ও আফ্রিকার মরক্কোকে পৃথক করে এবং ভূমধ্যসাগরকে আটলান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত করে। এটি ইউরোপ-আফ্রিকা বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান গেটওয়ে।
৩. বসফরাস প্রণালী: ইউরোপীয় তুরস্ক ও এশীয় তুরস্ককে বিভক্ত করেছে। এটি কৃষ্ণ সাগর ও মারমারা সাগরকে যুক্ত করে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
৪. বেরিং প্রণালী: রাশিয়া (এশিয়া) ও **আলাস্কা (উত্তর আমেরিকা)**কে পৃথক করেছে। এটি উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরকে সংযুক্ত করে এবং ইতিহাসে এশিয়া থেকে আমেরিকা অভিবাসনের সম্ভাব্য পথ হিসেবে বিবেচিত।
৫. মালাক্কা প্রণালী: মালয় উপদ্বীপ ও সুমাত্রা দ্বীপকে পৃথক করে এবং আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরকে যুক্ত করে। এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বাণিজ্যপথ।
৬. পানামা প্রণালী: মানবসৃষ্ট একটি জলপথ, যা মধ্য আমেরিকাকে বিভাজন করে এবং আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্ত করে। এটি বৈশ্বিক বাণিজ্যে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৭. পক প্রণালী: ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে পৃথক করে এবং বঙ্গোপসাগর ও মান্নার উপসাগরকে যুক্ত করে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ।
৮. হরমুজ প্রণালী: ইরান ও ওমানের মধ্যে অবস্থিত, যা পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরকে সংযুক্ত করে। বিশ্বব্যাপী তেল পরিবহনের একটি প্রধান রুট এটি।
৯. লম্বক প্রণালী: বালি ও লম্বক দ্বীপকে পৃথক করেছে এবং জাভা সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযুক্ত করে। এটি মালাক্কা প্রণালীর বিকল্প নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এই প্রণালীগুলো কেবল ভৌগোলিকভাবে নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্য, জ্বালানি সরবরাহ ও সামরিক কৌশলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 6 hours ago
পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
আফ্রিকা
B
ইউরোপ
C
উত্তর আমেরিকা
D
এশিয়া
এশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম ও সর্বাধিক জনবহুল মহাদেশ, যা ভৌগোলিকভাবে মূলত পূর্ব ও উত্তর গোলার্ধে বিস্তৃত। এটি পৃথিবীর মোট স্থলভাগের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে অবস্থান করছে এবং এখানে বিশ্বের জনসংখ্যার অধিকাংশ বসবাস করে।
-
এশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ।
-
এটি মূলত পূর্ব ও উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত।
-
এশিয়া পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৮.৭% এবং স্থলভাগের প্রায় ৩০% দখল করে আছে।
-
মহাদেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৪৩০ কোটি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০%-এরও বেশি।
-
চীন ও ভারত, দুটি সর্বাধিক জনবহুল দেশ, এই মহাদেশেই অবস্থিত।
-
এশিয়ায় বহু সংস্কৃতি, ধর্ম ও ভাষার বৈচিত্র্য বিদ্যমান।
-
এটি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।
-
প্রাকৃতিক সম্পদ, জনসংখ্যা এবং ভৌগোলিক বৈচিত্র্যের কারণে এশিয়া বিশ্বে অনন্য গুরুত্ব বহন করে।
0
Updated: 2 weeks ago
এশিয়া মহাদেশে দেশের সংখ্যা কয়টি?
Created: 2 weeks ago
A
৩৩টি
B
৩৫টি
C
৫৩টি
D
৪৪টি
0
Updated: 2 weeks ago
বর্তমানে এশিয়ায় কতটি দেশ 'Least Developed Countries' হিসেবে স্বীকৃত?
Created: 1 month ago
A
৩২টি
B
৪৪টি
C
৬টি
D
৮টি
LDC:
- LDC-এর পূর্ণরূপ: Least Developed Countries বা স্বল্পোন্নত দেশ।
- স্বল্পোন্নত দেশ বলতে সেসব দেশ বুঝায় যেগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং মানবিক উন্নয়ন অপর্যাপ্ত।
- জাতিসংঘের মতে, এই দেশগুলো আর্থ-সামাজিক বিকাশের সর্বনিম্ন সূচক প্রদর্শন করে।
- বর্তমানে বিশ্বে ৪৪টি স্বল্পোন্নত দেশ রয়েছে, এর মধ্যে এশিয়া মহাদেশের ৮টি দেশ হয়েছে।
- সর্বশেষ সাও টোমে ও প্রিন্সিপ ২০২৪ সালে LDC থেকে উর্ত্তীণ হয়েছে।
- বাংলাদেশ ২০২৬ সালে LDC থেকে উর্ত্তীণ হবে।
0
Updated: 1 month ago