একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত অঞ্চল সমূহকে যে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে দেখানো হয় তার নাম-
A
আইসোপ্লিথ
B
আইসোহাইট
C
আইসোহ্যালাইন
D
আইসোথার্ম
উত্তরের বিবরণ
আইসোহাইট হলো এমন একটি কাল্পনিক রেখা, যা মানচিত্রে সমান বৃষ্টিপাতপ্রাপ্ত অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করে। অর্থাৎ, কোনো অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমান পরিমাণ বৃষ্টিপাত (যেমন ২০০ মিমি) হয়, তবে সেই স্থানগুলোকে যুক্ত করে যে রেখা আঁকা হয়, সেটিই আইসোহাইট। এই রেখার মাধ্যমে আবহাওয়াবিদরা বৃষ্টিপাতের পরিমাণের ভৌগোলিক ভিন্নতা ও বণ্টন বিশ্লেষণ করেন।
সম্পর্কিত পরিভাষা:
-
আইসোপ্লিথ (Isopleth): মানচিত্রে সমান মানবিশিষ্ট বিন্দুগুলোকে সংযুক্ত করা একটি কাল্পনিক রেখা। এটি বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, চাপ বা অন্য যেকোনো পরিমাণগত মান বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
আইসোহ্যালাইন (Isohaline): সমান লবণাক্ততাবিশিষ্ট অঞ্চলগুলোকে যুক্ত করে যে রেখা আঁকা হয়। এটি সাধারণত সমুদ্র ও হ্রদের লবণাক্ততার অধ্যয়নে ব্যবহৃত হয়।
-
আইসোথার্ম (Isotherm): সমান তাপমাত্রাবিশিষ্ট অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করা রেখা। এটি তাপমাত্রা বণ্টনের ভৌগোলিক চিত্র প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 7 hours ago
সকালে রংধনু সৃষ্টির কারণ-
Created: 1 week ago
A
বায়ুস্তর
B
ধূলিকণা
C
বায়ুমন্ডল
D
বৃষ্টির কণা
সকালে বা আকাশে রংধনু দেখা যায় তখন সূর্যের আলো বৃষ্টির ছোট ছোট কণার সঙ্গে মিশে প্রতিফলিত এবং ভগ্ন হয়। রংধনু মূলত বৃষ্টির কণা এবং সূর্যের আলো একসঙ্গে কাজের ফলে সৃষ্টি হয়। এই প্রাকৃতিক দৃশ্যটি সাধারণত বৃষ্টির পর বা হালকা বৃষ্টির সময় দেখা যায়, যখন সূর্য আকাশে ওঠা অবস্থায় থাকে।
রংধনু গঠনের প্রক্রিয়াটি হলো আলো প্রতিফলন, প্রতিসরণ এবং ভগ্নের সমন্বয়ে। সূর্যের সাদা আলো বিভিন্ন রঙের মিশ্রণ, এবং যখন এটি বৃষ্টির কণার মধ্য দিয়ে যায়, তখন আলোর প্রিজমের মতো ভগ্ন হয়। প্রতিটি রঙ আলাদা কোণে প্রতিফলিত হয়, ফলে মানুষের চোখে একটি চক্রাকারে রঙিন চিত্র সৃষ্টি হয়। রংধনুর বর্ণ সাধারণত লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, ইন্দিগো এবং বেগুনি আকারে পর্যায়ক্রমে প্রদর্শিত হয়।
বৃষ্টির কণার আকার এবং সূর্যের অবস্থান রংধনুর দৃশ্যমানতা নির্ধারণ করে। সকাল বা সন্ধ্যার সময় সূর্য নীচে থাকায় আলোটি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এবং রংধনু তুলনামূলকভাবে সুস্পষ্ট দেখা যায়। আলোর ভগ্ন প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডল বা ধূলিকণা সরাসরি রংধনু সৃষ্টি করে না; তারা আলোকে কিছুটা ছড়িয়ে দিতে পারে, কিন্তু আসল রংধনু তৈরি হয় বৃষ্টির কণার কারণে, কারণ কণাগুলোই আলোকে প্রতিসরণ এবং ভগ্নের জন্য পর্যাপ্ত ঘনত্ব এবং আকার প্রদান করে।
রংধনুর প্রাকৃতিক সুন্দরতা শুধু চোখের জন্য আকর্ষণীয় নয়, এটি আলোর বৈজ্ঞানিক বৈশিষ্ট্যও প্রকাশ করে। এটি প্রমাণ করে যে, সূর্যের আলো একক নয় বরং বিভিন্ন রঙের মিশ্রণ, এবং বৃষ্টির কণার সঙ্গে আলোর সংযোগেই এই রঙিন স্পেকট্রাম দৃশ্যমান হয়। সুতরাং, সকালের রংধনু প্রকৃতির এক চমকপ্রদ উপস্থাপনা, যা বৃষ্টির কণার উপস্থিতি এবং সূর্যের আলো একসাথে কাজ করার ফল।
0
Updated: 1 week ago