গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহ নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত চুক্তি "The Kyoto Protocol" জাতিসংঘ কর্তৃক কত সালে গৃহীত হয়?
A
১৯৯৭
B
১৯৯৯
C
২০০৩
D
২০০৪
উত্তরের বিবরণ
কিয়োটো প্রোটোকল (Kyoto Protocol) ছিল জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক পর্যায়ে নেওয়া অন্যতম প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ আইনি পদক্ষেপ। এটি ১৯৯৭ সালের ১১ ডিসেম্বর জাপানের কিয়োটো শহরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন (UNFCCC)-এর অধীনে গৃহীত হয়। এর মূল লক্ষ্য ছিল গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণ করা, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত।
-
গৃহীত হওয়ার তারিখ: ১১ ডিসেম্বর ১৯৯৭
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৫, প্রয়োজনীয় সংখ্যক দেশ অনুমোদন দেওয়ার পর
-
গৃহীত স্থান: কিয়োটো, জাপান
-
উদ্দেশ্য: বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) নির্গমন হ্রাস করা এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণে নির্গমন কমানোর বাধ্যবাধকতার আওতায় আনা।
-
নির্গমনযোগ্য গ্যাস: কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂), মিথেন (CH₄), নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) সহ মোট ছয়টি গ্রিনহাউস গ্যাস।
-
প্রধান বৈশিষ্ট্য: এটি ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি যেখানে উন্নত দেশগুলোকে আইনি বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে নির্গমন কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
-
পরবর্তী সংশোধন: ২০১২ সালে গৃহীত “Doha Amendment” এর মাধ্যমে প্রোটোকলের মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
-
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ: বাংলাদেশ ২০০১ সালে কিয়োটো প্রোটোকলে স্বাক্ষর করে, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
কিয়োটো প্রোটোকল জলবায়ু নীতির ইতিহাসে একটি মাইলফলক, যা পরবর্তীতে প্যারিস চুক্তি (Paris Agreement, ২০১৫)-র মতো নতুন বৈশ্বিক জলবায়ু উদ্যোগের ভিত্তি স্থাপন করে।
0
Updated: 8 hours ago
কিয়োটো প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয় কবে?
Created: 2 months ago
A
১৯৮৯ সালে
B
১৯৯৫ সালে
C
১৯৯০ সালে
D
১৯৯৭ সালে
কিয়োটো প্রটোকল (Kyoto Protocol)
-
স্বাক্ষর ও স্থান: কিয়োটো, জাপান, ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৭
-
কার্যকর হয়: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫
-
আয়োজক সংস্থা: UNFCCC (United Nations Framework Convention on Climate Change)
-
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: এটি জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি বহুপাক্ষিক চুক্তি
-
উদ্দেশ্য: কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ হ্রাস করা
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও দক্ষিণ সুদান প্রটোকলটি সমর্থন করেনি
-
২০১২ সালে কানাডা নিজেকে প্রটোকল থেকে প্রত্যাহার করে
-
উৎস: Britannica
0
Updated: 2 months ago
কার্বন ক্রেডিট’ ধারণাটি কোন আন্তর্জাতিক প্রোটোকলের অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
কিয়োটো
B
নাগোয়া
C
জেনেভা
D
মন্ট্রিল
কিয়োটো প্রটোকল (Kyoto Protocol)
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৭ সালে জাপানের কিয়োটো শহরে
-
কার্যকর: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ থেকে
-
উদ্দেশ্য: বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমানো এবং কার্বন নিঃসরণের সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ
-
বিশেষ বৈশিষ্ট্য: কার্বন ক্রেডিট বা কার্বন বাণিজ্য (Carbon Credit/Carbon Trading) প্রোটোকলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা দেশগুলোকে অনুমোদিত সীমার মধ্যে কার্বন নিঃসরণ করতে এবং অতিরিক্ত নিঃসরণ বিক্রি করতে দেয়।
অন্যান্য প্রোটোকল ও চুক্তি
-
নাগোয়া প্রোটোকল (Nagoya Protocol): জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা।
-
মন্ট্রিয়েল প্রোটোকল (Montreal Protocol): ওজোনস্তর সংরক্ষণ।
সূত্র: জাতিসংঘ (UNFCCC ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট)
0
Updated: 1 month ago
"Clean Development Mechanism" নিম্নের কোন চুক্তির অংশ?
Created: 2 months ago
A
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি
B
কিয়োটো প্রোটোকল
C
রটারডাম কনভেনশন
D
কার্টাগেনা প্রোটোকল
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আন্তর্জাতিক সংস্থা
কিয়োটো চুক্তি
কিয়োটো প্রটোকল (Kyoto Protocol)
-
সংজ্ঞা: কিয়োটো প্রটোকল হলো জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় শিল্পোন্নত দেশগুলোকে গ্রিনহাউস গ্যাসের (GHG) নির্গমন হ্রাসে বাধ্যতামূলক করা আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
স্বাক্ষরিত: ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৭
-
কার্যকর: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫
-
স্থান: কিয়োটো, জাপান
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ৮৩টি
-
অনুমোদনকারী দেশ: ১৯২টি
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
-
গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস:
-
প্রোটোকলের অধীনে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে নির্দিষ্ট হারে GHG নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে।
-
নীতি: “common but differentiated responsibility and respective capabilities”
-
উন্নত দেশগুলোকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে, কারণ তারা ইতিহাসে বেশি GHG নির্গমনের জন্য দায়ী।
-
-
Clean Development Mechanism (CDM):
-
কিয়োটো প্রটোকলের ১২ অনুচ্ছেদের আওতায় CDM চালু।
-
উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশে বিনিয়োগ করে বা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে GHG নির্গমন কমাতে পারে।
-
এর মাধ্যমে দেশগুলো নিজেদের নির্গমন হ্রাসের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারে।
-
উৎস: UNFCCC ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago