IUCN এর কাজ হলো বিশ্বব্যাপী-
A
পানি সম্পদ রক্ষা করা
B
সন্ত্রাস দমন করা
C
প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা
D
পরিবেশ দূষণ রোধ করা
উত্তরের বিবরণ
IUCN (International Union for Conservation of Nature) বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সংরক্ষণে অগ্রগামী একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের গ্ল্যান্ড শহরে অবস্থিত। সংস্থাটি সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ের সংগঠন নিয়ে গঠিত, বর্তমানে প্রায় ১৭০টি দেশের ১,৪০০-এরও বেশি সদস্য সংস্থা IUCN-এর অংশ। পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে এটি জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৪৮ সাল
-
সদর দপ্তর: গ্ল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড
-
সদস্যসংখ্যা: প্রায় ১৭০টি দেশ ও ১,৪০০ সরকারি-বেসরকারি সংস্থা (পরিবর্তনশীল)
-
মূল উদ্দেশ্য: বিশ্বজুড়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার, এবং পরিবেশবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন।
-
কার্যক্রম: সংস্থাটি বিভিন্ন গবেষণা, প্রকল্প ও নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড়, বনজ ও সামুদ্রিক জীব সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সবচেয়ে পরিচিত প্রকাশনা: প্রতি বছর IUCN প্রকাশ করে বিখ্যাত “Red List of Threatened Species”, যেখানে বিশ্বের বিপন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের তালিকা সংরক্ষিত থাকে। এই তালিকাটি পরিবেশবিদ, নীতিনির্ধারক ও গবেষকদের জন্য জীববৈচিত্র্য রক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে এবং প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহারে IUCN একটি নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, যা পৃথিবীর পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখছে।
0
Updated: 8 hours ago
MERCOSUR গঠনে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়-
Created: 2 months ago
A
Treaty of Asuncion
B
Treaty of Lima
C
Treaty of Montevideo
D
Treaty of Buenos Aires
MERCOSUR
-
পূর্ণরূপ: Southern Common Market
-
সংজ্ঞা: দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক বাণিজ্য গোষ্ঠী।
-
প্রতিষ্ঠা তারিখ: ২৬ মার্চ, ১৯৯১
-
সদরদপ্তর: মন্টিভিডিও, উরুগুয়ে
-
প্রতিষ্ঠাকালীন চুক্তি: Treaty of Asunción
-
চুক্তি স্বাক্ষরের স্থান: আসুনসিয়ন, প্যারাগুয়ে
-
প্রধান ভাষা: স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৫টি — আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা
-
ভেনেজুয়েলার সদস্যপদ স্থগিত: ২০১৬
-
-
সহযোগী সদস্য: বলিভিয়া, চিলি, পেরু, ইকুয়েডর, গায়ানা, সুরিনাম, কলম্বিয়া
-
পর্যবেক্ষক দেশ: মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড
-
উদ্দেশ্য:
-
আঞ্চলিক অর্থনৈতিক একীকরণ
-
বাণিজ্য ও পণ্য, সেবা, মূলধন, শ্রমের মুক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করা
-
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
-
উৎস: Britannica ওয়েবসাইট, Mercosur ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
’স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড’ কোন দেশের পুলিশ সংস্থা?
Created: 1 month ago
A
যুক্তরাজ্য
B
স্কটল্যান্ড
C
নেদারল্যান্ড
D
অস্ট্রিয়া
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড হলো লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতরের প্রচলিত নাম এবং যুক্তরাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ সংস্থা।
-
এটি লন্ডন শহরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ তদন্তে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৮২৯
-
উদ্যোক্তা: তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট পিল
-
প্রথম অফিস: স্কটল্যান্ড প্লেস রাস্তায় অবস্থিত
-
নামের উৎস: এলাকার নাম থেকে “Scotland Yard” প্রচলিত হয়
-
বর্তমান নাম: New Scotland Yard
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সমুদ্র চলাচল বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ICAO
B
WMO
C
IOM
D
IMO
IMO বা International Maritime Organization হলো সমুদ্র চলাচল সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা, যা সমুদ্র নিরাপত্তা, পরিবেশ সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ জেনেভায় একটি কনভেনশন গৃহীত হয়, যা ১৭ মার্চ ১৯৫৮ কার্যকর হয়
-
শুরুতে নাম ছিল Inter-governmental Maritime Consultative Organisation (IMCO), পরে নামকরণ করা হয় International Maritime Organization (IMO)
-
১৯৫৯ সালের ১৩ জানুয়ারি IMO জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে মর্যাদা লাভ করে
-
সদর দপ্তর: লন্ডন, যুক্তরাজ্য
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ১৭৬টি (জুন, ২০২৫)
-
বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে IMO-এর সদস্যপদ লাভ করে
অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ:
-
IOM: আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা
-
WMO: বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা
-
ICAO: আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago