কোন তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করে?
A
২০ আগস্ট, ২০২০
B
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
C
১৮ অক্টোবর, ২০২০
D
১৫ জুলাই, ২০২০
উত্তরের বিবরণ
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA) থেকে সরে গিয়ে ইরানের ওপর পুনরায় কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরবর্তীতে, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে ট্রাম্প প্রশাসন জাতিসংঘের “স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম” ব্যবহার করে ঘোষণা দেয় যে ইরানের বিরুদ্ধে পূর্বের সব জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা পুনরায় কার্যকর হলো। এর ফলে ইরানের ব্যাংকিং ব্যবস্থা, তেল রপ্তানি ও অস্ত্র কেনাবেচা নতুনভাবে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এই সিদ্ধান্ত ইরানের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।
-
অর্থনৈতিক সংকট: ইরানের রিয়াল মুদ্রার মূল্য ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতি ৩৫% থেকে ৪০% ছাড়িয়েছে। ২০২৫ সালের অক্টোবরের শুরুতে ইরান সরকার মুদ্রা রিডেনমিনেশন (চার শূন্য বাদ দেওয়া) পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। একই সঙ্গে তেল রপ্তানি হ্রাস ও রাজস্ব ঘাটতি দেশটির অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে তুলেছে, বিশেষ করে নতুন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে।
-
পারমাণবিক ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ: ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ অক্টোবর ২০২৫ সালে JCPOA চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে এবং এরপর আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর সঙ্গে সহযোগিতা বাতিল করে। পাশাপাশি, গোপন পারমাণবিক স্থাপনাসহ নতুন ভূগর্ভস্থ সাইট নির্মাণের খবর আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
-
প্রাদেশিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক: ইরান ও রাশিয়া ২০ বছরের কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে। অপরদিকে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি ২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা দিয়েছে।
-
মানবাধিকার ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি: সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি ও দ্বৈত নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর বিচার, সামাজিক অবক্ষয়, জল ও বিদ্যুৎ সংকট এবং প্রতিবাদ আন্দোলনের বিস্তার ইরানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলেছে।
সার্বিকভাবে, ইরান বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দা, পারমাণবিক উত্তেজনা এবং আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার মধ্যে জর্জরিত; যার প্রভাব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকেও গভীরভাবে নাড়া দিচ্ছে।
0
Updated: 8 hours ago
‘ইসলামিক কনসালটেটিভ অ্যাসেম্বলি’ কোন দেশের পার্লামেন্টের নাম?
Created: 2 months ago
A
কাতার
B
ইরাক
C
কুয়েত
D
ইরান
0
Updated: 2 months ago
কোন দুটি দেশের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে “অপারেশন রাইজিং লায়ন” পরিচালিত হয়?
Created: 1 month ago
A
ইসরায়েল ও সিরিয়া
B
ইসরায়েল ও ইরান
C
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান
D
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন
অপারেশন রাইজিং লায়ন (Operation Rising Lion) হলো ইসরায়েল কর্তৃক ইরানে পরিচালিত একটি সামরিক অভিযান, যার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক সক্ষমতাকে দুর্বল করা। এই অভিযানের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়।
-
অভিযান শুরুর তারিখ: ১৩ জুন, ২০২৫।
-
লক্ষ্যবস্তু: ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং সামরিক সক্ষমতা।
-
ব্যবহৃত সামরিক শক্তি: ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (IDF) জানিয়েছে, এই অভিযানে ২০০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়।
-
টার্গেট: আইআরজিসি (IRGC) ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীদের ওপর হামলা চালানো হয়।
-
যুদ্ধবিরতি: ২৪ জুন, ২০২৫ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ:
-
এই অভিযানের জবাবে ইরান “ট্রু প্রমিজ ৩” নামে পাল্টা অভিযান চালায়, যেখানে ইসরায়েলের একাধিক সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়।
-
পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে “অপারেশন মিডনাইট হ্যামার” পরিচালনার মাধ্যমে এই সংঘাতে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হয়।
0
Updated: 1 month ago
ওপেকভুক্ত অ-আরব মুসলিম দেশ কোনটি?
Created: 3 months ago
A
ইন্দোনেশিয়া
B
মালয়েশিয়া
C
ইরাক
D
ইরান
ইরান — একটি ওপেকভুক্ত, কিন্তু অ-আরব মুসলিম দেশ।
OPEC সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
OPEC-এর সম্পূর্ণ নাম হলো: Organization of the Petroleum Exporting Countries।
-
এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলিকে নিয়ে গঠিত।
-
১৯৬০ সালে বাগদাদ, ইরাকে এর প্রতিষ্ঠা হয়।
-
প্রতিষ্ঠাকালে এর সদস্য সংখ্যা ছিল ৫টি, যার মধ্যে ছিল ইরাক, ইরান, কুয়েত, সৌদি আরব ও ভেনিজুয়েলা।
-
বর্তমানে OPEC-এর সদস্য দেশ ১২টি।
-
বর্তমানে সংস্থার সদর দফতর ভিয়েনা, অস্ট্রিয়াতে অবস্থিত।
-
১৯৬৫ সালের আগে সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ছিল।
-
বর্তমানে OPEC-এর সদস্য দেশসমূহ হলো: আলজেরিয়া, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, গ্যাবন, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভেনিজুয়েলা।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
-
১ জানুয়ারি ২০২৪-এ আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদক দেশ অ্যাঙ্গোলা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে OPEC থেকে বেরিয়ে গেছে।
তথ্যের উৎস: OPEC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago