বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’-এখানে ‘টাপুর টুপুর’ কোন ধরনের শব্দ?
A
ছড়ার শব্দ
B
শব্দের দ্বিরুক্তি
C
ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি
D
পদের দ্বিরুক্তি
উত্তরের বিবরণ
‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’-এখানে ‘টাপুর টুপুর’ হলো ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি।
-
এটি ধ্বনির অনুকরণে সৃষ্টি শব্দ, অর্থাৎ শব্দের ধ্বনি প্রকৃত ঘটনা বা শব্দকে অনুকরণ করে।
-
বৃষ্টির ঝড় বা ফোঁটার শব্দকে বোঝাতে ‘টাপুর টুপুর’ ব্যবহার করা হয়েছে।
-
ধ্বন্যাত্মক শব্দ সাধারণত প্রকৃতি, পশু-পাখি বা দৈনন্দিন শব্দের ধ্বনি অনুকরণ করে।
-
দ্বিরুক্তি অর্থ একই বা মিলিত ধ্বনি দুইবার বা মিলিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
বাংলা সাহিত্যে ও ছড়ায় এই ধরনের শব্দ খুব প্রচলিত।
-
এটি শব্দের আওয়াজ ও ছন্দ বোঝাতে সাহায্য করে।
0
Updated: 11 hours ago
'টসটস' কোন ধরনের দ্বিরুক্ত শব্দ?
Created: 2 months ago
A
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
B
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব
C
অনুকার দ্বিত্ব
D
পদাত্মক দ্বিত্ব
ধ্বন্যাত্মক শব্দ (Onomatopoeic Words)
সংজ্ঞা:
-
কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে।
-
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব: ধ্বন্যাত্মক শব্দের পোনেরাবৃত্তি।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের উদাহরণ:
-
কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস-কুটুস, খক খক, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, চকচক, টসটস, থকথকে, ভটভট, হিস হিস
স্বল্প স্বরধ্বনিসহ উদাহরণ:
-
খপাখপ, গবাগব, ঝটাঝট, ফটাফট, দমাদম, পটাপট
সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
'জ্বর' শব্দের দ্বিরুক্তিতে কোন অর্থ প্রকাশ পায়?
Created: 2 months ago
A
সামান্য
B
আধিক্য
C
আতিশয্য
D
অনুরূপ
দ্বিরুক্ত শব্দ
-
সংজ্ঞা: কোনো শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, তা দুইবার ব্যবহার করলে অন্য কোনো সম্প্রসারিত বা বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে। এইভাবে পরপর দুইবার ব্যবহৃত শব্দকে দ্বিরুক্ত বলা হয়।
উদাহরণ:
-
'জ্বর' → জ্বর জ্বর (সামান্য অর্থ প্রকাশ পায়)
বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তির অর্থ:
-
আধিক্য বোঝাতে: রাশি রাশি ধান, থোকা থোকা জাম
-
সামান্য বোঝাতে: আমি আজ জ্বর জ্বর অনুভব করছি
-
পরম্পরতা বা ধারাবাহিকতা বোঝাতে: তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ
-
ক্রিয়া বিশেষণ বোঝাতে: সে ধীরে ধীরে যায়
-
অনুরূপ বোঝাতে: তার সঙ্গী-সাথী কেউ নেই
-
আগ্রহ বোঝাতে: সে মা মা বলে কাঁদছে
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ); মাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
কোনটি অব্যয়বাচক দ্বিরুক্তির উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
ভারা ভারা
B
ছম ছম
C
হাতে নাতে
D
নেই নেই
বাংলা ভাষায় অব্যয়বাচক দ্বিরুক্তি হলো সেই ধরনের শব্দসমষ্টি যা সাধারণত অব্যয় বা ক্রিয়াবিশেষণ না হয়ে ধ্বনিমূলক বা অর্থবাচক অনুরূপ শব্দের পুনরাবৃত্তি দিয়ে গঠিত হয়। এই ধরনের দ্বিরুক্তিতে শব্দগুলো সাধারণত অভিব্যক্তি, অনুভূতি বা কণ্ঠস্বরের ছন্দ প্রকাশ করে এবং ভাষায় রস, তাল ও লয় যোগ করে।
‘ছম ছম’ শব্দটি এই ধরনের একটি উদাহরণ। এটি মূলত ধ্বনির অনুকরণে বা ছন্দময় প্রকাশে ব্যবহৃত হয়, যা কোনো ঘটনার তীব্রতা বা ক্রিয়ার গতি বোঝায়। এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য হলো:
-
ধ্বনিমূলক পুনরাবৃত্তি: ‘ছম ছম’ শব্দের পুনরাবৃত্তি ধ্বনিগত প্রভাব সৃষ্টি করে এবং শব্দটির সঙ্গে যুক্ত ঘটনার তীব্রতা বা তৎপরতা পাঠকের কাছে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করে।
-
অব্যয়বাচক প্রভাব: এটি কোনো ক্রিয়া বা বিশেষণ নয়, বরং অব্যয়বাচক ধ্বনি বা বাচ্যসূচক শব্দ, যা পরিস্থিতি বা অভিব্যক্তি প্রকাশ করে।
-
ভাষার ছন্দ ও রস: এই ধরনের দ্বিরুক্তি বাংলা কথ্য ও সাহিত্যিক ভাষায় ছন্দ, লয় ও রস যোগ করে। উদাহরণস্বরূপ, ‘ছম ছম’ শব্দটি পদ্যে বা গদ্যে চলমান বা তীব্র গতির ইঙ্গিত দেয়।
-
সাহিত্যিক ব্যবহার: অব্যয়বাচক দ্বিরুক্তি সাধারণত গদ্য, কবিতা ও নাটক-এ ব্যবহৃত হয়, যেখানে শব্দের ধ্বনি বা ছন্দ পাঠকের অনুভূতিতে প্রভাব ফেলে।
সারসংক্ষেপে, ‘ছম ছম’ শব্দটি অব্যয়বাচক দ্বিরুক্তির একটি典তম উদাহরণ, যা মূলত ধ্বনিগত প্রভাব এবং ছন্দময় প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং কোনো ঘটনার গতি, তীব্রতা বা তৎপরতা সহজভাবে বোঝাতে সহায়ক। অব্যয়বাচক দ্বিরুক্তি বাংলা ভাষার ধ্বনি, ছন্দ ও রসকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 week ago