বহুব্রীহি সমাস কয় প্রকার?
A
আট প্রকার
B
ছয় প্রকার
C
দশ প্রকার
D
তিন প্রকার
উত্তরের বিবরণ
বহুব্রীহি সমাস আট প্রকার।
-
বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের মিলিত অর্থে নতুন শব্দ গঠিত হয়।
-
এই সমাসে মূল পদ অন্য কিছু নির্দেশ করে, স্বীয় অর্থ প্রকাশ করে না।
-
উদাহরণ: পিতামুখ (যার মুখ পিতার মতো), চক্রপাণি (যার হাতে চক্র আছে)।
-
বহুব্রীহি সমাসের প্রধান আটটি প্রকার হলো—
১. উপমানবাচক ২. বিশেষ্যবাচক ৩. বিশেষণবাচক ৪. সংখ্যা-বাচক
৫. অব্যয়বাচক ৬. অব্যয়প্রধান ৭. তৎপুরুষজাত ৮. দ্বন্দ্বজাত। -
এটি সংস্কৃত ও বাংলা দুই ভাষাতেই গুরুত্বপূর্ণ সমাসরূপ।
-
শব্দগঠন ও ব্যাকরণ বোঝার জন্য এর ভূমিকা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
0
Updated: 11 hours ago
বহুব্রীহি সমাসবদ্ধ পদ কোনটি?
Created: 3 months ago
A
জনশ্রুতি
B
অনমনীয়
C
খাসমহল
D
তপোবন
বহুব্রীহি সমাস
যে সমাসে সমস্যমান পদগুলাের কোনােটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোনাে পদকে বােঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন:
- দশ আনন যার - দশানন।
[এখানে ‘দশ’ বা ‘আনন’ (অর্থাৎ মুখ) পদের অর্থ বোঝানো হয়নি। লঙ্কার রাজা রাবণের দশটি মাথা থাকায় তার নাম দশানন, এখানে মূলত ‘দশ আনন যার’ বলতে লঙ্কার রাজা রাবণকে বোঝানো হয়েছে।]
এরূপকিছু উদাহরণ হলো:
• জনের মুখ হতে শ্রুত যা - জনশ্রুতি।
• দশহজ পরিমাণ যার - দশগজি।
• ধর্মে বুদ্ধি যার - ধর্মবুদ্ধি।
• নীল কণ্ঠ যার - নীলকণ্ঠ।
• চার পদ আছে যার - চতুষ্পদী।
অন্যদিকে,
• ব্যাসবাক্য অনুসারে ‘অনমনীয়’ শব্দটি নঞ্ বহুব্রীহি ও নঞ্ তৎপুরুষ উভয় সমাসই হয়।
যেমন:
- নয় নমনীয় যা - অনমনীয় (নঞ্ বহুব্রীহি সমাস)।
- নয় নমনীয় - অনমনীয় (নঞ্ তৎপুরুষ) সমাস।
• খাস যে মহল - খাসমহল; কর্মধারয় সমাস।
• তপের নিমিত্ত বন - তপোবন; এটি চতুর্থী তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ।
• ব্যাসবাক্য বিবেচনায় বহুব্রীহি সমাসবদ্ধ পদ হচ্ছে ‘জনশ্রুতি’। সুতরাং সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর অপশন ‘ক’ জনশ্রুতি।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 3 months ago
নিচের কোনটি বহুব্রীহি সমাস?
Created: 1 week ago
A
দেশান্তর
B
হাতাহাতি
C
গাছপাকা
D
কর্মকর্তা
দেশান্তর শব্দের অর্থ অন্য দেশ; এটি একটি নিত্য সমাস, যেখানে দুটি শব্দ মিলেও আলাদা করে অর্থ বোঝা যায় না। হাতাহাতি মানে হাতে হাতে যে লড়াই; এটি ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস, কারণ এখানে “হাতে হাতে” অর্থে যুক্ত হয়ে লড়াইয়ের ভাব প্রকাশ করেছে। গাছপাকা অর্থ গাছে পাকা; এটি সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস, যেখানে “গাছে” শব্দটি সপ্তমী বিভক্তিযুক্ত। আর কর্মকর্তা অর্থ কর্মের কর্তা; এটি ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস, কারণ এখানে “কর্মের” শব্দটি ষষ্ঠী বিভক্তি দ্বারা যুক্ত হয়ে কর্তাকে নির্দেশ করেছে।
-
দেশান্তর → অন্যদেশ → নিত্য সমাস
-
হাতাহাতি → হাতে হাতে যে লড়াই → ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
-
গাছপাকা → গাছে পাকা → সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস
-
কর্মকর্তা → কর্মের কর্তা → ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
0
Updated: 1 week ago
বহুব্রীহি সমাসে কোনপদ প্রাধান্য পায়?
Created: 1 month ago
A
পর পদ
B
উভয় পদ
C
পূর্বপদ
D
তৃতীয় কোন অর্থ প্রকাশ করে।
বহুব্রীহি সমাস
-
সংজ্ঞা: যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনটির অর্থ সরাসরি বোঝা যায় না, বরং অন্য কোন পদ বা অর্থকে নির্দেশ করে, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: ‘ব্রীহি’ মানে ধান।
-
বৈশিষ্ট্য: সমস্যমান পদগুলোর কোনটির অর্থ প্রাধান্য পায় না; বরং তৃতীয় পদ বা শব্দের অর্থ প্রধান হয়ে যায়।
বহুব্রীহি সমাসের প্রকার:
১. সমানাধিকরণ
২. ব্যাধিকরণ
৩. মধ্যপদলোপী
৪. প্রত্যয়ান্ত
৫. ব্যতিহার
৬. নঞর্থক
৭. সংখ্যাবাচক
৮. অলুক
0
Updated: 1 month ago