‘প্রত্যুষ’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ করুন।
A
প্রত্যু + উষ
B
প্রতি + ঊষ
C
প্রত্যু + উষ
D
প্রত্যু + উষ
উত্তরের বিবরণ
‘প্রত্যুষ’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হলো প্রতি + ঊষ।
‘প্রত্যুষ’ শব্দটি দুটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত। প্রথম অংশ ‘প্রতি’ যার অর্থ প্রতিটি বা প্রতি বার এবং দ্বিতীয় অংশ ‘ঊষ’ যার অর্থ ভোর বা প্রভাত। একত্রে, ‘প্রত্যুষ’ অর্থ ভোরের সময় বা সূর্যের উদয়কাল। প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে এটি ভোরের সূচনার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। শব্দের সঠিক বিচ্ছেদ করলে বোঝা যায় প্রতিটি দিন বা প্রতিটি সকালে কিছু নির্দিষ্ট ঘটে। এটি ভোরের আলাদা বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব প্রকাশে সাহায্য করে। শব্দের গঠন ও অর্থ বোঝার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে সাহিত্যিক প্রয়োগে।
-
‘প্রতি’ = প্রতিটি, প্রতি বার
-
‘ঊষ’ = ভোর, প্রভাত
-
শব্দগঠন = প্রতি + ঊষ
-
ব্যবহার = ভোরের সূচনার নির্দেশ
-
সাহিত্যিক প্রয়োগে বিশেষ গুরুত্ব
0
Updated: 11 hours ago
ফররুখ আহমদের সনেট সংকলন কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নৌফেল ও হাতেম
B
মুহূর্তের কবিতা
C
সিরাজাম মুনীরা
D
হাতেমতায়ী
• মুহূর্তের কবিতা:
- ইসলামী স্বাতন্ত্র্যবাদী কবি/ মুসলিম জাগরণের কবি ফররুখ আহমদের সনেট সংকলন - মুহূর্তের কবিতা।
- গ্রন্থটি ১৯৬৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
- এতে মোট ৯৩টি সনেট কবিতা রয়েছে যা শেক্সপীরিয়-পেত্রার্কীয় রীতিতে ৬৮ অক্ষর চরণ মাত্রায় রচিত।
- উল্লেখযোগ্য কবিতা: মুহূর্তের কবিতা, অশান্ত পৃথিবী, পরিচিতি, ধানের কবিতা ইত্যাদি।
--------------------
• ফররুখ আহমদ:
- তিনি ছিলেন মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি। তিনি ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
- ১৯৪৪ সালে কলকাতার দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে 'লাশ' কবিতা লিখে তিনি প্রথম খ্যাতি অর্জন করেন।
- ফররুখ আহমদ তাঁর বিখ্যাত কাহিনী কাব্য 'হাতেমতায়ী' এর জন্য ১৯৬৬ সালে আদমজী পুরস্কার লাভ করেন।
- ১৯৬৬ সালেই 'পাখির বাসা' শিশুতোষের জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার লাভকরেন।
ফররুখ আহমদ রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- সাত সাগরের মাঝি,
- সিরাজাম মুনীরা,
- নৌফেল ও হাতেম,
- মুহূর্তের কবিতা,
- সিন্দাবাদ,
- হাতেমতায়ী,
- নতুন লেখা,
- হাবেদা মরুরকাহিনী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'স্বাগত' শব্দটির শুদ্ধ সন্ধি-গঠন কোনটি?
Created: 1 week ago
A
স্বা + আগত
B
সু + আগত
C
স্ব + আগত
D
সা + আগত
বাংলা ভাষায় সন্ধি হলো দুটি শব্দের মিলিত হয়ে একটি নতুন শব্দ গঠনের প্রক্রিয়া। সন্ধি-নিয়ম অনুসারে, শব্দের অংশগুলোর সংযোগে ধ্বনি পরিবর্তন বা মিলনের কারণে নতুন রূপ সৃষ্টি হয়। ‘স্বাগত’ শব্দটি একটি প্রচলিত শুভেচ্ছা বা অভ্যর্থনা প্রকাশকারী শব্দ, যা মূলত ‘সু’ + ‘আগত’ দুটি অংশ থেকে গঠিত।
এর মূল বিষয়গুলো হলো:
-
প্রথম অংশের অর্থ: ‘সু’ শব্দটি সংস্কৃত থেকে আগত এবং এর অর্থ ভালো, সু- বা শুভ বোঝায়। এটি কোনো কিছুর গুণ বা ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে।
-
দ্বিতীয় অংশের অর্থ: ‘আগত’ শব্দটি ‘আসা’ ক্রিয়ার অতীত অংশ বা রূপ, যা বোঝায় আসা বা আগমন।
-
মিলনের প্রক্রিয়া: ‘সু’ + ‘আগত’ মিলিত হয়ে ‘স্বাগত’ শব্দটি গঠন করে। এখানে ধ্বনি পরিবর্তনের ফলে ‘সু’ এবং ‘আগত’-এর সংযোগে একটি সুন্দর, উচ্চারণযোগ্য শব্দ সৃষ্টি হয়।
-
সাহিত্যিক ও দৈনন্দিন ব্যবহারে গুরুত্ব: ‘স্বাগত’ শব্দটি কেবল কথ্যভাষায় নয়, সাহিত্য ও প্রবন্ধেও অভ্যর্থনা, শুভেচ্ছা এবং অতিথি-প্রীতি প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়।
সারসংক্ষেপে, ‘স্বাগত’ শব্দটি শুদ্ধভাবে ‘সু’ + ‘আগত’ অংশের মিলনফল। এটি একদিকে আগমনের সূচনা বোঝায় এবং অন্যদিকে শুভেচ্ছা ও সৌজন্যের প্রকাশ ঘটায়। বাংলা ভাষায় এই ধরনের সন্ধি-নিয়ম শব্দকে উচ্চারণে সহজ, অর্থে সুনির্দিষ্ট এবং ব্যবহারিকভাবে কার্যকর করে তোলে।
0
Updated: 1 week ago
'ভাবুক' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
ভৌ + ঊক
B
ভৌ + উক
C
ভাব + উক
D
ভো + অক
‘ভাবুক’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হলো ভৌ + উক। এটি একটি স্বরসন্ধির উদাহরণ, যেখানে স্বরের পরিবর্তনের মাধ্যমে দুটি ধ্বনি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে।
স্বরসন্ধির নিয়ম:
-
এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পরে যথাক্রমে এ, ঐ স্থানে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে অব্, আব্ হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
ভৌ + উক = ভাবুক (সূত্র: ঔ + উ = আব্ + উ)
-
পৌ + অক = পাবক
-
গো + আদি = গবাদি
-
গো + এষণা = গবেষণা
-
পো + ইত্র = পবিত্র
-
নৌ + ইক = নাবিক
0
Updated: 4 weeks ago