'ভাণ্ডারী ' কোন অঞ্চলের লোকগান?
A
রংপুর
B
সিলেট
C
চট্রগ্রাম
D
ময়মনসিংহ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের লোকসঙ্গীত বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি ও জীবনধারাকে প্রতিফলিত করে। ভাণ্ডারী গান চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সঙ্গীতের অংশ।
• এটি মূলত চট্টগ্রামের গ্রামীণ জনজীবন ও ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে গাওয়া হয়।
• গানের ধরণ সাধারণত লোকধর্ম ও আঞ্চলিক কৃষ্টিকে তুলে ধরে।
• ভাণ্ডারী গানে চট্টগ্রামের মানুষের আবেগ, কাজ ও উৎসবের চিত্র ফুটে উঠে।
• এই গান শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে।
অতএব, ভাণ্ডারী গান চট্টগ্রামের লোকগান হিসেবেই স্বীকৃত।
0
Updated: 12 hours ago
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক নাটক কোনটি?
Created: 2 months ago
A
কবর
B
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
C
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
D
ওরা কদম আলী
'কবর' নাটক ও এর পটভূমি
-
লেখক: অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী।
-
পটভূমি: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। এটি ভাষা আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে লেখা প্রথম নাটক।
-
লেখার প্রেক্ষাপট: ১৯৫৩ সালে জেলে থাকা অবস্থায় বামপন্থী রণেশ দাশগুপ্ত মুনীর চৌধুরীকে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনের জন্য একটি নাটক লেখার অনুরোধ করেন। এই অনুরোধের ভিত্তিতে মুনীর চৌধুরী নাটকটি রচনা করেন।
-
প্রকাশ ও মঞ্চায়ন: নাটকটি প্রথম মঞ্চায়ন হয় ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের মাধ্যমে। পরে ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
'কবর' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী
-
নাটকটি মূলত মার্কিন নাট্যকার Irwin Shaw-এর 'Bury The Dead' (১৯৩৬) নাটকের প্রভাবিত হয়ে রচিত।
-
নাটকের শুরুতে ভাষা আন্দোলনের একটি মিছিলে পুলিশ গুলি চালায় এবং শহরে কারফিউ জারি করে লাশগুলো রাতের আঁধারে কবরস্থানে নিয়ে যায়।
-
পুলিশ ইন্সপেক্টর হাফিজ এবং একজন নেতা (নাটকে নাম উল্লেখ নেই) লাশগুলো একত্রে মাটিচাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু গোর-খোদক বাধা দেয়।
-
কবরস্থানে থাকা স্বজনহারা পাগল মুর্দা ফকিরও প্রতিবাদ জানায়, লাশগুলো আন্দোলনকারীর, তাই এভাবে কবরস্থ করা যাবে না।
-
অবশেষে লাশগুলো উঠে দাঁড়ায় এবং ঘোষণা করে তারা কবরে যাবে না। এতে ইন্সপেক্টর ও নেতা ভয় পেয়ে যান।
সমকালীন অন্যান্য নাটক
-
'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' – সৈয়দ শামসুল হক, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাব্যনাট্য।
-
'জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন' – সেলিম আল দীন, ১৯৭২ সালে ডাকসু মঞ্চস্থ ও নাট্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত।
-
'ওরা কদম আলী' – মামুনুর রশীদ, ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জীবনের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ চেতনা তুলে ধরেছে।
মুনীর চৌধুরীর জীবন ও সাহিত্য
-
জন্ম: ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মানিকগঞ্জ।
-
তিনি একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক এবং বাগ্মী।
-
শিক্ষাজীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
নাট্যকর্ম
মৌলিক নাটক:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
অনুবাদ নাটক:
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
সূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'চার ইয়ারী কথা' কোন ধরনের রচনা?
Created: 1 month ago
A
কাব্যগ্রন্থ
B
গল্পগ্রন্থ
C
প্রবন্ধ
D
উপন্যাস
'চার ইয়ারী কথা' প্রমথ চৌধুরীর লেখা একটি গল্পগ্রন্থ যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়। গল্পগ্রন্থে চার বন্ধুর প্রেমকাহিনী বর্ণিত হয়েছে, যেখানে নায়িকারা সবাই ইউরোপীয়। গল্পের নায়িকাদের চরিত্রে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়; প্রথম নায়িকা উন্মাদ, দ্বিতীয় চোর, তৃতীয় প্রতারক এবং চতুর্থ নায়িকা মৃত্যুর পর ভালোবাসা প্রকাশ করেছে। বইটিতে ভাষার চাতুর্য, পরিহাসপ্রিয়তা এবং সূক্ষ্ম ব্যঙ্গের মাধ্যমে ভাবালু প্রেমকাহিনীকে প্রতিবাদী রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
এটি প্রমথ চৌধুরীর গল্পগ্রন্থ।
-
প্রকাশিত হয়েছে ১৯১৬ সালে।
-
গল্পে চার বন্ধুর প্রেমের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
-
নায়িকারা সবাই ইউরোপীয়।
-
প্রথম নায়িকা: উন্মাদ, দ্বিতীয় নায়িকা: চোর, তৃতীয় নায়িকা: প্রতারক, চতুর্থ নায়িকা: মৃত্যুর পর ভালোবাসা প্রকাশ।
-
ভাষার চাতুর্য, পরিহাসপ্রিয়তা এবং সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ গল্পে প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রমথ চৌধুরীর অন্যান্য গল্পগ্রন্থ:
-
আহুতি
-
নীললোহিত
-
গল্প সংগ্রহ
0
Updated: 1 month ago
বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে খ্যাত কে?
Created: 2 months ago
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
প্রমথ চৌধুরী
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
উইলিয়াম কেরী
• ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর:
- তিনি ছিলেন সংস্কৃত পন্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক, জনহিতৈষী।
- তিনি ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ ঈশ্বরচন্দ্রকে 'বিদ্যাসাগর' উপাধি প্রদান করে।
- তিনি বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে খ্যাত।
- তিনি বাংলা গদ্যে প্রথম যতি বা বিরামচিহ্ন স্থাপন করেন।
- তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ 'বেতাল পঞ্চবিংশতি'।
- তাঁর রচিত ব্যাকরণগ্রন্থের নাম 'ব্যাকরণ কৌমুদী'।
- তিনি ২৯ জুলাই, ১৮৯১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
• তাঁর রচিত বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থ:
- শকুন্তলা,
- সীতার বনবাস,
- ভ্রান্তিবিলাস ইত্যাদি।
0
Updated: 2 months ago