‘কর্মে যার ক্লান্তি নাই’-এ বাক্যাংশের সংক্ষিপ্ত রূপ কী?
A
ক্লান্তিহীন
B
অক্লান্তকর্মী
C
অবিশ্রাম
D
অক্লান্ত
উত্তরের বিবরণ
অক্লান্তকর্মী – ‘কর্মে যার ক্লান্তি নাই’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
-
‘অক্লান্তকর্মী’ হলো একটি বিশেষণমূলক শব্দ, যা কর্মঠ ও অক্লান্ত পরিশ্রমী ব্যক্তিকে নির্দেশ করে।
-
এই শব্দটি দুটি অংশ থেকে গঠিত: ‘অ’ (নিষেধার্থক অব্যয়) এবং ‘ক্লান্তকর্মী’।
-
‘অ’ দ্বারা ক্লান্তির অভাব বোঝানো হয়েছে, ফলে শব্দের অর্থ দাঁড়ায় যে ব্যক্তি ক্লান্ত হয় না এবং নিরন্তর কাজ করতে সক্ষম।
-
সাহিত্য ও সাধারণ কথ্য ভাষায় এটি প্রায়ই ব্যবহৃত হয় পরিশ্রমী ও দায়িত্বনিষ্ঠ ব্যক্তির বর্ণনা দিতে।
-
বিকল্প শব্দ যেমন ‘ক্লান্তিহীন’, ‘অবিশ্রাম’ আংশিক অর্থ প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু পুরো অর্থ বোঝাতে যথাযথ নয়।
0
Updated: 14 hours ago
'মন হরণ করে যা' এক কথায় বলে-
Created: 1 month ago
A
মনোহর
B
মনোহত
C
মনোরথ
D
মনোময়
‘মন হরণ করে যা’ এক কথায়: মনোহর
অন্য সমার্থক ও প্রায়শব্দ:
-
মনোহত: নিরাশ, হতাশ, মনে আঘাতপ্রাপ্ত
-
মনোরথ: ইচ্ছা, বাসনা, অভিলাষ, সংকল্প
-
মনোময়: মনের কল্পনায় রচিত, মানস
0
Updated: 1 month ago
'যা উচ্চারণ করা যায় না' এর এক কথায় প্রকাশ কী হবে?
Created: 1 week ago
A
দুরুচ্চার্য
B
দুরপনেয়
C
অবরোদ্ধ
D
অনুচ্চার্য
‘যা উচ্চারণ করা যায় না’ এর এক কথায় প্রকাশ হলো ‘অনুচ্চার্য’। কারণ ‘অনুচ্চার্য’ শব্দটি এমন কোনো বিষয়, শব্দ বা নামকে বোঝায়, যা মুখে উচ্চারণ করা উচিত নয় বা যায় না।
-
‘অনুচ্চার্য’ শব্দটি গঠিত হয়েছে দুটি অংশে— ‘অ’ (নিষেধ বা না বোঝায়) এবং ‘উচ্চার্য’ (যা উচ্চারণযোগ্য)।
-
একত্রে এর অর্থ দাঁড়ায়— যা উচ্চারণযোগ্য নয় বা যা উচ্চারণ করা যায় না।
-
এটি সাধারণত ধর্মীয়, নৈতিক বা সামাজিক নিষেধ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
অন্য বিকল্পগুলো:
-
দুরুচ্চার্য অর্থ কঠিন উচ্চারণযোগ্য।
-
দুরপনেয় অর্থ যা গ্রহণ করা কঠিন।
-
অবরোদ্ধ অর্থ যা বন্ধ বা বাধাগ্রস্ত।
-
-
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো — ঘ) অনুচ্চার্য।
0
Updated: 1 week ago
এক কথায় প্রকাশ কর, 'কম কথা বলে যে'-
Created: 2 weeks ago
A
আবাচাল
B
মিতভাষী
C
মিতভাষি
D
মিতভাসী
যে ব্যক্তি অল্প কথা বলে, তাকে মিতভাষী বলা হয়। শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘মিত’ অর্থাৎ ‘সংযমিত’ এবং ‘ভাষী’ অর্থাৎ ‘বক্তা’ থেকে। অর্থাৎ, যার কথায় সংযম আছে, যিনি প্রয়োজন ছাড়া কথা বলেন না—তিনি মিতভাষী।
মিতভাষী ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য হলো—তিনি অযথা কথা না বলে ভাবনাচিন্তা করে কথা বলেন।
তিনি সবসময় বিনয়ী, যুক্তিবোধসম্পন্ন ও শিষ্টাচারসম্পন্ন হয়ে থাকেন।
এদের কথায় পরিমিতি ও সংযম দেখা যায়, যা ব্যক্তিত্বকে আরও মর্যাদাপূর্ণ করে তোলে।
সমাজে এমন মানুষদের সাধারণত জ্ঞানী ও ভদ্র হিসেবে গণ্য করা হয়।
‘অল্প কথায় অনেক কিছু বলা’—এটাই মিতভাষীর মূল গুণ।
তাদের কথা সংক্ষিপ্ত হলেও অর্থবহ হয় এবং তা অন্যদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সাহিত্যে, নীতিকথায় এবং আচার-আচরণে মিতভাষিতা একটি মহৎ গুণ হিসেবে বিবেচিত।
অন্যদিকে, যারা বেশি কথা বলে, তাদের কথার গুরুত্ব কমে যায়; কিন্তু মিতভাষীরা তাঁদের সংযত ও চিন্তাশীল কথাবার্তার মাধ্যমে সম্মান অর্জন করেন।
অতএব, ‘কম কথা বলে যে’ তার এক কথায় প্রকাশ—মিতভাষী।
0
Updated: 2 weeks ago