A
গুল্ম
B
জন্ম
C
যুগ্ম
D
স্মরণ
উত্তরের বিবরণ
ম বর্ণের সাধারণ উচ্চারণ [ম]। শব্দের প্রথম বর্ণে ম-ফলা থাকলে সেই বর্ণ উচ্চারণের সময়ে ম-এর উচ্চারণ [অঁ]-এর মতো হয়।
যেমন: শ্মশান [শঁশান্], স্মরণ [শঁরোন্]।
• শব্দের মধ্যে ম-ফলা থাকলে সেই বর্ণ উচ্চারণে দ্বিত্ব হয় এবং সামান্য অনুনাসিক হয়।
যেমন: আত্মীয় [আত্তিঁয়ো], পদ্ম [পদ্দোঁ]।
• কিছু ক্ষেত্রে ম-ফলায় ম্-এর উচ্চারণ বজায় থাকে।
যেমন: যুগ্ম [জুগ্মো], জন্ম [জন্মো], গুল্ম [গুল্মো]।

0
Updated: 4 weeks ago
প-বর্গীয় ধ্বনি কোনটি?
Created: 1 week ago
A
ঞ
B
ন
C
ম
D
ঢ
• ক-বর্গীয় ধ্বনি: ক, খ, গ, ঘ, ঙ- এ পাঁচটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণ জিহ্বার গোড়ার দিকে নরম তালুর পশ্চাৎ ভাগ স্পর্শ করে। এগুলো জিহ্বামূলীয় বা কণ্ঠ্য স্পর্শধ্বনি।
• চ-বর্গীয় ধ্বনি: চ, ছ, জ, ঝ, ঞ-এ পাঁচটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণে জিহ্বার অগ্রভাগ চ্যাপটাভাবে তালুর সম্মুখ ভাগের সঙ্গে ঘর্ষণ করে। এদের বলা হয় তালব্য স্পর্শধ্বনি।
• ট-বর্গীয় ধ্বনি: ট, ঠ, ড, ঢ, ণ -এ পাঁচটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণে জিহ্বার অগ্রভাগ কিঞ্চিৎ উল্টিয়ে ওপরের মাড়ির গোড়ার শক্ত অংশকে স্পর্শ করে। এগুলোর উচ্চারণে জিহ্বা উল্টা হয় বলে এদের নাম দন্তমূলীয় প্রতিবেষ্টিত ধ্বনি। আবার এগুলো ওপরের মাড়ির গোড়ার শক্ত অংশ অর্থাৎ মূর্ধায় স্পর্শ করে উচ্চারিত হয় বলে এদের বলা হয় মূর্ধন্য ধ্বনি।
• ত-বর্গীয় ধ্বনি: ত, থ, দ, ধ, ন- এ পাঁচটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণে জিহ্বা সম্মুখে প্রসারিত হয় এবং অগ্রভাগ ওপরের দাঁতের পাটির গোড়ার দিকে স্পর্শ করে। এদের বলা হয় দন্ত্য ধ্বনি।
• প-বর্গীয় ধ্বনি: প, ফ, ব, ভ, ম-এ পাঁচটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণে ওষ্ঠের সঙ্গে অধরের স্পর্শ ঘটে। এদের ওষ্ঠ্যধ্বনি বলে।

0
Updated: 1 week ago
কোনটি স্বরভক্তির উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
ইস্কুল
B
আইজ
C
মাইর
D
শোলোক
- অ – রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম, স্বপ্ন > স্বপন, হর্ষ > হরষ ইত্যাদি।
- ই – প্রীতি > পিরীতি, ক্লিপ > কিলিপ, ফিল্ম > ফিলিম ইত্যাদি।
- উ – মুক্তা মুকুতা, তুর্ক » তুরুক, ক্রু » ভুরু ইত্যাদি।
- এ – গ্রাম > গেরাম, প্ৰেক > পেরেক, স্রেফ > সেরেফ ইত্যাদি।
- ও – শ্লোক » শােলােক, মুরগ > মুরােগ > মােরগ ইত্যাদি।
- স্কুল > ইস্কুল,
- স্ত্রী > ইস্ত্রী
- স্টেশন > ইস্টেশন
- স্টিমার > ইস্টিমার ইত্যাদি।

0
Updated: 1 month ago
’রাখিয়া > রাইখ্যা’- কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
অপিনিহিতি
B
অন্ত্যস্বরাগম
C
অসমীকরণ
D
স্বরসঙ্গতি
অপিনিহিতি
পরের ই-কারের আগে অথবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার/উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
উদাহরণ: আজি → আইজ, সাধু → সাউধ, রাখিয়া → রাইখ্যা, বাক্য → বাইক্য, সত্য → সইত্য, চারি → চাইর, মারি → মাইর।
অন্ত্যস্বরাগম
কিছু ক্ষেত্রে শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি যুক্ত হয়। একে বলা হয় অন্ত্যস্বরাগম।
উদাহরণ: দিশ্ → দিশা, পোখত্ → পোক্ত, বেঞ্চ → বেঞ্চি, সত্য → সত্যি।
অসমীকরণ
একই স্বরের পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য মাঝখানে নতুন স্বরধ্বনি যুক্ত হলে তাকে অসমীকরণ বলে।
উদাহরণ: ধপ ধপ → ধপাধপ, টপ টপ → টপাটপ।
স্বরসঙ্গতি
একটি স্বরের প্রভাবে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে।
উদাহরণ: দেশি → দিশি, বিলাতি → বিলিতি, মুলা → মুলো।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ৯ম-১০ম শ্রেণি, ২০২৫ সালের সংস্করণ

0
Updated: 1 week ago