‘ধীমান’ শব্দটির অর্থ কি?
A
প্রজ্ঞাবান
B
বুদ্ধিমান
C
নিরীহ
D
শান্ত
উত্তরের বিবরণ
‘ধীমান’ শব্দের অর্থ হলো বুদ্ধিমান।
এটি মানুষের বুদ্ধি, প্রজ্ঞা ও বিবেচনার ক্ষমতা নির্দেশ করে।
-
ধীমান ব্যক্তি যুক্তি-বুদ্ধি এবং বিচক্ষণতার দিক থেকে আলাদা।
-
এটি প্রায়ই সাহিত্যিক ও সাধারণ কথ্য ভাষায় বুদ্ধিমানের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
বিকল্প ‘প্রজ্ঞাবান’ও আংশিক অর্থ প্রকাশ করে, তবে মূল অর্থ হলো বুদ্ধিমান।
-
‘নীরীহ’ বা ‘শান্ত’—ধীমান শব্দের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
তাই সঠিক উত্তর হলো বুদ্ধিমান।
0
Updated: 14 hours ago
শিখণ্ডী শব্দের অর্থ কী?
Created: 3 months ago
A
কবুতর
B
কোকিল
C
খরগোশ
D
ময়ূর
‘শিখণ্ডী’ শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয় ময়ূর।
• ‘ময়ূর’ শব্দের সমার্থক শব্দগুলোর মধ্যে রয়েছে: কলাপী, কেকী, শিখী, শিখণ্ডী, বর্হী এবং বর্হিণ।
অন্যদিকে,
-
‘খরগোশ’ শব্দের একটি সমার্থক শব্দ হলো শশক।
-
‘কবুতর’ শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়: কপোত, নোটন, পায়রা ও পারাবত।
-
‘কোকিল’ শব্দের সমার্থক শব্দগুলোর মধ্যে রয়েছে: অন্যপুষ্ট, কলকণ্ঠ এবং পিক।
তথ্যসূত্র: বাংলা একাডেমির আধুনিক বাংলা অভিধান এবং ড. সৌমিত্র শেখর প্রণীত বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা।
0
Updated: 3 months ago
‘রাতুল’ শব্দের অর্থ কি?
Created: 2 days ago
A
কালো
B
নীল
C
লাল
D
সাদা
‘রাতুল’ শব্দটি মূলত বাংলা ভাষায় রঙ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন এক শব্দ যা সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। শব্দটির অর্থ বুঝলে তার ব্যবহারও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
রাতুল শব্দের অর্থ লাল বা রক্তিম, যা রক্তের মতো উজ্জ্বল লাল রঙকে নির্দেশ করে।
এই শব্দটি সাধারণত মুখ, আকাশ, ফুল বা ভালোবাসা বোঝাতে রূপক অর্থেও ব্যবহৃত হয়।
বাংলা সাহিত্যে ‘রাতুল মুখ’, ‘রাতুল আভা’, বা ‘রাতুল রঙ’ জাতীয় শব্দগুচ্ছ সৌন্দর্যের প্রকাশে ব্যবহৃত হয়।
শব্দটি সংস্কৃত ভাষার ‘রক্ত’ শব্দের সঙ্গে অর্থগতভাবে সম্পর্কিত।
0
Updated: 2 days ago
’লুই ভণই গুরু পুছিঅ জান।’- এখানে ’ভণই’ শব্দের অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
বলে
B
ভাবে
C
চায়
D
দেখে
পঙ্ক্তি 'লুই ভণই গুরু পূছিঅ জাণ।' চর্যার কবি লুইপার রচনা। আধুনিক গদ্যে রূপান্তর করলে অর্থ দাঁড়ায়: লুই বলেন, “গুরুকে জিজ্ঞাসা করে জানো।” পঙ্ক্তিতে ব্যবহৃত শব্দগুলোর অর্থ হলো:
-
ভণই: বলে, প্রকাশ করে (ভণতি > ভণই)
-
পূছিঅ: জিজ্ঞাসা করে (পুচ্ছতিঃ > পুচ্ছিঅ > পূছিঅ)
-
জাণ: জানো (জানথ > জানহ > জাণঅ > জাণ)

লুইপা সম্পর্কিত তথ্য:
-
লুইপা 'চয্যাচর্যবিনিশ্চয়'-এর প্রথম কবি। তিব্বতি ঐতিহ্যে প্রাপ্ত চুরাশি জন সিদ্ধাচার্যের তালিকায় তার নাম আদিতম। তিনি চর্যার ১ ও ২৯নং পদের রচয়িতা।
-
অনেক পণ্ডিত তাকে প্রথম চর্যাগীতি রচয়িতা মনে করেন। তার জীবৎকাল ৭৩০–৮১০ খ্রিষ্টাব্দ, রাজা ধর্মপালের রাজত্বকাল। হিন্দিভাষীরা তাকে মগধ বা বিহারের অধিবাসী বলে দাবি করেন। যোগতন্ত্রশাস্ত্রেও লুইপার উল্লেখ রয়েছে।
-
তন্ত্রশাস্ত্রে লুইপার অন্য নাম মীননাথ বা মৎস্যেন্দ্রনাথ। মৎস্যের সঙ্গে নামের মিল থাকায় কিছু পণ্ডিত ১৮ চর্যাগীতি পাঠে তাকে শবরপা-এর শিষ্য ও ধীবর সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন।
-
লুইপা অনেকের মতে আদি সিদ্ধাচার্য, যিনি সকল সিদ্ধাচার্যের গুরু। সংস্কৃত টীকাকার মুনি দত্ত তাকে আদি সিদ্ধাচার্য বলেছেন। তবে, তারানাথের মতে লুইপা ছিলেন চতুর্থ সিদ্ধাচার্য, আর সরহ ছিলেন আদি সিদ্ধাচার্য। তিনি উড্ডীয়ান-রাজ উদয়নের কর্মচারী এবং শবরপা-র শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
-
চর্যাগীতির লুইপা ও তন্ত্রশাস্ত্রের লুইপা সম্ভবত ভিন্ন ব্যক্তি, কারণ চর্যাগীতির লুইপা গৌড় অঞ্চলের অধিবাসী, আর মীননাথ বা মৎস্যেন্দ্রনাথ দক্ষিণবঙ্গের গোরক্ষনাথের গুরু ছিলেন।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মনে করেন লুইপা ছিলেন বাঙালি। রাহুল সাংস্কৃত্যায়ন অনুযায়ী, লুইপা রাজা ধর্মপালের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন।
-
তিব্বতি অনুবাদের মাধ্যমে তার বৌদ্ধ দর্শন বিষয়ক তিনটি গ্রন্থের নাম পাওয়া যায়: 'শ্রীভগবদভিসময়', 'অভিসময়বিভঙ্গ', ও 'তত্ত্বস্বভাবদোহাকোষগীতিকাদৃষ্টিনাম'।
চর্যার ১নং পদ:
কাআ তরুবার পঞ্চ বি ডাল।
চঞ্চল চীএ পইঠো কাল।। -
0
Updated: 1 month ago