কোনটি ব্যঞ্জন বিকৃতির উদাহরণ?
A
সকাল > সক্কল
B
ধাইমা > দাইমা
C
ফলাহার > ফলার
D
শরীর > শরীল
উত্তরের বিবরণ
• ব্যঞ্জন বিকৃতি:
শব্দের মধ্যে যদি কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে অন্য কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি হয় তখন তাকে ব্যঞ্জন বিকৃতি বলো।
যেমন:
- কবাট > কপাট,
- ধোবা > ধোপা,
- ধাইমা > দাইমা ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
-------------------
• বিষমীভবন:
দুটো সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে বিষমীভবন বলে।
যেমন:
- শরীর > শরীল,
- লাল > নাল ইত্যাদি।
• ব্যঞ্জনদ্বিত্ব:
কখনো কখনো জোর দেয়ার জন্য শব্দের অন্তর্গত ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়, তাকে ব্যঞ্জনদ্বিত্ব বা ব্যঞ্জনদ্বিত্বতা বলে।
যেমন:
- সকাল > সক্কল ইত্যাদি।
• অন্তর্হতি:
পদের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্তর্হতি বলে।
যেমন:
- ফাল্গুন > ফাগুন,
- ফলাহার > ফলার,
- আলাদিয়া > আলাদা ইত্যাদি।

0
Updated: 2 months ago
উচ্চারণস্থান অনুযায়ী 'চাচা' শব্দে কোন ধরনের ব্যঞ্জনধ্বনি রয়েছে?
Created: 2 months ago
A
ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন
B
তালব্য ব্যঞ্জন
C
কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন
D
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
তালব্য ব্যঞ্জন
সংজ্ঞা:
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা খানিকটা প্রসারিত হয়ে শক্ত তালুর কাছে বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলোকে তালব্য ব্যঞ্জন বলে।
উদাহরণ:
চাচা, ছাগল, জাল, ঝড়, শসা — এখানে চ, ছ, জ, ঝ, শ তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি।

0
Updated: 2 months ago
অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জন কোনটি?
Created: 2 months ago
A
থ
B
হ
C
জ
D
ঘ
• ধ্বনি সৃষ্টিতে বায়ুর প্রবাহ অনুযায়ী বিভাজন:
ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে বায়ুপ্রবাহের বেগ কমবেশি হওয়ার ভিত্তিতে ব্যঞ্জনধ্বনিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়: অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ।
অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জন:
সেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময়ে ফুসফুস থেকে নির্গত বায়ুপ্রবাহের মাত্রা অপেক্ষাকৃত কম, সেগুলোকে বলা হয় অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
যেমন: প, ব, ত, দ, স, ট, ড, ড়, চ, জ, শ, ক, গ ইত্যাদি।
মহাপ্রাণ ব্যঞ্জন:
সেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময়ে ফুসফুস থেকে নির্গত বায়ুপ্রবাহ অপেক্ষাকৃত বেশি, সেগুলোকে বলা হয় মহাপ্রাণ ধ্বনি।
যেমন: ফ, ভ, থ, ধ, ঠ, ঢ, ঢ়, ছ, ঝ, খ, ঘ, হ ইত্যাদি।

0
Updated: 2 months ago
"স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য" - ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 2 months ago
A
ধ্বনিতত্ত্ব
B
রূপতত্ত্ব
C
বাক্যতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
বাংলা ব্যাকরণের চারটি প্রধান শাখা
১. ধ্বনিতত্ত্ব (Phonetics & Phonology)
-
আলোচ্য বিষয়: ধ্বনি এবং বর্ণমালা
-
মূল বিষয়সমূহ:
-
বাগ্যন্ত্র ও উচ্চারণ প্রক্রিয়া
-
ধ্বনির বিন্যাস
-
স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য
-
ধ্বনিদল (phoneme clusters)
-
-
লক্ষ্য: লিখিত ভাষায় ধ্বনি কিভাবে প্রকাশ হয় তা বোঝা।
২. রূপতত্ত্ব (Morphology)
-
আলোচ্য বিষয়: শব্দ ও তার উপাদান
-
মূল বিষয়সমূহ:
-
শব্দ ও পদনির্মাণ
-
বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া, ক্রিয়া বিশেষণ ইত্যাদি
-
-
লক্ষ্য: ভাষার ক্ষুদ্রতম অর্থবোধক একক (রূপমূল) থেকে কিভাবে শব্দ তৈরি হয় তা বোঝা।
৩. বাক্যতত্ত্ব (Syntax)
-
আলোচ্য বিষয়: বাক্যের গঠন ও নির্মাণ
-
মূল বিষয়সমূহ:
-
পদ ও বর্গের বিন্যাস
-
বাক্যের রূপান্তর ও বাচ্য
-
উক্তি, কারক বিশ্লেষণ
-
বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন ইত্যাদি
-
-
লক্ষ্য: বাক্য কীভাবে গঠিত হয় এবং বাক্যের অংশ কিভাবে কাজ করে তা বোঝা।
৪. অর্থতত্ত্ব (Semantics)
-
আলোচ্য বিষয়: শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ
-
মূল বিষয়সমূহ:
-
বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ
-
শব্দজোড়, বাগধারা
-
বাগার্থ (বা বাক্যের অর্থ)
-
-
লক্ষ্য: ভাষার অর্থ ও তা কিভাবে প্রয়োগ হয় তা বোঝা।

0
Updated: 2 months ago