‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর’ - কার লেখা?
A
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
B
জসীম উদ্দিন
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
জীবনানন্দ দাশ
উত্তরের বিবরণ
উক্ত পঙক্তি জীবনানন্দ দাশের লেখা।
তিনি বাংলা কবিতায় প্রকৃতি, গ্রাম ও বাংলার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রসিদ্ধ।
-
কবিতায় বাংলার দৃশ্যাবলী ও প্রকৃতির রূপচিত্রকে কেন্দ্র করে ভাব প্রকাশিত হয়েছে।
-
জীবনানন্দ দাশের কবিতায় সাধারণত গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ফুটে ওঠে।
-
উক্ত চরণে তিনি নিজ দেশের সৌন্দর্য দেখানোর পর অন্য পৃথিবীর সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষণ কমে যাওয়ার কথা ব্যক্ত করেছেন।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, জসীম উদ্দিন বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর—এই চরণের লেখক নয়।
-
তাই সঠিক উত্তর হলো জীবনানন্দ দাশ।
0
Updated: 15 hours ago
নিচের কোনটি জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধ গ্রন্থ?
Created: 3 months ago
A
ধূসর পাণ্ডুলিপি
B
কবিতার কথা
C
ঝরা পালক
D
দুর্দিনের যাত্রী
জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধ গ্রন্হ - কবিতার কথা। ধূসর পান্ডুলিপি ও ঝরা পালক তার কাব্যগ্রন্হ। দুর্দিনের যাত্রী কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধ গ্রন্থ।
0
Updated: 3 months ago
”সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে।” পঙ্ক্তিটির রচিতা কে?
Created: 2 months ago
A
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
B
বিষ্ণু দে
C
বুদ্ধদেব বসু
D
জীবনানন্দ দাশ
"সেইদিন এই মাঠ" কবিতা
-
কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ "রূপসী বাংলা"-এর অন্তর্গত।
-
কবিতার প্রথম অংশটি নয় পঙ্ক্তি বিশিষ্ট এবং দ্বিতীয় অংশটি চার পঙ্ক্তি বিশিষ্ট।
-
“সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে।” — পঙ্ক্তিটি এই কবিতা থেকে নেওয়া।
জীবনানন্দ দাশ
-
তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলা কাব্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ও শিক্ষাবিদ।
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বরিশালে।
-
আদি নিবাস: বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রাম।
-
তাঁর মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন কবি।
-
প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ঝরা পালক (১৯২৭)।
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা।
0
Updated: 2 months ago
"মানুষের মৃত্যু হলে তবু মানব থেকে যায়' – কার লেখা?
Created: 3 weeks ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
C
জীবনানন্দ দাশ
D
কাজী নজরুল ইসলাম
জীবনানন্দ দাশের কবিতা “মানুষের মৃত্যু হলে” মানবচেতনার অমরত্ব ও প্রজন্মান্তরে তার ধারাবাহিকতা তুলে ধরে। কবি বোঝাতে চেয়েছেন, মানুষের দেহের মৃত্যু ঘটে, কিন্তু তার চেতনা, চিন্তা ও মানবিক সত্তা বেঁচে থাকে এবং তা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত হয়।
-
মানুষের মৃত্যু কেবল শারীরিক; তার চেতনা ও মানসিক সত্তা কখনো নষ্ট হয় না।
-
অতীতের মানুষরা মরে গেলেও তাদের চিন্তা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও ভালোবাসা আজকের জীবনে প্রভাব ফেলে।
-
প্রতিটি মানুষ তার নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য নিয়েই চলে যায়, কিন্তু তার রেখে যাওয়া আলো ও জ্ঞানের ধারা বর্তমান প্রজন্মে প্রবাহিত হয়।
-
কবি “দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের” মাধ্যমে সেই অনন্ত মানবযাত্রার প্রতীক তুলে ধরেছেন, যা যুগের পর যুগ ধরে চলমান।
অতএব, এই কবিতায় কবি মানুষের মৃত্যু নয়, বরং তার চেতনার অমরত্ব ও মানবিক ঐক্যকে চিত্রিত করেছেন।
0
Updated: 3 weeks ago