A
রাজশাহী
B
ফরিদপুর
C
রংপুর
D
যশোর
উত্তরের বিবরণ
[এই প্রশ্নের তথ্য পরিবর্তনশীল। অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।]
---------------
তুলা চাষ:
- ১৯৭৩-৭৪ সনে বাংলাদেশে সমভূমির তুলাচাষ শুরু হওয়ার পর থেকে তুলা চাষ এলাকা ও উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়।
- বর্তমানে সমতল এলাকার ৩৪টি জেলায় সমভূমির জাতের তুলার আবাদ হচ্ছে এবং অতি সম্প্রতি ৩টি পার্বত্য জেলাতেও পাহাড়ি জাতের পাশাপাশি সমভূমির জাতের তুলার চাষাবাদ হচ্ছে।
- ঝিনাইদহ জেলা তুলা চাষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী।
- পাহাড়ি তুলা এপ্রিল-মে মাসে এবং সমভূমির তুলা জুলাই-আগস্ট মাসে বপন করা হয়।
- পাহাড়ি তুলা ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে এবং সমভূমির তুলা জানুয়ারি-মার্চ মাসে উত্তোলন করা হয়।
- বর্তমানে তুলা উন্নয়ন বোর্ড তুলা গবেষণা, এর সম্প্রসারণ, বীজ উৎপাদন ও বিতরণ, প্রশিক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও জিনিং এবং ঋণ বিতরণ প্রভৃতি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
- ১৯৭৬-৭৭ সালে আমেরিকা হতে নতুন তুলার জাত প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশে ব্যপক পরিমানে তুলা চাষ শুরু হয়।
- ১৯৯১ সালে তুলা গবেষণার দায়িত্ব বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হতে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নিকট স্থানান্তর করা হয়।
তুলার চাষকৃত জাতগুলো:
- সমতল এলাকায় বর্তমানে, সিবি-৫, সিবি-৯ সিবি-১০ ও সিবি-১১ প্রভৃতি উচ্চফলনশীল জাতের তুলা এবং
- হাইব্রিড জাতের মধ্যে হীরা ও রূপালী-১ ও ডিএম-১ জাতের তুলা চাষ হচ্ছে।
- এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড়ি তুলা-১ ও পাহাড়ি তুলা-২ নামে উচ্চফলনশীল জাতের তুলা চাষ হয়।
২০২২-২৩ মৌসুমে আশতুলা উৎপাদন:
কুষ্টিয়া- ৩০৭৪৫,
চুয়াডাংগা- ৩০১৯৬,
ঝিনাইদহ- ২৯০৭৭,
যশোর - ২১৭৩২।
২০২২-২৩ মৌসুমে বীজতুলা উৎপাদন:
কুষ্টিয়া-১৩৯৮৯,
চুয়াডাংগা- ১৩৭৩৯,
ঝিনাইদহ- ১৩২৩০,
যশোর - ৯৮৮৮।
বাংলাদেশের এই চারটি জেলায় সবচেয়ে বেশি তুলা চাষ ও উৎপাদন হয়ে থাকে।
অর্থ্যাৎ- যশোর অঞ্চল তুলা চাষের জন্য বিখ্যাত।
সে হিসেবে উত্তর - যশোর গ্রহণ করা হয়েছে।
উৎস- বাংলাপিডিয়া, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২৩।

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী কোনটি?
Created: 2 months ago
A
মেঘনা
B
পদ্মা
C
ব্রহ্মপুত্র
D
যমুনা
দেশে দীর্ঘতম নদী:
- দেশে বর্তমানে জীবন্ত নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশের দীর্ঘতম নদী পদ্মা।
- দেশের তিন বিভাগের ১২টি জেলায় প্রবাহিত এ নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার।
পদ্মা নদী:
- ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে গঙ্গা নদীর উৎপত্তি।
- রাজশাহীর কাছে কুষ্টিয়ার উত্তর প্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
- তারপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
- এই মিলিত ধারা পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে।
- অতঃপর তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে ঢুকেছে।
- শাখা নদী: মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল প্রধান।
- উপনদী: মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
- পদ্মা-বিধৌত অঞ্চল - ৩৪,১৮৮ বর্গকি.মি.
মেঘনা নদী:
- মেঘনা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রশস্ততম নদী।
- মেঘনার উৎপত্তি: আসামের লুসাই পাহাড় হতে বরাক নদী নামে।
- বাংলাদেশে প্রবেশ: সুরমা ও কুশিয়ারা নামে সিলেট জেলা দিয়ে ।
- সুরমা ও কুশিয়ারা মিলিত হয়েছে আজমিরীগঞ্জে এবং নামধারণ করেছে কালনী।
- কালনী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্রোতের নাম: মেঘনা (ভৈরববাজার)।
- শাখানদী: ব্রহ্মপুত্র, গোমতী, শীতলক্ষা, ধলেশ্বরী, ডাকাতিয়া।
- বাংলাদেশে মেঘনা বিধৌত অঞ্চলের আয়তন প্রায় ২৯,৭৮৫ বর্গকিলোমিটার।
• দৈর্ঘের দিক থেকে বর্তমানে নবম দীর্ঘতম নদী- মেঘনা। তবে এটি এখনো দেশের প্রশস্ততম ও গভীরতম নদী।
সে হিসেবে- সঠিক উত্তর হবে — মেঘনা।
উল্লেখ্য,
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী ইছামতী নদী (দৈর্ঘ্য ৩৩৪ কি.মি.)।
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী সাঙ্গু বা শঙ্খ নদী (দৈর্ঘ্য ২৯৪ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
- সবচেয়ে বেশি নদ-নদী রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ২২২টি।
- সবচেয়ে বেশি নদী রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলায়, ৯৭টি।
‘বাংলাদেশ নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যাবিষয়ক বই’ অনুসারে,
- দেশে বর্তমানে নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশে নদীপথ রয়েছে: ২২ হাজার কি.মি.।
- দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
উৎস: নদী রক্ষা কমিশন ওয়েবসাইট এবং ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখের প্রথম আলো প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 months ago
চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য-
Created: 2 months ago
A
ঢাকা শহরকে নদীর ওপারে বিস্তৃত করা
B
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সুসম্পর্কের স্থায়ী বন্ধন সৃষ্টি করা
C
ঢাকা-আরিচা রোডে যানবাহন চলাচলের চাপ কমানো
D
দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করা
• চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১:
- বুড়িগঙ্গা সেতু হলো বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতু।
- এটি প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু হিসেবেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে তৈরি করেছে।
- সেতুটি ৭২৫ মিটার দীর্ঘ।
- এই সেতু নির্মাণ শুরু হয় ৮০-এর দশকে এবং শেষ হয় ১৯৮৯ সালে। ঐ বছর সেতুর উদ্বোধন হয়।
- এই সেতু ঢাকার সঙ্গে কেরানীগঞ্জ উপজেলাকে যুক্ত করেছে।
- এই সেতু ঢাকা-খুলনা মহাসড়ককেও যুক্ত করেছে।
তাই বলা যায়,
চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য- দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করা।
উৎস: বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
উপকূল হতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা কত?
Created: 2 months ago
A
২৫০ নটিক্যাল মাইল
B
২০০ নটিক্যাল মাইল
C
২২৫ নটিক্যাল মাইল
D
১০ নটিক্যাল মাইল
• বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা:
- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল বা ৩৭০.৪০ কিলোমিটার।
- ১ নটিক্যাল মাইল= ১.৮৫২ কিলোমিটার।
এছাড়াও,
- বঙ্গোপসাগরের উপকূল রেখার দৈর্ঘ্য - ৭১৬ কিলোমিটার।
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা - ১২ নটিক্যাল মাইল বা ২২.২২ কিলোমিটার।
- সমুদ্র অঞ্চলের আয়তন - ১,১৮,৮১৩ বর্গ কিলোমিটার।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, এসএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৩।

0
Updated: 2 months ago