ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। ক্রিয়ার সাথে কোথায় / কখন / কিসে যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই অধিকরণ কারক। যেমন: আমাদের পুকুরে অনেক মাছ আছে। এখানে যদি প্রশ্ন করা হয়, কোথায় অনেক মাছ আছে? তাহলে উত্তর পাই - ‘পুকুরে। সুতরাং, এখানে ‘পুকুরে’ অধিকরণ কারক। বিশাল স্থানের যে কোনো অংশে ক্রিয়া সংঘটিত হলে তাকে ঐকদেশিক আধারাধিকরণ বলে। যেমন: আমাদের পুকুরে অনেক মাছ আছে। এখানে বিশাল পুকুরের মাঝে কোনো এক অংশে মাছ আছে। তাই ‘পুকুর' ঐকদেশিক আধারাধিকরণ কারক।

বিরাট স্থানের যে কোনো অংশে ক্রিয়া সংঘটিত হলে তাকে ঐকদেশিক আধারধিকরণ বলে। যেমন পুকুরে মাছ আছে। বনে বাঘ আছে। আকাশে চাঁদ উঠেছে ইত্যাদি।

বাংলা ব্যাকরণে অধিকরণ কারক সেই কারক যা কোন স্থানের, সময়ের, বিষয়ের বা ভাবের অবস্থান নির্দেশ করে। সাধারণত এটি '-এ', '-য়', 'তে' ইত্যাদি বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়।

• উদাহরণ: বিকাল পাঁচটায় অফিস ছুটি হবে।

• উদাহরণ: আজকে নগদ কালকে ধার।

• উদাহরণ: আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।