‘ডুমুরের ফুল’ বলতে কী বোঝায়?
A
সৌন্দর্যের প্রতীক
B
বিরল বস্তু
C
নিষ্ঠুর মানুষ
D
অলসতা
উত্তরের বিবরণ
‘ডুমুরের ফুল’ একটি প্রচলিত বাংলা প্রবাদ যা অতি বিরল বা অদৃশ্য কোনো বস্তুকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। ডুমুর গাছে ফুল থাকে না, কারণ তার ফুল ফলের ভিতরেই গোপনে ফোটে। তাই সাধারণ মানুষ কখনোই ডুমুরের ফুল দেখতে পায় না। এই কারণেই “ডুমুরের ফুল” এমন কিছুর প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে যা দেখা যায় না, পাওয়া যায় না, বা অত্যন্ত দুর্লভ।
প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহঃ
-
অর্থ: “ডুমুরের ফুল” মানে এমন কিছু যা দেখা বা পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
-
প্রবাদ ব্যবহার: যেমন— “তার দেখা পাওয়া ডুমুরের ফুলের মতো”— অর্থাৎ খুব কঠিন বা অসম্ভব।
-
উৎপত্তি: ডুমুর (Ficus racemosa) গাছের ফুল ফলের অভ্যন্তরে থাকে; বাইরের কেউ তা দেখতে পায় না, এ থেকেই এই প্রবাদটির জন্ম।
-
সাহিত্যে ব্যবহার: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কিছু লেখায় এই প্রবাদটি পাওয়া যায়, যেখানে তা অদৃশ্য বা দুর্লভ বস্তুর প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
বাংলা প্রবাদে তাৎপর্য: এটি আমাদের ভাষায় এমন এক উপমা, যা অদৃশ্য জিনিস বোঝাতে সবচেয়ে সাধারণ ও প্রাঞ্জল উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 18 hours ago
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন MCQ সমাধানঃ কোনটির মধ্য দিয়ে একটি দেশ এবং দেশের মানুষকে জানা যায়?
Created: 2 weeks ago
A
সাহিত্যচর্চা
B
ইতিহাসচর্চা
C
ধর্মচর্চা
D
শিল্পকলাচর্চা
একটি দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, বিশ্বাস ও মানুষের জীবনধারার প্রতিফলন ঘটে তার শিল্পকলার মাধ্যমে। শিল্প শুধু সৌন্দর্য প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি জাতির মানসিকতা, চিন্তাধারা ও জীবনের অভিজ্ঞতাকে রূপ দেয়। তাই শিল্পকলাচর্চার মাধ্যমে আমরা একটি দেশের প্রকৃতি, সমাজ ও মানুষের অন্তরজগৎ সম্পর্কে গভীর ধারণা লাভ করতে পারি।
শিল্পকলার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় প্রকাশ: প্রতিটি দেশের নিজস্ব শিল্পরূপ থাকে—যেমন চিত্রকলা, সংগীত, নৃত্য, ভাস্কর্য বা স্থাপত্য। এসব শিল্পকর্মে ফুটে ওঠে দেশের ঐতিহ্য ও জীবনধারা। যেমন বাংলাদেশের পটচিত্র, নকশিকাঁথা, বাউলগান আমাদের সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি।
মানুষের আবেগ ও ভাবপ্রকাশের মাধ্যম: শিল্পকলা মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশা প্রকাশের পথ। একজন শিল্পী তাঁর দেশের মানুষের অনুভূতি ও স্বপ্নকে শিল্পে রূপ দেন, যা দেশের মানসিক অবস্থা বুঝতে সহায়তা করে।
ইতিহাস ও সমাজের প্রতিফলন: একটি সময়ের শিল্পকর্ম দেখে আমরা সেই সময়ের সমাজব্যবস্থা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারি। যেমন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রকলা বা সংগীত আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরে।
সংস্কৃতির ধারক ও বাহক: শিল্পকলা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সংস্কৃতি স্থানান্তরের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। লোকগান, নাটক বা হস্তশিল্পের মাধ্যমে ঐতিহ্য টিকে থাকে এবং জাতিসত্তা দৃঢ় হয়।
আন্তর্জাতিক পরিচিতি গঠনে ভূমিকা: শিল্পকলার মাধ্যমেই একটি দেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করে। যেমন বাংলাদেশের শিল্পী জয়নুল আবেদিন বা রেনেসাঁর যুগের ইউরোপীয় শিল্পীরা তাঁদের দেশের সাংস্কৃতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সমাজসংস্কারের হাতিয়ার: শিল্প মানুষের চিন্তা বদলে দিতে পারে। নাটক, চলচ্চিত্র বা চিত্রকলার মাধ্যমে সমাজে অন্যায়, বৈষম্য বা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি হয়।
মানবিকতা ও সৌন্দর্যবোধ জাগিয়ে তোলে: শিল্পচর্চা মানুষকে সংবেদনশীল ও নৈতিক করে তোলে। এটি মানুষকে কেবল ভোগবাদ থেকে সরিয়ে মানবতার দিকে ফিরিয়ে আনে।
শিল্পকলাচর্চা কোনো দেশের কেবল সাংস্কৃতিক প্রকাশ নয়, এটি জাতির আত্মার প্রতিচ্ছবি। এর মাধ্যমে জানা যায় দেশের ইতিহাস, মানুষ, জীবনদর্শন ও সভ্যতার অগ্রযাত্রা। তাই একটি দেশ ও তার মানুষকে জানার শ্রেষ্ঠ পথ হলো শিল্পকলাচর্চা।
0
Updated: 2 weeks ago
শব্দের উৎপত্তির কারণ?
Created: 1 week ago
A
শব্দ তরঙ্গ
B
প্রতিধ্বনি
C
বস্তুর কম্পন
D
বস্তুর তাপমাত্রা
শব্দ মূলত কোনো বস্তু কম্পিত হওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়। যখন কোনো বস্তু দোলায়মান বা কম্পিত হয়, তখন এটি চারপাশের বায়ুমণ্ডলে তরঙ্গের আকারে শক্তি প্রেরণ করে, যা আমরা শব্দ হিসেবে অনুভব করি। শব্দ নিজে কোনো পদার্থ নয়, বরং কম্পনের ফলে গঠিত কম্পন তরঙ্গ।
শব্দের উৎপত্তির মূল কারণ হলো কোনো বস্তুতে দ্রুত ও নিয়মিত কম্পন। উদাহরণস্বরূপ, বেল বা ঘড়ির ঘণ্টা ধাক্কা খেলে তার দোলন চারপাশের বায়ুকে কম্পিত করে। এই কম্পন বায়ুর কণাগুলোর মাধ্যমে একটি তরঙ্গ সৃষ্টি করে, যা আমাদের কানে পৌঁছালে আমরা শব্দ শোনি। বাণিজ্যিক বা যান্ত্রিক যন্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, এমনকি মানুষের কণ্ঠও কম্পনের মাধ্যমে শব্দ উৎপন্ন করে।
শব্দের কম্পন বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে ফ্রিকোয়েন্সি এবং আম্প্লিটিউড বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণ করে শব্দের উচ্চতা বা পিচ, আর আম্প্লিটিউড নির্ধারণ করে শব্দের তীব্রতা বা লাউডনেস। যে বস্তু দ্রুত কম্পিত হয়, তার উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি থাকে এবং এটি উঁচু সুরের শব্দ দেয়। অন্যদিকে বড় বা ধীর কম্পিত বস্তুর কম্পন থেকে গভীর বা নিচু সুরের শব্দ উৎপন্ন হয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো শব্দের উৎপত্তির জন্য সরাসরি দায়ী নয়। শব্দ তরঙ্গ হলো শব্দের মাধ্যম বা প্রক্রিয়া, কিন্তু এটি উৎপত্তির কারণ নয়। প্রতিধ্বনি হলো শব্দের প্রতিফলন, যা শব্দ ইতিমধ্যে তৈরি হওয়ার পর ঘটে। বস্তুর তাপমাত্রা শব্দ উৎপন্ন করতে পারে না; এটি কেবল বায়ুর ঘনত্ব ও তরঙ্গের গতিতে প্রভাব ফেলে।
সুতরাং, শব্দের উৎপত্তি মূলত ঘটে বস্তুর কম্পনের মাধ্যমে, যা বায়ু বা অন্য কোনো মাধ্যমের কণাগুলোকে কম্পিত করে এবং আমাদের কানে পৌঁছালে আমরা শব্দ শুনতে পাই। এই প্রক্রিয়া বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এটি হলো কম্পন থেকে তরঙ্গের সৃষ্টি, যা শব্দকে জন্ম দেয় এবং পরিবহণ করে।
0
Updated: 1 week ago
“আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে?” রাঘবে শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি-
Created: 2 weeks ago
A
কর্মে ২য়া
B
করণে ৭মী
C
অপাদানে ৫মী
D
অপাদানে ৭মী
বাক্যটি হলো — “আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে?”। এখানে আমাদের কাজ হলো ‘রাঘবে’ শব্দটি কোন কারকে (case) এবং কোন বিভক্তিতে (vibhakti) ব্যবহার হয়েছে তা নির্ণয় করা। সঠিক উত্তর হলো (ঘ) অপাদানে ৭মী।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
১. অপাদান কার ও ৭মী বিভক্তি:
-
অপাদান কার (Ablative case) হলো এমন কার যা কোনো ব্যক্তি বা বস্তু থেকে বিচ্যুতি বা উৎস নির্দেশ করে।
-
বাংলা ব্যাকরণে অপাদানকে সাধারণত ‘থেকে’, ‘দ্বারা’, ‘এর দ্বারা’ ইত্যাদি দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
-
৭মী বিভক্তি হলো ঐ শব্দের বিকৃত রূপ যা অপাদান কার নির্দেশ করে।
২. ‘রাঘবে’ বিশ্লেষণ:
-
শব্দটি হলো রাঘব + এ
-
এখানে ‘এ’ যোগ হয়েছে কোনো বস্তু বা ব্যক্তির মাধ্যমে বা দ্বারা নির্দেশ করার জন্য।
-
অর্থাৎ, ‘ভিখারী’ (ভিক্ষুক) রাঘবের মাধ্যমে বা রাঘব থেকে কিছু প্রাপ্ত হচ্ছে বোঝাচ্ছে।
-
তাই এটি অপাদানে ৭মী বিভক্তি।
৩. অন্যান্য বিকল্পের ভুল ব্যাখ্যা:
-
(ক) কর্মে ২য়া: কোনো ক্রিয়ার সরাসরি পদ বোঝায়, যেমন: রাম খেলো → ‘খেলো’ কর্মে।
-
(খ) করণে ৭মী: কোনো কাজের উপকরণ নির্দেশ করে, যেমন: লাঠি দিয়ে মারল → ‘লাঠি’ করণে।
-
(গ) অপাদানে ৫মী: ৫মী অপাদান ব্যবহৃত হয় কিছু নির্দিষ্ট অবস্থা বা মাধ্যমের ক্ষেত্রে, কিন্তু এখানে ৭মী প্রযোজ্য।
সারসংক্ষেপ:
-
বাক্যে ‘রাঘবে’ হলো কোন মাধ্যমে বা কার দ্বারা কিছু কার্য সম্পাদন হচ্ছে তা নির্দেশ করছে।
-
অতএব, এটি অপাদানে ৭মী বিভক্তি।
উপসংহার:
‘রাঘবে’ শব্দটি অপাদানে ৭মী বিভক্তিতে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই সঠিক উত্তর হলো (ঘ) অপাদানে ৭মী।
0
Updated: 2 weeks ago