‘সেতার’ কোন সমাস?
A
তৎপুরুষ
B
দ্বন্দ্ব
C
বহুব্রীহি
D
অব্যয়ভাব
উত্তরের বিবরণ
‘সেতার’ শব্দটি একটি বহুব্রীহি সমাস, যেখানে দুটি পদ মিলে একটি নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি হয়েছে যা অন্য কিছুর পরিচায়ক। এই ধরনের সমাসে প্রথম পদ ও দ্বিতীয় পদ একত্রে কোনো গুণ বা ধর্ম প্রকাশ করে, কিন্তু শব্দটি নিজে সেই গুণসম্পন্ন বস্তুকে বোঝায় না।
-
‘সেতার’ শব্দের গঠন: ‘সে’ + ‘তার’। এখানে ‘সে’ মানে তিন বা একাধিক, আর ‘তার’ মানে তারযুক্ত বাদ্যযন্ত্র।
-
অর্থের দিক থেকে: শব্দটির আক্ষরিক অর্থ “তিন তারবিশিষ্ট”, কিন্তু তা দিয়ে বোঝানো হয় এক বিশেষ বাদ্যযন্ত্র, যার তার সাধারণত তিনটির বেশি হয়।
-
বহুব্রীহি সমাসের বৈশিষ্ট্য: এতে সমাসপদে উল্লিখিত পদগুলি অন্য বস্তুকে নির্দেশ করে। যেমন, ‘চতুরানন’ (চার মুখবিশিষ্ট) দ্বারা বোঝায় ব্রহ্মা; ‘ত্রিলোকনাথ’ দ্বারা বোঝায় শিব।
-
সেতার শব্দের প্রকৃতি: শব্দটি নিজের অর্থে নয়, বরং এক বাদ্যযন্ত্রকে বোঝায়—যা বহুব্রীহি সমাসের মূল বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলে যায়।
0
Updated: 19 hours ago
'ছাত্রসমাজ' শব্দটি কোন প্রক্রিয়ায় গঠিত?
Created: 2 months ago
A
উপসর্গ
B
প্রত্যয়
C
সমাস
D
বলক যোগে
‘ছাত্রসমাজ’ - শব্দটি সমাস প্রক্রিয়ায় গঠিত তৎপুরুষ সমাস।
তৎপুরুষ সমাস:
পূর্বপদের বিভক্তির লোপে যে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
উদাহরণ: ছাত্রের সমাজ = ছাত্রসমাজ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম (২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
কোনটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস?
Created: 1 month ago
A
ঝালমুড়ি
B
সিংহপুরুষ
C
চন্দ্রমুখ
D
বিদ্যাধন
যে কর্মধারয় সমাসে দুটি পদ একত্রিত হওয়ার সময় মধ্যবর্তী পদটি লোপ হয়ে যায় এবং বাক্যের অর্থ সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশিত হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলা হয়। এই সমাসে মূল ভাব বা অর্থ রক্ষা হয়, তবে শব্দগঠন আরও সংক্ষিপ্ত ও স্বচ্ছ হয়।
-
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ:
-
হাসি মাখা মুখ = হাসিমুখ
-
ঝাল মিশ্রিত মুড়ি = ঝালমুড়ি
-
প্রাণ যাওয়ার ভয় = প্রাণভয়
-
স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ
-
উর্ণ নির্মিত জাল = উর্ণাজাল
-
-
উপমিত কর্মধারয়: সমাসে পদগুলোর মধ্যে তুলনা বা উপমা বোঝানো হয়।
উদাহরণ:-
পুরুষ সিংহের ন্যায় = সিংহপুরুষ
-
মুখ চন্দ্রের ন্যায় = চন্দ্রমুখ
-
-
রূপক কর্মধারয়: সমাসে পদগুলোর মধ্যে রূপক বা প্রতীকী অর্থ বোঝানো হয়।
উদাহরণ: বিদ্যা রূপ ধন = বিদ্যাধন
0
Updated: 1 month ago
সমাস সাধিত অশুদ্ধি ঘটেছে কোন শব্দে?
Created: 1 month ago
A
মহিমমণ্ডিত
B
রাজগণ
C
সুবুদ্ধি
D
যুবরাজা
বাংলা ভাষায় সমাস সাধনের ক্ষেত্রে অনেক সময় অশুদ্ধ শব্দ ব্যবহার হয়ে যায়, যা শুদ্ধ রূপে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সংস্কৃত ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দ বাংলায় প্রথমবার একবচনে ধনী, গুণী, মানী, পাপী ইত্যাদি রূপ নেয়। কিন্তু নিঃ-উপসর্গ যোগ হয়ে সমাসবদ্ধ হলে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকে না। তখন ধন, গুণ, মান, পাপ ইত্যাদি শব্দ সমানভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
নেই ধন যার = নির্ধন
-
নেই গুণ যার = নির্গুণ
-
নেই পাপ যার = নিষ্পাপ
অতএব, নির্ধনী, নির্গুণী, নিষ্পাপী ইত্যাদি অশুদ্ধ রূপ।
কিছু সমাস সাধিত অশুদ্ধ ও শুদ্ধ শব্দের প্রয়োগ নিচে দেওয়া হলো—
-
অশুদ্ধ: পিতাহারা → শুদ্ধ: পিতৃহারা
-
অশুদ্ধ: যুবরাজা → শুদ্ধ: যুবরাজ
-
অশুদ্ধ: মহিমামণ্ডিত → শুদ্ধ: মহিমমণ্ডিত
-
অশুদ্ধ: রাজাগণ → শুদ্ধ: রাজগণ
-
অশুদ্ধ: মাতাজাতি → শুদ্ধ: মাতৃজাতি
-
অশুদ্ধ: সুবুদ্ধিমান → শুদ্ধ: সুবুদ্ধি
-
অশুদ্ধ: নির্দোষী → শুদ্ধ: নির্দোষ
-
অশুদ্ধ: অর্ধরাত্রি → শুদ্ধ: অর্ধরাত্র
-
অশুদ্ধ: নিরভিমানী → শুদ্ধ: নিরভিমান
-
অশুদ্ধ: দিবারাত্রি → শুদ্ধ: দিবারাত্র
-
অশুদ্ধ: নীরোগী → শুদ্ধ: নীরোগ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago