স্বশিক্ষিত বলতে কী বোঝায়?
A
বিদ্যালয়ে প্রাপ্ত শিক্ষা
B
শিক্ষকের সাহায্যে অর্জিত জ্ঞান
C
সৃজনশীলতা অর্জন
D
বই মুখস্থ করা
উত্তরের বিবরণ
স্বশিক্ষিত বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝায়, যিনি অন্যের উপর নির্ভর না করে নিজের প্রচেষ্টা, অভিজ্ঞতা ও কৌতূহলের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করেন। এটি এমন এক শিক্ষা-প্রক্রিয়া যেখানে শেখার মূল শক্তি হলো নিজের আগ্রহ ও অনুসন্ধিৎসা। এই ধারণা ব্যক্তির আত্মনির্ভরতা ও চিন্তাশক্তির বিকাশে সহায়তা করে।
-
স্বশিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো নিজের জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করা এবং নতুন কিছু উদ্ভাবনের ক্ষমতা অর্জন করা।
-
সৃজনশীলতা অর্জন এখানে প্রধান উদ্দেশ্য, কারণ স্বশিক্ষিত ব্যক্তি কেবল শেখেন না, বরং নতুন চিন্তা, কৌশল ও ধারণা তৈরি করেন।
-
ঐতিহাসিকভাবে, অনেক বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও উদ্ভাবক যেমন আব্রাহাম লিংকন, মাইকেল ফ্যারাডে বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন স্বশিক্ষিত, যারা নিজেদের প্রচেষ্টায় জ্ঞান অর্জন করে বিশ্বকে অবদান দিয়েছেন।
-
শিক্ষা-বিজ্ঞানে, স্বশিক্ষা বা autodidactic learning কে আত্ম-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা হিসেবে গণ্য করা হয়, যেখানে ব্যক্তি নিজেই তার শেখার পরিকল্পনা, উৎস ও মূল্যায়ন নির্ধারণ করেন।
-
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, অনলাইন কোর্স ও লাইব্রেরি এখন স্বশিক্ষার নতুন সুযোগ তৈরি করছে, যা তরুণদের সৃজনশীল দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে।
0
Updated: 19 hours ago
বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র “ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার” কোথায় অবস্থিত?
Created: 2 weeks ago
A
ঢাকা
B
সিলেট
C
কুমিল্লা
D
চট্টগ্রাম
বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র “ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার” অবস্থিত চট্টগ্রামে, যা চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাই সঠিক উত্তর ঘ) চট্টগ্রাম।
0
Updated: 2 weeks ago
কোন মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া জ্বর হয়?
Created: 1 week ago
A
কিউলেক্স
B
এনোফিলিস
C
এডিস
D
Sand fly
চিকুনগুনিয়া জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে নির্দিষ্ট প্রজাতির মশার মাধ্যমে। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার মূল বাহক হলো এডিস মশা, বিশেষ করে Aedes aegypti এবং Aedes albopictus প্রজাতি। এ মশাগুলো সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায় এবং ঘরের ভেতর বা আশপাশের জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে।
• এডিস মশা-ই চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বহন করে। এই ভাইরাসটি মূলত Togaviridae পরিবারের অন্তর্গত এবং Alphavirus শ্রেণির অন্তর্গত। সংক্রমিত ব্যক্তি যখন এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়, তখন সেই মশাটি ভাইরাস গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে আরেকজন মানুষকে কামড়ালে তার দেহে ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়।
• এডিস মশা সাধারণত দিনের আলোতে, বিশেষত সকাল ও বিকেলের দিকে বেশি সক্রিয় থাকে। অন্য মশার মতো এটি রাতে ততটা সক্রিয় নয়। এদের বংশবিস্তার হয় ঘরের ভেতর বা বাইরে রাখা ফুলের টব, ফেলে রাখা টায়ার, ভাঙা বোতল, বা যেকোনো স্থির পানিতে।
• চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রধান লক্ষণগুলো হলো উচ্চ জ্বর, জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখে ব্যথা, চামড়ায় র্যাশ, এবং দুর্বলতা। বিশেষ করে জয়েন্টের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
• এই রোগ সাধারণত মারাত্মক নয়, তবে বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি জটিল হতে পারে। চিকুনগুনিয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা নেই, তবে বিশ্রাম, তরল খাবার এবং ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে উপসর্গ উপশম করা হয়।
• প্রতিরোধই হলো চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান উপায়। এজন্য ঘরের আশপাশে কোথাও পানি জমে থাকতে দেওয়া যাবে না, টব ও ড্রাম পরিষ্কার রাখতে হবে, মশারি ব্যবহার করতে হবে, এবং শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে।
• ভুল বিকল্পগুলোর মধ্যে—
-
কিউলেক্স মশা মূলত জাপানিজ এনসেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ ছড়ায়।
-
এনোফিলিস মশা হলো ম্যালেরিয়া রোগের বাহক।
-
Sand fly ছড়ায় কালা-আজার বা visceral leishmaniasis।
সব মিলিয়ে বলা যায়, চিকুনগুনিয়া জ্বরের জন্য দায়ী মশাটি হলো এডিস, যা একই সঙ্গে ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসেরও বাহক হিসেবে পরিচিত। তাই এ মশার নিয়ন্ত্রণই জনস্বাস্থ্য রক্ষার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
0
Updated: 1 week ago
পাখিপালন বিদ্যাকে কী বলে?
Created: 2 weeks ago
A
এপিকালচার
B
এভিকালচার
C
পেট্রোলজি
D
এথনোলজি
উ. এভিকালচার
এভিকালচার (Aviculture) হলো পাখি পালন বা পাখিপালন বিদ্যা। এটি এমন একটি শাস্ত্র যেখানে পাখির প্রজনন, খাদ্য, আবাসন, স্বাস্থ্য ও আচরণ সংক্রান্ত জ্ঞান ও পদ্ধতি শেখানো হয়। শব্দটি ল্যাটিন শব্দ “avis” (অর্থাৎ পাখি) এবং “culture” (অর্থাৎ পালন বা চর্চা) থেকে উদ্ভূত।
এভিকালচার সাধারণত শৌখিন, ব্যবসায়িক ও বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্যে পাখি পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি শুধুমাত্র গৃহপালিত পাখি নয়, বরং বিভিন্ন বন্য ও বিরল প্রজাতির পাখি সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এখানে পাখির আহার, প্রজনন ব্যবস্থা, রোগপ্রতিরোধ, ডিম ফোটানো, বাসা তৈরি ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়গুলো বিশেষভাবে অধ্যয়ন করা হয়। অনেক দেশে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাবিদ্যা হিসেবে পড়ানো হয়, কারণ পাখি পালন আজ একটি লাভজনক শিল্পে পরিণত হয়েছে।
অন্য বিকল্পগুলোর অর্থ—
এপিকালচার (Apiculture): মৌমাছি পালন বিদ্যা।
পেট্রোলজি (Petrology): শিলাবিদ্যা বা পাথরের গঠনবিজ্ঞান।
এথনোলজি (Ethnology): মানবজাতি ও সংস্কৃতির তুলনামূলক অধ্যয়ন।
অতএব, পাখিপালন বিদ্যার সঠিক নাম হলো এভিকালচার (Aviculture)।
0
Updated: 2 weeks ago