‘নদীটি উত্তরমুখে প্রবাহিত’ এখানে ‘মুখ’ কোন অর্থ প্রকাশ করে?
A
প্রত্যঙ্গ বিশেষ
B
দিক
C
তিরস্কার
D
মর্যাদা
উত্তরের বিবরণ
‘নদীটি উত্তরমুখে প্রবাহিত’ বাক্যে ‘মুখ’ শব্দটি দিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, কারণ এটি নদীর প্রবাহের দিক নির্দেশ করছে।
-
এখানে ‘উত্তরমুখে’ মানে হলো নদী উত্তরের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।
-
মুখ শব্দটি অনেক প্রসঙ্গে ব্যবহার হয়—যেমন মুখ অর্থাৎ দিক, প্রত্যঙ্গ বিশেষ, তিরস্কার বা মর্যাদা।
-
এই বাক্যে তার ব্যবহার অবস্থান বা দিক নির্দেশ করার জন্য করা হয়েছে।
-
তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে সঠিক অর্থ হলো দিক।
-
বাক্যের প্রেক্ষিতে এটি স্পষ্টভাবে নদীর প্রবাহের দিক নির্দেশক।
0
Updated: 3 hours ago
'গড্ডলিকা প্রবাহ' বাগ্ধারার 'গড্ডল' শব্দের অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
নদী
B
স্রোত
C
ভেড়া
D
মশা
গড্ডল একটি বিশেষ্য পদ যা মূলত অর্বাচীন সংস্কৃত থেকে নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ ও ব্যবহার নিচের মতো:
• অর্থ:
-
ভেড়া
-
মেষ
-
গাড়ল
• উল্লেখযোগ্য ব্যবহার:
-
'গড্ডলিকা প্রবাহ' বাগধারার অর্থ হলো অন্ধ অনুকরণ
0
Updated: 1 month ago
'চর্যাচর্যবিনিশ্চয়'-এর অর্থ কী?
Created: 2 months ago
A
কোনটি চর্যাগান, আর কোনটি নয়
B
কোনটি আচরণীয়, আর কোনটি নয়
C
কোনটি চরাচরের, আর কোনটি নয়
D
কোনটি আচার্যের, আর কোনটি নয়
চর্যাপদ
চর্যাপদের মূল নাম ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
-
এটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন।
-
১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এই পুথি আবিষ্কার করেন।
শব্দ বিশ্লেষণ:
-
চর্যাচর্য (বিশেষ্য): অর্থ হলো – “আচরণযোগ্য ও অনাচরণীয়”, অর্থাৎ কী পালনযোগ্য এবং কী বর্জনীয়।
-
বিনিশ্চয় (বিশেষ্য): অর্থ হলো – “স্থির সিদ্ধান্ত” বা “নিঃসন্দেহে নির্ধারিত বিষয়”।
পূর্ণ ব্যাখ্যা:
-
সুতরাং, চর্যাচর্যবিনিশ্চয় অর্থ হলো: “কোনটি আচরণযোগ্য আর কোনটি অনাচরণীয়, তা যে গ্রন্থে বা গীতিকবিতায় স্থিরভাবে নির্ধারিত হয়েছে”।
উৎস: আধুনিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি
0
Updated: 2 months ago
কিংবদন্তি শব্দের অর্থ কি?
Created: 2 weeks ago
A
পুরাণ
B
ইতিহাস
C
জনশ্রুতি
D
কাব্য
‘কিংবদন্তি’ শব্দটি এমন কাহিনিকে বোঝায় যা সাধারণ মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হয় এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্থানান্তরিত হয়।
এটি কখনো কখনো বাস্তব ঘটনার সঙ্গে কল্পনার মিশ্রণ ঘটিয়ে রচিত হয়, ফলে এতে ইতিহাসের ছোঁয়া যেমন থাকে, তেমনি থাকে কল্পনার রঙও। নিচে এই শব্দটির অর্থ ও বৈশিষ্ট্য ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো।
শব্দার্থ ও উৎপত্তি: ‘কিংবদন্তি’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘কিংবদন্ত’ শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘যা বলা উচিত’ বা ‘যা বলা হয়’। ইংরেজি শব্দ Legend এরও উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ legenda থেকে, যার মানে “পঠিত হওয়ার যোগ্য বিষয়”।
অর্থ: এর মূল অর্থ জনশ্রুতি—অর্থাৎ এমন গল্প বা কথা, যা বহুদিন ধরে মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত।
প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য:
-
কিংবদন্তি হলো এক ধরনের লোককথা, যা সাধারণত ঐতিহাসিক বা ধর্মীয় চরিত্রকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়।
-
এতে বাস্তব ঘটনা ও কল্পনা মিলেমিশে একটি আকর্ষণীয় রূপ নেয়।
-
বক্তা ও শ্রোতা উভয়েই গল্পটির কিছুটা সত্যতা বিশ্বাস করে।
-
অনেক সময় এতে নৈতিক শিক্ষা, সাহসিকতা বা ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রকাশ পায়।
উদাহরণ: বাংলা সাহিত্যে যেমন—
-
বেহুলা-লক্ষ্মীন্দর কাহিনি,
-
মণসামঙ্গল কাব্যের কাহিনি,
-
আলাউদ্দিন ও পরী বানুর গল্প ইত্যাদি—
এসবই কিংবদন্তির রূপে পরিচিত।
৫. সাহিত্যিক মূল্য:
-
কিংবদন্তি সাহিত্য মানবজীবনের আশা, ভয়, বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটায়।
-
এটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ইতিহাসবিদ ও লোকসংস্কৃতি গবেষকদের জন্য কিংবদন্তি হলো মানুষের মানসিক ইতিহাস বোঝার এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
৬. কিংবদন্তি বনাম ইতিহাস:
-
ইতিহাস যাচাইযোগ্য প্রমাণের ওপর নির্ভর করে।
-
কিন্তু কিংবদন্তি যাচাইযোগ্য না হলেও জনগণের বিশ্বাসের ভেতর সত্যের ধারণা বহন করে।
কিংবদন্তি এমন এক সাহিত্যরূপ যা ইতিহাসের সত্য ও কল্পনার মিশেলে গঠিত জনশ্রুতি কাহিনি। এটি মানুষে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক হয়ে উঠে এবং সমাজে চিরস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
0
Updated: 2 weeks ago