টাইফুন কোন ভাষার শব্দ?
A
ইংরেজি
B
আরবি
C
গ্রিক
D
কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
‘টাইফুন’ শব্দটি নির্দিষ্ট কোনো একক ভাষার নয়; এটি বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির প্রভাবের ফল। সময়ের সাথে শব্দটির রূপ ও উচ্চারণে পরিবর্তন এসেছে। আজ এটি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহৃত একটি আবহাওয়াবিষয়ক পরিভাষা, যার উৎপত্তি বহুস্তরীয় ভাষাগত সংমিশ্রণ থেকে।
-
প্রাচীন উৎস: শব্দটির প্রাচীনতম রূপ পাওয়া যায় গ্রিক ভাষায় “τύφων (Typhon)” থেকে, যার অর্থ বিশাল দানব বা ঝড়ের দেবতা।
-
আরবি প্রভাব: আরবি ভাষায় “ṭūfān” (طوفان) শব্দের অর্থও প্রবল ঝড় বা বন্যা, যা ভারতীয় উপমহাদেশে “তুফান” রূপে প্রচলিত।
-
চীনা প্রভাব: চীনা “tai fung” (台風 বা 太風) শব্দটির অর্থও প্রবল বায়ু বা ঝড়।
-
আধুনিক রূপ: ইউরোপীয় নাবিকেরা এই সব উৎস মিলিয়ে শব্দটি ইংরেজিতে “typhoon” রূপে গ্রহণ করে, যা এখন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানভিত্তিক শব্দ।
-
উপসংহার: তাই ‘টাইফুন’ কোনো নির্দিষ্ট ভাষার নয়; বরং এটি গ্রিক, আরবি ও চীনা ভাষার যৌথ প্রভাব থেকে গঠিত একটি বৈশ্বিক শব্দ।
0
Updated: 7 hours ago
”ছেলেরা মাঠে খেলছে” বাক্যটিতে ”খেলছে” কোন ধরনের ক্রিয়া?
Created: 1 month ago
A
প্রযোজক ক্রিয়া
B
সরল ক্রিয়া
C
নামক্রিয়া
D
সংযোগ ক্রিয়া
সরল ক্রিয়া হলো সেই ধরনের ক্রিয়া যা একটি মাত্র পদ দিয়ে গঠিত হয় এবং কর্তা এককভাবে ক্রিয়াটি সম্পন্ন করে। এটি বাংলা ব্যাকরণের মৌলিক অংশ এবং বাক্যের মূল অর্থ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ:
-
সে লিখছে।
-
ছেলেরা মাঠে খেলছে।
-
উপরের উদাহরণে লিখছে এবং খেলছে হল সরল ক্রিয়া।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি সাধু ভাষায় ব্যবহার উপযোগী নয়?
Created: 1 month ago
A
গল্প লেখা
B
কবিতা লেখা
C
প্রবন্ধ লেখা
D
বক্তৃতা দেওয়া
সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য:
-
সাধু ভাষার রূপ অপরিবর্তনীয়; অঞ্চল বা সময়ের সঙ্গে কোনো পরিবর্তন হয় না।
-
এটি ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে, এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট থাকে।
-
সাধু ভাষায় তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার বেশি, ফলে ভাষায় আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য থাকে।
-
সাধু ভাষারীতি মূলত লিখিত রূপে ব্যবহৃত হয়; কথ্য ভাষা, বক্তৃতা বা ভাষণে ব্যবহার উপযোগী নয়।
-
এতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি অর্থতত্ত্বে আলোচনা কর হয়?
Created: 1 month ago
A
বাক্যের ব্যঞ্জনা
B
বাগ্যন্ত্রের উচ্চারণ-প্রক্রিয়া
C
বিশেষণ
D
শব্দ গঠন
অর্থতত্ত্ব হলো ব্যাকরণের সেই শাখা, যেখানে শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এখানে বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দজোড়, বাগধারা প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা নিয়েও আলোচনার সুযোগ থাকে।
ধ্বনিতত্ত্ব হলো ভাষার সেই শাখা, যেখানে মূল আলোচ্য বিষয় হলো ধ্বনি। লিখিত ভাষায় ধ্বনিকে বর্ণের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, তাই বর্ণমালা সংক্রান্ত আলোচনা ধ্বনিতত্ত্বের অংশ। মূল আলোচ্য বিষয়গুলো হলো: বাগ্যন্ত্র, বাগ্যন্ত্রের উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য, ধ্বনিদল প্রভৃতি।
রূপতত্ত্ব হলো ভাষার সেই শাখা, যেখানে শব্দ ও তার উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই আলোচনায় বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া, ক্রিয়া বিশেষণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এখানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় শব্দগঠন প্রক্রিয়াকে।
0
Updated: 1 month ago