কোন দেশ থেকে 'আরব বসন্ত'-এর সূচনা হয়?
A
মিশর
B
তিউনিশিয়া
C
লিবিয়া
D
সিরিয়া
উত্তরের বিবরণ
আরব বসন্ত (Arab Spring):
২০১০ সালের ডিসেম্বরে তিউনিশিয়া থেকে সূচনা হয়। ফেরিওয়ালা মোহাম্মদ বুয়াজিজি সরকারী নিপীড়ন ও বেকারত্বের প্রতিবাদে আত্মাহুতি দিলে আন্দোলন শুরু হয়। এর ফলে প্রেসিডেন্ট জিন এল আবেদিন বেন আলি (শাসনকাল: ১৯৮৭–২০১১) ক্ষমতাচ্যুত হন। পরবর্তীতে আন্দোলনটি মিশর, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ বহু আরব দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
ইসলামি বিপ্লব (১৯৭৯):
ইরানে ১৯৭৯ সালে সংঘটিত এই বিপ্লবে দেশটি ইসলামী প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়। নেতৃত্বে ছিলেন ইমাম আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনী। ইরানের শেষ বাদশাহ ছিলেন শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলাবি।
ভেলভেট বিপ্লব (১৯৮৯):
চেকোস্লোভাকিয়ায় সংঘটিত শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন, যা Gentle Revolution নামেও পরিচিত। এর মাধ্যমে একদলীয় কমিউনিস্ট শাসনের অবসান ঘটে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
রোজ বিপ্লব (২০০৩):
জর্জিয়ায় ২০০৩ সালে সংঘটিত হয়। এই আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা ঘটে।
অরেঞ্জ বিপ্লব (২০০৪):
ইউক্রেনে ২০০৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে শুরু হওয়া গণআন্দোলন। পুনঃনির্বাচনে ভিক্টর ইউশচেঙ্কো (Viktor Yushchenko) বিজয়ী হন।
টিউলিপ বিপ্লব (২০০৫):
কিরগিজস্তানে ২০০৫ সালে সংসদ নির্বাচনে কারচুপি ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়। এর ফলে প্রেসিডেন্ট এসকার আকায়েভ পদত্যাগে বাধ্য হন। এই ঘটনাটি ইতিহাসে টিউলিপ বিপ্লব বা প্রথম কিরগিজ বিপ্লব নামে পরিচিত।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (Fourth Industrial Revolution):
ধারণাটি দেন ক্লাউস শোয়াব (Schwab), ২০১৫ সালে Foreign Affairs পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ এবং The Fourth Industrial Revolution গ্রন্থে। মূল লক্ষ্য ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন।
ব্যবহৃত প্রযুক্তি: স্মার্টফোন, রোবটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ন্যানো-টেকনোলজি, ৫জি ইত্যাদি।
অন্য নাম: ডিজিটাল বিপ্লব।
বাংলাদেশে অংশগ্রহণের প্রতীক হিসেবে ১২ ডিসেম্বর “ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস” পালিত হয়।
0
Updated: 7 hours ago
ভিয়েনা কনভেনশন-এর আওতায় নিম্নের কোন প্রটোকলটি গৃহীত হয়?
Created: 2 months ago
A
মন্ট্রিল প্রটোকল
B
কার্টাগেনা প্রটোকল
C
কিয়েটো প্রটোকল
D
নাগোয়া প্রটোকল
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আন্তর্জাতিক সংস্থা
মনট্রিল প্রটোকল
ভিয়েনা কনভেনশন (Vienna Convention)
-
পূর্ণরূপ: The Vienna Convention for the Protection of the Ozone Layer
-
ধরন: জাতিসংঘের ওজোন স্তর সংরক্ষণ ও সুরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি
-
প্রস্তাব ও কার্যকর:
-
গৃহীত: ২২ মার্চ, ১৯৮৫
-
কার্যকর: ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৮
-
-
স্থান: ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ২৮টি
-
অনুমোদনকারী দেশ: ১৯৮টি
-
বৈশ্বিক অনুমোদন লাভ: ২০০৯
-
পর্যবেক্ষণ: সংশ্লিষ্ট পক্ষরা প্রতি ৩ বছরে চুক্তির অগ্রগতি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বৈঠক করে
প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য
-
ওজোন স্তর ক্ষয়কারী গ্যাস:
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFC), হ্যালন, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, মিথাইল ক্লোরোফর্ম, মিথাইল ব্রোমাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, হাইড্রোব্রোমোফ্লোরোকার্বন ইত্যাদি।
-
-
সমস্যা: ওজোন স্তর ক্ষয় হচ্ছে, ফলে ওজোন হোল বা গর্ত তৈরি হচ্ছে।
-
প্রভাব: এই গ্যাসগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে কাজ করে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
-
ব্যবহার: রেফ্রিজারেশন, এয়ার কন্ডিশনিং, অ্যাজমা ইনহেলার, ফ্যান, প্লাস্টিক ফোম, মাইক্রোইলেকট্রনিক সার্কিট পরিস্কার ইত্যাদি।
-
প্রয়োজন: সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে মানবসভ্যতাকে রক্ষার জন্য ওজোন স্তরের সুরক্ষা অত্যাবশ্যক।
গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ
-
ভিয়েনা কনভেনশন হলো ওজোন স্তর রক্ষার জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক উদ্যোগ।
-
১৯৮৭ সালে মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়, যা ওজোন ক্ষয়কারী পদার্থের ব্যবহার কমাতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
উৎস:
i) UNEP ওয়েবসাইট
ii) Ozone Secretariat
iii) তথ্য অধিদফতর (PID)
0
Updated: 2 months ago
কোন দেশ CTBT-তে স্বাক্ষর করেছে কিন্তু অনুমোদন করেনি?
Created: 1 month ago
A
চীন
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
ইরান
D
বর্ণিত সবগুলো
CTBT হলো Comprehensive Nuclear Test Ban Treaty, যা সামরিক ও বেসামরিক সকল পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ করে। চুক্তিটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬-এ গ্রহণ করা হয় এবং স্বাক্ষরিত হয় ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬-এ। বর্তমানে ১৮৭টি দেশ স্বাক্ষর করেছে এবং এর মধ্যে ১৭৮টি দেশ অনুমোদন দিয়েছে। চুক্তির বাস্তবায়ন সংস্থা হলো CTBTO (Comprehensive Nuclear-Test-Ban Treaty Organization), যার সদর দপ্তর ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া-তে অবস্থিত।
-
৯টি দেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে কিন্তু অনুমোদন দেননি: চীন, মিশর, ইরান, ইসরায়েল, নেপাল, রাশিয়া, সোমালিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইয়েমেন
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'দারিয়ুস দ্য গ্রেট' কোন সাম্রাজ্যের সম্রাট ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
সেলুসিড সাম্রাজ্য
B
রোমান সাম্রাজ্য
C
সাসানীয় সাম্রাজ্য
D
আকামেনিদ সাম্রাজ্য
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
সাম্রাজ্যের পতন
দারিয়ুস দ্য গ্রেট (Darius the Great)
-
দারিয়ুস ছিলেন প্রাচীন পারস্য সভ্যতার একজন বিশিষ্ট সম্রাট।
-
বর্তমান ইরান অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন পরাশক্তি পারস্য সাম্রাজ্য।
-
পারস্যে খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০ সাল থেকে খ্রিস্টাব্দ ৬৫১ সাল পর্যন্ত একাধিক সাম্রাজ্যের উদ্ভব ঘটে।
-
ঐতিহাসিকরা এই দীর্ঘ সময়কে চারটি প্রধান সাম্রাজ্যে ভাগ করেছেন:
-
আকামেনিদ সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০ – খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০)
-
সেলুসিড সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ৩১২ – খ্রিস্টপূর্ব ৬৩)
-
পার্থিয়ান সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ২৪৭ – খ্রিস্টাব্দ ২২৪)
-
সাসানীয় সাম্রাজ্য (খ্রিস্টাব্দ ২২৬ – ৬৫১)
-
দারিয়ুস দ্য গ্রেট ও তাঁর কৃতিত্ব
-
দারিয়ুস ছিলেন আকামেনিদ সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট।
-
তাঁর শাসনামলে সাম্রাজ্যের ভূখণ্ড সর্বাধিক বিস্তৃতি লাভ করে।
-
তিনি পার্সেপোলিস নগরীর গোড়াপত্তন করেন।
-
বিভিন্ন পরিমাপের একক নির্ধারণ করেন এবং অভিন্ন মুদ্রা চালু করেন।
-
পারসিকরা প্রথম জাতি যারা এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার মধ্যে সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
-
বিশ্বের প্রথম ডাকসেবা দারিয়ুসের হাত ধরেই চালু হয়।
-
এসব কারণে তাঁকে পারস্য সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মৃত্যু
-
খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৬ সালে সম্রাট দারিয়ুস মারা যান।
-
তাঁকে তাঁর নির্মিত সমাধিক্ষেত্র ‘নাকশে রুস্তম’-এ সমাধিস্থ করা হয়।
📖 উৎস:
i) Britannica
ii) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ষষ্ঠ শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago