বিশ্বব্যাপী নিচের কোন অর্থনৈতিক খাত থেকে সব চাইতে বেশি গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়?
A
পরিবহন
B
বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন
C
ভবন নির্মাণ
D
শিল্প
উত্তরের বিবরণ
গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন:
বিশ্বে মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের সবচেয়ে বড় অংশ আসে বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন খাত থেকে। এই খাতে কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করা হয়, যার ফলে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) বায়ুমণ্ডলে নিঃসৃত হয়।
0
Updated: 7 hours ago
গ্রিন হাউস ইফেক্টের ফলে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুতর ক্ষতি কী হবে?
Created: 1 week ago
A
বৃষ্টিপাত হবে না
B
নিম্নভূমি নিমজ্জিত হবে
C
মেঘ-রৌদ্রের লুকোচুরি হবে না
D
সাইক্লোন হবে
গ্রিন হাউস ইফেক্ট হলো পরিবেশগত একটি প্রক্রিয়া, যেখানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রীনহাউস গ্যাসের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রস্তর বৃদ্ধি এবং আবহাওয়ার তীব্র পরিবর্তন ঘটতে পারে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই প্রভাব সবচেয়ে গুরুতর রূপ নেবে নিম্নভূমি নিমজ্জনের মাধ্যমে, কারণ বাংলাদেশ একটি সমভূমি এবং নদীভিত্তিক দেশ। তাই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো খ) নিম্নভূমি নিমজ্জিত হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পায়, যা বাংলাদেশের খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, পটুয়াখালী, কক্সবাজার ও চাঁদপুরের নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এতে মানুষের বসতি, কৃষি জমি, অবকাঠামো এবং বন্যপ্রাণীর বাসস্থান সবই প্রভাবিত হয়। বিশেষ করে মৎসজীবি ও কৃষিপ্রধান জনগোষ্ঠী এই পরিবর্তনের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অন্য বিকল্পগুলো তুলনামূলকভাবে কম প্রাসঙ্গিক বা আংশিক:
-
বৃষ্টিপাত হবে না: গ্রিনহাউস ইফেক্ট বৃষ্টিপাত পুরোপুরি বন্ধ করে না, বরং বৃষ্টিপাতের প্যাটার্ন পরিবর্তন করে।
-
মেঘ-রৌদ্রের লুকোচুরি হবে না: এটি ভুল, কারণ গ্রীনহাউস গ্যাস মেঘ বা সূর্যের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে না।
-
সাইক্লোন হবে: যদিও সাইক্লোনের তীব্রতা গ্রিনহাউস ইফেক্টের কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে এটি সরাসরি এর প্রধান ক্ষতি নয়; মূল ক্ষতি হলো নিম্নভূমির জলাবদ্ধতা ও নিমজ্জন।
সারসংক্ষেপে, বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থার কারণে গ্রিন হাউস ইফেক্টের সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব হবে নিম্নভূমি নিমজ্জন, যা সরাসরি মানুষের জীবন, কৃষি ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে।
0
Updated: 1 week ago
মাথাপিছু গ্রিনহাউজ গ্যাস উদগীরণে সবচেয়ে বেশি দায়ী নিচের কোন দেশটি?
Created: 2 months ago
A
রাশিয়া
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
ইরান
D
জার্মানি
মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ দেশ
গ্রিনহাউস গ্যাস (Greenhouse Gases)
গ্রিনহাউস গ্যাস হলো সেই গ্যাসগুলো যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এগুলি সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে এবং পুনরায় মহাশূন্যে ফিরিয়ে দেয়। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে। প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
জলীয় বাষ্প (Water vapor)
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
ওজোন (O₃)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ দেশ
গত সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মাথাপিছু (per capita) গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কাতার। অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে আছে: বাহরাইন, ব্রুনাই, কুয়েত, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, মঙ্গোলিয়া, সৌদি আরব, এবং অস্ট্রেলিয়া।
উৎস: Our World in Data
0
Updated: 2 months ago
নিম্নের কোনটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নয়?
Created: 2 months ago
A
নাইট্রাস অক্সাইড
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
মিথেন
গ্রিন হাউস এবং গ্রিন হাউস গ্যাস
গ্রিন হাউস:
গ্রিন হাউস হলো কাচ বা স্বচ্ছ উপকরণ দিয়ে তৈরি একটি ঘর, যেখানে উদ্ভিদ বা শাকসবজি চাষ করা হয়। এটি তাপ ধরে রাখে এবং উদ্ভিদ বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। সাধারণত শীতপ্রধান দেশগুলো বা মরুভূমি অঞ্চলে এর ব্যবহার বেশি।
গ্রিন হাউস গ্যাস:
গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো এমন গ্যাস যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখে, সূর্য থেকে আসা তাপ বিকিরণকে আটকে দেয় এবং পৃথিবীকে গরম করে। প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো হলো:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
এখানে জেনে রাখা জরুরি: অক্সিজেন গ্রিন হাউস গ্যাস নয়।
গ্রিন হাউস ইফেক্ট:
যখন গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো সূর্য থেকে আসা তাপকে আটকে দিয়ে বায়ুমণ্ডলকে গরম করে, তখন সেই প্রক্রিয়াটিকে গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলা হয়। এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন সুইডিশ রসায়নবিদ সোভান্টে আরহেনিয়াস।
গ্রিন হাউস প্রভাব এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন:
বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে:
-
পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে (বৈশ্বিক উষ্ণায়ন)।
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি বাড়ছে।
-
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে।
-
অনেক প্রাণী এবং উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago