২০২২ সালে G-20 শীর্ষ বৈঠক কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
A
সিংগাপুর
B
জাকার্তা
C
ম্যানিলা
D
বালী
উত্তরের বিবরণ
২০২২ সালের জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন ইন্দোনেশিয়ার বালী দ্বীপে অনুষ্ঠিত হয় ১৫–১৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখে। সেই বছর ইন্দোনেশিয়া প্রথমবারের মতো জি–২০-এর সভাপতিত্ব করে। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “Recover Together, Recover Stronger”, যার লক্ষ্য ছিল কোভিড–পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, রাশিয়া, জাপানসহ বিশ্বের ২০টি প্রধান অর্থনীতির দেশ অংশ নেয়। জি–২০ (Group of Twenty) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৯ সালে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং নীতিগত সমন্বয় সাধন। জি–২০-এর কোনো স্থায়ী সদর দপ্তর নেই; সভাপতিত্বের দেশ অনুযায়ী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
-
১৮তম জি–২০ সম্মেলন: ৯–১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ভারতের নয়াদিল্লি
-
১৯তম জি–২০ সম্মেলন: ব্রাজিল
-
২০তম জি–২০ সম্মেলন: দক্ষিণ আফ্রিকা
0
Updated: 9 hours ago
উন্নয়নশীল দেশসমূহের বৈশ্বিক জোট 'জি-৭৭' এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত?
Created: 2 weeks ago
A
১০৫
B
১১৫
C
১২৫
D
১৩৫
জি-৭৭ (Group of 77) হলো জাতিসংঘের অধীনে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক জোট, যা মূলত উন্নয়নশীল দেশসমূহের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রযুক্তিগত স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে। এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ন্যায্যতা, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে (South-South Cooperation) উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৩৫টি দেশ, যদিও প্রাথমিকভাবে ৭৭টি দেশ নিয়ে এটি গঠিত হয়েছিল।
জি-৭৭ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
-
পূর্ণরূপ: Group of 77
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৫ জুন, ১৯৬৪
-
প্রতিষ্ঠার স্থান: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ: ৭৭টি
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ১৩৫টি দেশ
-
উদ্যোক্তা সংস্থা: The United Nations Conference on Trade and Development (UNCTAD)
-
মূল উদ্দেশ্য: উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বৈশ্বিক বাণিজ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সমান মর্যাদার সম্পর্ক গড়ে তোলা।
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ও লক্ষ্য:
১৯৬০-এর দশকে উন্নয়নশীল দেশগুলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়ার কারণে একত্রিত হয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এর ফলেই ১৯৬৪ সালে UNCTAD-এর উদ্যোগে জি-৭৭ গঠিত হয়। এই সংগঠন জাতিসংঘের ফোরামে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সম্মিলিত কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করে, যাতে তারা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সংক্রান্ত আলোচনায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
জি-৭৭ এর কার্যক্রম ও গুরুত্ব:
-
উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
-
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থানকে শক্তিশালী করা।
-
জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা (South-South Cooperation) প্রসারে ভূমিকা রাখা।
-
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করা।
জি-৭৭ প্লাস চীন শীর্ষ সম্মেলন (২০২৩):
২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, কিউবার রাজধানী হাভানায় অনুষ্ঠিত হয় জি-৭৭ প্লাস চীন (G77+China) শীর্ষ সম্মেলন। এতে সদস্য দেশগুলোর নেতারা বৈশ্বিক বৈষম্য, প্রযুক্তি প্রবেশাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। চীন যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য নয়, তবে এটি “বিশেষ সহযোগী দেশ” হিসেবে জোটের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
সব মিলিয়ে, জি-৭৭ বর্তমানে উন্নয়নশীল বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক জোট, যা উন্নয়ন, ন্যায্য বাণিজ্য ও বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
0
Updated: 2 weeks ago
COMESA কোন ধরণের সংগঠন?
Created: 1 month ago
A
সামরিক জোট
B
সাংস্কৃতিক জোট
C
আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অঞ্চল
D
মানবাধিকার সংগঠন
COMESA হলো পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার ২১টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা অর্থনৈতিক সংহতি ও উন্নয়ন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
-
পূর্ণরূপ: The Common Market for Eastern and Southern Africa
-
প্রকার: আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অঞ্চল
-
সদস্য দেশ সংখ্যা: ২১টি দেশ
-
পূর্বসূরি সংগঠন: Preferential Trade Area (PTA), প্রতিষ্ঠিত ১৯৮১ সালে
-
COMESA প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৪ সালে
-
সদরদপ্তর: লুসাকা, জাম্বিয়া
-
উদ্দেশ্য: পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সংহতি বৃদ্ধি ও সামষ্টিক উন্নয়ন
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'ই-৮' কী-
Created: 2 weeks ago
A
৮ টি গরিব দেশ
B
৮ টি ধনী দেশ
C
৮টি পরিবেশ দুষণকারী দেশ
D
৮ টি শিল্পোন্নত দেশ
‘ই-৮’ একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যার সদস্য ৮টি পরিবেশ দুষণকারী দেশ। এই সংগঠনটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করার জন্য গঠিত হয়েছে।
-
সদস্য দেশ: ই-৮ এর সদস্য দেশগুলোতে রয়েছে এমন দেশগুলো যেগুলি পরিবেশে বেশি পরিমাণে দুষণ সৃষ্টি করে।
-
সংগঠনের উদ্দেশ্য: এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করা এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
-
দূষণের মূল উৎস: এই দেশগুলো অধিকাংশ সময় শিল্পায়ন, কার্বন নিঃসরণ এবং অন্যান্য পরিবেশ দূষণকারী কার্যক্রমের জন্য পরিচিত। তারা এই সমস্যা সমাধান করতে একে অপরকে সহায়তা করার চেষ্টা করে।
-
বিশ্বব্যাপী প্রভাব: ই-৮ দেশগুলোর কাজ শুধু নিজেদের দেশগুলোতে নয়, বরং বৈশ্বিক পরিবেশেও প্রভাব ফেলে। এই দেশগুলোর যৌথ উদ্যোগে পরিবেশ দুষণ কমানোর চেষ্টা করা হয়।
এছাড়া, ই-৮ এর সদস্য দেশগুলোতে প্রায়ই পরিবেশ সুরক্ষায় নতুন আইন ও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, যাতে তারা পরিবেশের জন্য আরও নিরাপদ এবং টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে।
0
Updated: 2 weeks ago