‘শুদ্ধ’ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
A
শান্ত
B
ভদ
C
সুশীল
D
কোনোটি নয়
উত্তরের বিবরণ
‘শুদ্ধ’ শব্দটি এমন কিছুকে বোঝায় যা পবিত্র, নির্ভুল, বিশুদ্ধ বা খাঁটি। এটি নৈতিক, ভাষাগত কিংবা ধর্মীয় অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে কোনো শব্দই এই অর্থের সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না।
পয়েন্টসমূহ:
শুদ্ধ মানে দোষত্রুটিমুক্ত বা অপবিত্রতা থেকে মুক্ত।
‘শান্ত’ শব্দটি মানসিক প্রশান্তি বোঝায়, যা শুদ্ধতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
‘ভদ’ শব্দটি ভদ্র বা সভ্য অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা সামাজিক গুণ নির্দেশ করে।
‘সুশীল’ মানে ভদ্র বা মার্জিত আচরণের অধিকারী, যা নৈতিক শুদ্ধতা নয়।
তাই ‘কোনোটিই নয়’ সঠিক উত্তর, কারণ অন্য তিনটি শব্দে শুদ্ধতার মূল অর্থ প্রতিফলিত হয়নি।
0
Updated: 13 hours ago
‘কিরণ’ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
প্রভা
B
ঢেউ
C
ভাগ্য
D
হর্ষ
“কিরণ” শব্দের অর্থ হলো আলো বা আলোর রেখা, যা কোনো উৎস থেকে বিকিরিত হয়। এটি সূর্যের, চাঁদের বা অন্য কোনো আলোকিত বস্তুর উজ্জ্বল রশ্মিকে বোঝায়। “প্রভা” শব্দটি এর যথার্থ সমার্থক, কারণ দুটোই আলোকবিকিরণের ধারণা প্রকাশ করে।
• “কিরণ” মানে সূর্যালোকের রশ্মি বা আলোর ধারা।
• “প্রভা” শব্দের অর্থ আলো, জ্যোতি বা দীপ্তি।
• দুই শব্দই আলো ও উজ্জ্বলতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে “প্রভা” তুলনামূলকভাবে সাধারণ অর্থে ব্যবহৃত হয়।
• অন্য সম্ভাব্য শব্দ যেমন “ছটা”, “রশ্মি” ইত্যাদি কাছাকাছি হলেও “প্রভা” অধিক সমার্থক ও প্রাঞ্জল।
তাই “কিরণ” শব্দের সমার্থক শব্দ হলো “প্রভা”, যা একই অর্থে আলো ও উজ্জ্বলতার প্রকাশ ঘটায়।
0
Updated: 1 day ago
'আফতাব' শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
Created: 3 months ago
A
অর্ণব
B
রাতুল
C
অর্ক
D
জলধি
‘আফতাব’ শব্দের সমার্থক শব্দ হলো ‘অর্ক’
‘সূর্য’ শব্দের সমার্থক শব্দগুলো হলো:
অর্ক, আফতাব, আদিত্য, মিহির, অরুণ, রবি, তপন, মার্তণ্ড, সবিতা ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
‘অর্ণব’ এবং ‘জলধি’ শব্দ দুটি সমুদ্রের জন্য ব্যবহৃত হয়।
আর ‘রাতুল’ শব্দের অর্থ হলো লাল বা রক্তবর্ণ।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা (ড. হায়াৎ মামুদ), বাংলা একাডেমির আধুনিক বাংলা অভিধান।
0
Updated: 3 months ago
'সূর্য' শব্দের সমার্থক নয় নিচের কোনটি?
Created: 1 week ago
A
সুধাংশু
B
আদিত্য
C
ভাস্কর
D
মার্তন্ড
উ. ক) সুধাংশু
‘সূর্য’ শব্দটি বাংলা ভাষায় আলোক ও শক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর একাধিক সমার্থক শব্দ রয়েছে, যা সংস্কৃত ও প্রাচীন বাংলা থেকে উদ্ভূত। এই প্রশ্নে প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে তিনটি শব্দ সূর্যের অর্থ প্রকাশ করে, কিন্তু একটি শব্দ চাঁদ অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা সূর্যের সমার্থক নয়।
সুধাংশু শব্দের অর্থ হলো চাঁদ। এই শব্দটি দুটি অংশে গঠিত—“সুধা” অর্থাৎ অমৃত বা মধুর রস এবং “অংশু” অর্থাৎ রশ্মি। অর্থাৎ সুধাংশু মানে হলো অমৃতরশ্মিধারী বা চন্দ্র। তাই এটি সূর্যের সমার্থক নয়। অন্যদিকে বাকি তিনটি শব্দ সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আদিত্য শব্দটি সংস্কৃত উৎস থেকে এসেছে, যার অর্থ সূর্যদেব। হিন্দু পুরাণে আদিত্যকে সূর্যের আরেক নাম হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সূর্যের বারোটি ভিন্ন রূপ বা আদিত্যর উল্লেখও পাওয়া যায়, যেমন মিত্র, বরুণ, আর্যমান ইত্যাদি।
ভাস্কর শব্দের অর্থ হলো “আলোকদাতা” বা “যিনি আলো ছড়ান”। এই নামটি সরাসরি সূর্যের সঙ্গে যুক্ত, কারণ সূর্য পৃথিবীতে আলো ও তাপের উৎস।
মার্তণ্ড শব্দটিও সংস্কৃতজাত এবং এর অর্থ সূর্য। পুরাণে মার্তণ্ডকে বলা হয় আদিতির অষ্টম পুত্র, যিনি সূর্যদেব রূপে প্রকাশিত হন।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃত সাহিত্যে সূর্যকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়—আদিত্য, দিনকর, দিবাকর, ভাস্কর, তপন, তপস্বী, তেজস্বী ইত্যাদি। এই নামগুলো সূর্যের বিভিন্ন গুণ বা কার্যকে প্রকাশ করে। যেমন, দিনকর মানে যিনি দিন সৃষ্টি করেন, দিবাকর মানে যিনি আলোর উদয় ঘটান।
অন্যদিকে, চাঁদের জন্য ব্যবহৃত নামগুলো হলো সুধাংশু, শশী, হেমাংশু, রজনীশ, ইন্দু, চন্দ্র ইত্যাদি। এগুলো রাতের আলোক উৎসকে বোঝায়। তাই প্রশ্নে প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে সুধাংশু একমাত্র শব্দ যা সূর্যের নয়, বরং চাঁদের সমার্থক।
এই পার্থক্যটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সাহিত্য ও কাব্যে সূর্য ও চাঁদের প্রতীকী ব্যবহার ভিন্ন। সূর্যকে সাধারণত শক্তি, জাগরণ, জীবন ও কর্মের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, আর চাঁদকে কোমলতা, সৌন্দর্য ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সুতরাং “স্মৃতিঝলমল সুনীল মাটির কাছে আমার অনেক ঋণ আছে” প্রশ্নের মতোই, এখানে ভাষার নিখুঁত অর্থবোধক জ্ঞান প্রয়োজন। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে সুধাংশু সূর্যের সমার্থক নয়, বরং চন্দ্রের নাম। তাই সঠিক উত্তর হলো ক) সুধাংশু।
0
Updated: 1 week ago