‘বিচ্ছিন্ন’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
A
বি + ছিন্ন
B
বিৎ + চ্ছিন্ন
C
বিৎ + ছিন্ন
D
বিচ্ + ছিন্ন
উত্তরের বিবরণ
‘বিচ্ছিন্ন’ শব্দটি দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে এর প্রকৃত গঠন প্রকাশ করে। এই শব্দে উপসর্গ ‘বি’ ও মূল শব্দ ‘ছিন্ন’ একত্রিত হয়েছে। ‘বি’ মানে আলাদা বা পৃথকভাবে, আর ‘ছিন্ন’ মানে কাটা বা বিচ্ছেদিত। ফলে এর অর্থ দাঁড়ায় আলাদা হয়ে যাওয়া বা ছিন্ন হওয়া। বাংলা ভাষায় এই ধরনের সন্ধি গঠনে ‘বি’ উপসর্গটি বহুল ব্যবহৃত, যেমন— বি + ছেদ = বিচ্ছেদ, বি + ধ্বংস = বিধ্বংস, বি + নাশ = বিনাশ। অন্যদিকে, ‘বিৎ’, ‘বিচ্’ বা ‘বিৎচ্ছিন্ন’ ধরনের গঠন শুদ্ধ নয়, কারণ এগুলোর ধ্বনিগত সংযোগ ব্যাকরণসম্মত নয়। তাই সঠিক সন্ধি হলো ‘বি + ছিন্ন = বিচ্ছিন্ন’।
0
Updated: 14 hours ago
কোন বাংলা পদের সাথে সন্ধি হয় না?
Created: 2 months ago
A
ক্রিয়া
B
অব্যয়
C
বিশেষ্য
D
বিশেষণ
ক্রিয়া পদের সাথে সন্ধি হয় না।
সন্ধির সবচেয়ে দ্বিধান্বিত প্রশ্ন :
প্রশ্ন : কোন বাংলা পদের সাথে সন্ধি হয় না? বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি একাধিকবার এলেও এটি নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ আছে। অনেকে বলেন এর উত্তর অব্যয়, আবার অনেকে বলেন এর উত্তর ক্রিয়া। আবার অনেক জায়গায় এর উত্তর সর্বনামও খুঁজে পাওয়া যায়।
সমাধান ও ব্যাখ্যা :
আসলে বাংলা এমন কোনো পদই নেই যার সন্ধি হয় না, বাংলা সকল পদেরই সন্ধি হয়। যেমন :
বিশেষ্য পদের সন্ধি-বিচ্ছেদ :
বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়
গ্রন্থ + আগার = গ্রন্থাগার
গীত + অঞ্জলি = গীতাঞ্জলি
জল + আশয় = জলাশয়
পদ + উন্নতি = পদোন্নতি
বিশেষণ পদের সন্ধি-বিচ্ছেদ :
ক্ষুধা + ঋত = ক্ষুধার্ত
জন + এক = জনৈক
উপরি + উক্ত = উপর্যুক্ত
অতি + অধিক = অত্যধিক
অতি + অন্ত = অত্যন্ত
সর্বনাম পদের সন্ধি-বিচ্ছেদ :
পর + পর = পরস্পর
অব্যয় পদের সন্ধি-বিচ্ছেদ :
ইতি + আদি = ইত্যাদি
কিম + বা = কিংবা
পরম + তু = পরন্তু
ক্রিয়া পদের সন্ধি-বিচ্ছেদ :
দেখিতে + আছি = দেখিতেছি
করিতে + আছি = করিতেছি
[ক্রিয়া পদের উদাহরণদুটি ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর 'বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত' এবং ড. এনামুল হকের 'ব্যাকরণ মঞ্জরী' বই থেকে নেওয়া হয়েছে।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে পরীক্ষায় এলে এর উত্তর কী দিবেন? অপশনে যদি 'কোনোটিই নয়' থাকে তাহলে তা সর্বোত্তম উত্তর আর তা থাকলে 'ক্রিয়া'ই দাগাবেন।
কেন 'ক্রিয়া' দাগাবেন তার ব্যাখ্যা :
ভালো করে প্রশ্নটি লক্ষ করুন, প্রশ্নে বলা হয়েছে কোন বাংলা পদের সন্ধি হয় না? এবার খেয়াল করুন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর 'বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত' এবং ড. এনামুল হকের 'ব্যাকরণ মঞ্জরী' বইতে ক্রিয়াপদের যে সন্ধি দেখানো হয়েছে তা কিন্তু সাধু ভাষার অর্থাৎ তৎসম শব্দ।
বাংলা শব্দ বলতে সাধারণত আমরা তদ্ভব বা দেশি শব্দগুলোকে বুঝি। সে হিসেবে বাংলা 'ক্রিয়া' পদের সন্ধি হয় না।
0
Updated: 2 months ago
'ভাবুক' শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ভাব + উক
B
ভৌ + উক
C
ভা + উক
D
ভো + উক
স্বরসন্ধির নিয়ম:
বাংলা ভাষায় এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পরবর্তী স্বরধ্বনির প্রভাবে উচ্চারণে পরিবর্তন ঘটে। নিয়মটি হলো—
-
এ, ঐ স্থানে যথাক্রমে অয়, আয় হয়।
-
ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব্, আব্ হয়।
উদাহরণ:
-
ঔ + উ = আব্ + উ → ভৌ + উক = ভাবুক
-
ও + ই = অব্ + ই → পো + ইত্র = পবিত্র
-
ঔ + অ = আব্ + অ → পৌ + অক = পাবক
-
ও + আ = অব্ + আ → গো + আদি = গবাদি
0
Updated: 1 month ago
কোনটি সঠিক নয়?
Created: 1 month ago
A
সতী + ঈন্দ্র = সতীন্দ্র
B
সতী + ঈশ = সতীশ
C
পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা
D
অতি + ইত = অতীত
বাংলা ভাষায় কিছু শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ বা সংযোগে কখনো অশুদ্ধ সন্ধি হয়ে যায়, যা সংশোধনের মাধ্যমে শুদ্ধ রূপে পরিণত করা হয়। বিশেষত, ই-কার বা ঈ-কার সংযোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।
-
অশুদ্ধ সন্ধিবিচ্ছেদ উদাহরণ:
-
সতী + ঈন্দ্র = সতীন্দ্র
-
শুদ্ধ রূপ: সতী + ইন্দ্র = সতীন্দ্র
-
-
সন্ধির নিয়ম:
-
যদি কোনো শব্দের শেষে ই-কার বা ঈ-কার থাকে এবং পরবর্তী শব্দের শুরুতে আবার ই-কার বা ঈ-কার থাকে, তবে উভয় মিলিত হয়ে দীর্ঘ ঈ-কার তৈরি হয়।
-
দীর্ঘ ঈ-কারটি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয়।
-
-
উদাহরণ:
-
অতি + ইত = অতীত
-
পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা
-
সতী + ঈশ = সতীশ
-
0
Updated: 1 month ago