‘অনুচিত’ শব্দটি কোন সমাস?
A
তৎপুরুষ
B
কর্মধারয়
C
দ্বন্দ্ব
D
বহুব্রীহি
উত্তরের বিবরণ
‘অনুচিত’ শব্দটি দুটি অংশে গঠিত— ‘অনু’ এবং ‘চিত’। এখানে ‘অনু’ শব্দটি উপসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে মূল শব্দ ‘চিত’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন অর্থ প্রকাশ করেছে। এই ধরনের সংযোগে পূর্বপদ পরপদের উপর নির্ভরশীল থাকে, ফলে এটি তৎপুরুষ সমাস হিসেবে গণ্য হয়।
‘অনু’ মানে ‘বিপরীত’ বা ‘না’, আর ‘চিত’ মানে ‘উপযুক্ত’ বা ‘যথাযথ’। তাই ‘অনু + চিত’ মিলে দাঁড়ায় ‘অনুচিত’, অর্থাৎ ‘অযথা’ বা ‘যা উচিত নয়’।
তৎপুরুষ সমাসে প্রথম পদটি দ্বিতীয় পদের বিশেষণ বা অব্যয়ের মতো কাজ করে।
এখানে ‘অনু’ মূল শব্দের অর্থকে পরিবর্তন করেছে, তাই এটি কর্মধারয় নয়।
অন্য বিকল্পগুলো যেমন দ্বন্দ্ব ও বহুব্রীহি-তে অর্থের মিল নেই।
0
Updated: 15 hours ago
'চৌরাস্তা' - শব্দটি কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
কর্মধারায়
B
উপপদ তৎপুরুষ
C
দ্বিগু
D
সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি
দ্বিগু সমাস:
যে সমাসে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদ যুক্ত হয়ে সমষ্টি বা মিলনের অর্থ প্রকাশ করে, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাসে সমাসফল পদটি সাধারণত বিশেষ্য পদ হয়।
উদাহরণ:
-
তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল
-
চৌরাস্তার সমাহার = চৌরাস্তা
-
তিন মাথার সমাহার = তেমাথা
-
শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago
'কুম্ভকার' কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
B
উপপদ তৎপুরুষ
C
ব্যধিকরণ বহুব্রীহি
D
অলুক দ্বন্দ্ব
বাংলা ভাষায় উপপদ তৎপুরুষ সমাস হলো এমন একটি সমাস যেখানে কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ, ক্রিয়ার অর্থপূর্ণ অংশের আগে থাকা পদটিকে উপপদ বলা হয় এবং কৃৎ-প্রত্যয় দ্বারা সমাস তৈরি হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
অগ্রে গমন করে যে → অগ্রগামী
এখানে 'গামী' স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহার হয় না। কেবল অগ্রে গামী বলা সম্ভব নয়; ব্যাক্য হবে 'অগ্রে গমন করে যে'। -
এরূপ উদাহরণ:
ধামা ধরে যে → ধামাধরা
ছেলে ধরে যে → ছেলেধরা -
উপপদ সনাক্ত করার নিয়ম:
কৃৎ-প্রত্যয়যুক্ত শব্দের আগে যদি কোন পদ থাকে, তাকে উপপদ বলা হয়। অথবা, যে পদের পরে ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেটিও উপপদ হিসেবে গণ্য হয়।
উদাহরণ: কুম্ভকার → কুম্ভ + √কৃ + অ
এখানে 'কুম্ভ' হলো উপপদ। অর্থাৎ কুম্ভ করে যে = কুম্ভকার, যা উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি নিত্য সমাসের সমস্তপদ?
Created: 1 month ago
A
সেতার
B
প্রত্যহ
C
গ্রামান্তর
D
সহোদর
সমাস হলো দুটি বা ততোধিক পদ একত্রে এসে নতুন অর্থবোধক পদ গঠন। সমাসের মধ্যে একটি বিশেষ ধরন হলো নিত্য সমাস।
নিত্য সমাসের বৈশিষ্ট্য
-
যেসব সমাসপদকে আবার মূল পদে ভাঙা যায় না।
-
পদগুলোর আদি রূপ লোপ পায়।
-
পদগুলোর অর্থ একত্র হয়ে নতুন অর্থ তৈরি করে।
সেতার → "সত্ + তার" থেকে এসেছে। ভাঙা যায়, তাই এটি নিত্য সমাস নয়।
-
প্রত্যহ → "প্রতি + অহ" (অহ = দিন)। এটি অব্যয়ীভাব সমাস, নিত্য সমাস নয়।
-
গ্রামান্তর → "গ্রাম + অন্তর" → অর্থ "অন্য গ্রাম"। এখানে "অন্তর" শব্দটি মূল রূপে ব্যবহৃত হয় না, অর্থ পরিবর্তিত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করেছে। এটি নিত্য সমাসের সমস্তপদ।
-
সহোদর → "সহ + উদর" (একই উদরজাত = ভাই/ভগ্নি)। এটি তৎপুরুষ সমাস।
সুতরাং, নিত্য সমাসের উদাহরণ গ্রামান্তর।
0
Updated: 1 month ago