‘পাঠক’ শব্দটি কোন শ্রেণির ধাতু দ্বারা গঠিত?
A
বিদেশি
B
সংস্কৃত
C
খাঁটি বাংলা
D
দেশি
উত্তরের বিবরণ
‘পাঠক’ শব্দটি সংস্কৃত ধাতু থেকে উদ্ভূত, যা পড়া বা অধ্যয়ন করার অর্থ প্রকাশ করে। এখানে শব্দটি মূল ধাতু থেকে রূপান্তরের মাধ্যমে গঠিত।
পঠ্ ধাতুর অর্থ হলো পড়া বা অধ্যয়ন করা।
এই ধাতুর সঙ্গে ণক প্রত্যয় যোগে পঠ্ + ণক = পাঠক হয়েছে।
‘পাঠক’ শব্দের অর্থ দাঁড়ায় যিনি পাঠ করেন বা পড়েন।
বাংলা ভাষায় এর ব্যবহার হয়েছে পড়ুয়ার অর্থে, যেমন— “পাঠক বই পড়ছে।”
যেহেতু শব্দটি সরাসরি সংস্কৃত ধাতু থেকে গঠিত, তাই এটি সংস্কৃতজাত শব্দ।
0
Updated: 15 hours ago
'ছাত্রদের কর্তব্য লেখাপড়া করা।' - বাক্যে 'কর্তব্য' শব্দটি কোন ধাতুযোগে গঠিত?
Created: 1 month ago
A
বাংলা ধাতু
B
বিদেশগাত ধাতু
C
সংস্কৃত ধাতু
D
প্রযোজক ধাতু
সংস্কৃত ধাতু হলো সেই ধাতু যা তৎসম ক্রিয়াপদের মূল অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, যেসব ক্রিয়াপদ সরাসরি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে এবং যার ধাতুই মূল ক্রিয়ার অংশ, সেগুলোকে সংস্কৃত ধাতু বলা হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
অক্ + অন = অঙ্কন: যেমন – ছোটদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিথু প্রথম হয়েছে।
দৃশ্ + য = দৃশ্য: যেমন – দুর্ঘটনার মর্মান্তিক দৃশ্য বর্ণনা করা যায় না।
কৃ + তব্য = কর্তব্য: যেমন – ছাত্রদের কর্তব্য হলো নিয়মিত লেখাপড়া করা।
হস্ + য = হাস্য: যেমন – অকারণ হাস্য-পরিহাস ত্যাগ কর।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি সংস্কৃত ধাতুর উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
ক্হ
B
ক্থ
C
নাচ্
D
ঘষ্
বাংলা ভাষায় মৌলিক ধাতুকে প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়—বাংলা ধাতু, সংস্কৃত ধাতু ও বিদেশি ধাতু।
যে সব ধাতু বা ক্রিয়ামূল সরাসরি সংস্কৃত থেকে আসেনি, সেগুলোকে বাংলা ধাতু বলা হয়।
উদাহরণ: কাট্, কাঁদ্, জান্, নাচ্, ঘষ্, কহ্ ইত্যাদি।
বাংলা ভাষায় প্রচলিত তৎসম ক্রিয়াপদের ধাতুকে সংস্কৃত ধাতু বলা হয়।
উদাহরণ: কৃ, গম্, ধূ, গঠ্, স্থা, ক্থ্ ইত্যাদি।
প্রধানত হিন্দি এবং কদাচিৎ আরবি–ফারসি ভাষা থেকে আগত ধাতুকে বিদেশাগত ধাতু বলা হয়।
উদাহরণ: ভিক্ষে মেগে খায়— এখানে ‘মাগ্’ ধাতু হিন্দি মাহু থেকে আগত।
যে সব ধাতুর আর বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়, সেগুলোকেই মৌলিক ধাতু বলা হয়। এগুলোকে সিদ্ধ ধাতু বা স্বয়ংসিদ্ধ ধাতুও বলা হয়।
উদাহরণ: চল্, পড়্, কর্, শো, হ্, খা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম ও দশম শ্রেণি, ২০১৯ সালের সংস্করণ
0
Updated: 2 months ago
