”পরীক্ষা” শব্দের ”পরি” উপসর্গটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
A
শেষ
B
বিশেষ
C
সম্যক
D
চতুর্দিক
উত্তরের বিবরণ
• ’পরীক্ষা” শব্দের ”পরি” উপসর্গটি ”সম্যক” অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
এছাড়াও,
”পরি” উপসর্গটি অন্য যেসব অর্থে ব্যবহৃত হয়:
• ”বিশেষ” অর্থে: পরিপক্ক, পরিপূর্ণ, পরিবর্তন।
• ”শেষ” অর্থে: পরিশেষ।
• ”সম্যক” অর্থে: পরিশ্রান্ত, পরীক্ষা, পরিমাণ।
• ”চতুর্দিক” অর্থে: পরিভ্রমণ, পরিমণ্ডল।
উল্লেখ্য,
- ”পরি” একটি তৎসম উপসর্গ।
- তৎসম উপসর্গ বিশটি, যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।

0
Updated: 2 months ago
'উপসর্গ' ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 1 month ago
A
অর্থতত্ত্ব
B
বাক্যতত্ত্ব
C
ধ্বনিতত্ত্ব
D
রূপতত্ত্ব
রূপতত্ত্ব ভাষার এমন একটি শাখা যেখানে শব্দের ক্ষুদ্রতম অর্থবোধক অংশ ও তার গঠনপ্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করা হয়। শব্দ রূপ দ্বারা গঠিত, তাই শব্দতত্ত্বকেও রূপতত্ত্ব বলা হয়ে থাকে।
-
রূপ হলো এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক সম্মিলন।
-
রূপের সমন্বয়ে শব্দ তৈরি হয়।
-
রূপতত্ত্বে মূলত শব্দ ও তার উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
এ আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত হয়: শব্দ, দ্বিরুক্ত শব্দ, বচন, সমাস, প্রত্যয়, উপসর্গ, অনুসর্গ, পদ-প্রকরণ, অনুজ্ঞা, ক্রিয়ার কাল, পুরুষ, লিঙ্গ, বচন, ধাতু ইত্যাদি।
-
রূপতত্ত্বে বিশেষ গুরুত্ব পায় শব্দগঠন প্রক্রিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'কদাকার' শব্দটি কোন উপসর্গযোগে গঠিত?
Created: 1 month ago
A
দেশি উপসর্গযোগে
B
বিদেশি উপসর্গযোগে
C
সংস্কৃত উপসর্গযোগে
D
কোনোটি নয়
•‘কদ’ খাঁটি বাংলা উপসর্গযোগে নিন্দিত অর্থে গঠিত শব্দ: কদবেল, কদাকার এবং কদর্য ইত্যাদি।
[অপশনে খাঁটি বাংলা উপসর্গ কথাটা লেখা না থাকায়, প্রশ্নটি 'কোনটিই নয়' সঠিক উত্তর হিসেবে গ্রহণ করা হলো।]
-------------------
• উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. খাটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যে সকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
• বিদেশি উপসর্গ:
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 month ago
'অঘাচণ্ডী' শব্দটি কোন উপায়ে গঠিত?
Created: 5 days ago
A
প্রত্যয় সাধিত
B
সমাস সাধিত
C
সন্ধি সাধিত
D
উপসর্গ সাধিত
‘অঘা’ উপসর্গের অর্থ হলো ‘বোকা’ বা ‘মূর্খ’, যা শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়ে সেই শব্দে অজ্ঞতা বা বোকামির ধারণা প্রকাশ করে। এই উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দগুলো সাধারণত নেতিবাচক অর্থ বহন করে।
-
যেমন— অঘারাম অর্থ ‘বোকা রাম’ বা ‘মূর্খ ব্যক্তি’।
-
অঘাচণ্ডী অর্থ ‘বোকা চণ্ডী’ বা ‘অবোধ নারী’।
-
এখানে ‘অঘা’ শব্দটি স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত না হয়ে অর্থবোধক উপসর্গ হিসেবে কাজ করছে।
-
এই উপসর্গ সাধারণত লোকভাষা ও প্রাচীন শব্দগঠনে ব্যবহৃত হয় এবং তা অপমানসূচক বা কৌতুকপ্রদ অর্থ সৃষ্টি করে।

0
Updated: 5 days ago