‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি জীবনানন্দ দাশ-এর কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে?
A
বনলতা সেন
B
ধূসর পাণ্ডুলিপি
C
রূপসী বাংলা
D
বনলতা সেন
উত্তরের বিবরণ
এই কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের গভীর দেশপ্রেম ও প্রকৃতিপ্রেমের প্রতিফলন। ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘রূপসী বাংলা’ থেকে নেওয়া হয়েছে, যেখানে তিনি স্বপ্নময় বাংলার রূপ ও মাটির টানকে তুলে ধরেছেন।
-
‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে, কবির মৃত্যুর পর।
-
কবিতায় কবি নিজের জন্মভূমিতে ফিরে আসার আকুলতা ব্যক্ত করেছেন—এ যেন আত্মার চিরন্তন প্রত্যাবর্তনের প্রতিচ্ছবি।
-
এই কাব্যগ্রন্থের অন্যান্য বিখ্যাত কবিতার মধ্যে রয়েছে ‘বনলতা সেন’, ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি’, ও ‘আবার ধান ফুটেছে’।
-
কবিতার ভাবধারা বাংলা প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের চিরন্তন সম্পর্ককে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে।
0
Updated: 16 hours ago
জীবনানন্দ দাশকে 'নির্জনতার কবি' আখ্যা দিয়েছেন কে?
Created: 1 day ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
বিষ্ণু দে
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কবি, যিনি প্রকৃতি, জীবন ও মানবমনের গভীর অনুভূতি তার কাব্যে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর কবিতায় প্রায়শই নির্জনতা, একাকীত্ব এবং ভাবনার গভীরতা প্রকাশ পেয়েছে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশিষ্ট সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু তাঁকে ‘নির্জনতার কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
জীবনানন্দের কাব্যে সরল ভঙ্গি, প্রকৃতির সঙ্গে মিলন এবং মানব জীবনের একাকীত্বের চিত্র অসাধারণভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তাঁর প্রবন্ধ ও কবিতায় নির্জনতার অনুভূতি শুধুমাত্র একাকীত্ব নয়, বরং আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক গভীরতার প্রতিফলন। ফলে সাহিত্য বিশ্লেষকের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই আখ্যা সঠিকভাবে তাঁর কবিতার ভাব ও স্বরূপকে নির্দেশ করে। তাই প্রশ্নের সঠিক উত্তর ‘বুদ্ধদেব বসু’।
0
Updated: 1 day ago
কোনটি জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয়?
Created: 2 weeks ago
A
ধূসর পান্ডুলিপি
B
ঝরা পালক
C
মহা পৃথিবী
D
বেলা শেষের গান
জীবনানন্দ দাশ বাংলা আধুনিক কবিতার অন্যতম প্রধান কবি, যিনি প্রকৃতি, একাকীত্ব, সময় ও অস্তিত্বের গভীর বোধকে তাঁর কবিতায় প্রকাশ করেছেন। তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলোতে মানবজীবনের অন্তর্গত নিঃসঙ্গতা, মাটির গন্ধ, এবং প্রকৃতির নান্দনিক রূপ ফুটে ওঠে। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে ‘বেলা শেষের গান’ জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয়, বরং এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গ্রন্থ।
জীবনানন্দ দাশের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো—
-
ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬): এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। এখানে সময়, মৃত্যু, প্রকৃতি ও একাকীত্বের বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলা কবিতায় আধুনিকতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এই গ্রন্থ।
-
ঝরা পালক (১৯২৭): এটি তাঁর প্রথম দিকের রচনা। এই গ্রন্থে রোমান্টিকতার ছোঁয়া থাকলেও তাতে পরবর্তী জীবনানন্দীয় চিন্তার বীজ পাওয়া যায়।
-
মহা পৃথিবী (১৯৪৪): দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও মানবসভ্যতার সংকটের প্রেক্ষাপটে লেখা এই গ্রন্থে কবি এক গভীর দার্শনিক বোধের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। মানবজীবনের ক্ষয় ও পুনর্জন্মের ভাবনাও এতে বিদ্যমান।
অন্যদিকে, ‘বেলা শেষের গান’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি সংগীত-সংকলন, যেখানে জীবনের শেষ প্রহরের ভাব, ঈশ্বরপ্রেম, ও মানবিক শান্তির আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। এই কারণে এটি জীবনানন্দ দাশের কোনো কাব্যগ্রন্থ নয়।
সারসংক্ষেপে বলা যায়—
-
‘ধূসর পান্ডুলিপি’, ‘ঝরা পালক’ ও ‘মহা পৃথিবী’— জীবনানন্দ দাশের মৌলিক ও বহুল পরিচিত কাব্যগ্রন্থ।
-
‘বেলা শেষের গান’— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি, জীবনানন্দ দাশের নয়।
অতএব, প্রদত্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর ঘ) বেলা শেষের গান।
0
Updated: 2 weeks ago
জীবননান্দ দাশকে 'নির্জনতার কবি' হিসেবে আখ্যায়িত করেন কে?
Created: 2 months ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বিহারীলাল চক্রবর্তী
D
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
জীবনানন্দ দাশ
-
উপাধি / অভিধা:
-
ধূসরতার কবি
-
তিমির হননের কবি
-
রূপসী বাংলার কবি
-
নির্জনতার কবি (বুদ্ধদেব বসু তাঁকে এভাবে আখ্যায়িত করেছেন)
-
-
ব্যক্তিত্ব:
-
সাদাসিধা মানুষ, জনতার কোলাহল থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করতেন।
-
আজীবন নিজেকে আড়াল করে রাখতে চেয়েছেন এবং সচেতনভাবে নিজের প্রসঙ্গে বিভ্রান্তিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন।
-
-
জীবন ও পরিবার:
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বরিশাল
-
আদি নিবাস: বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রাম
-
পিতা: সত্যানন্দ দাশ (স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক, ব্রহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক)
-
মাতা: কুসুমকুমারী দাশ (বিখ্যাত কবি)
-
-
সাহিত্যিক পরিচিতি:
-
রবীন্দ্রবিরোধী তিরিশের কাব্যধারার কবি
-
প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি (‘মৃত্যুর আগে’ – W. B. Yeats-এর The Falling of the Leaves এর সঙ্গে মিল)
-
মহাপৃথিবী (‘হায় চিল’ – Yeats-এর He reproves the Curlew এর সঙ্গে মিল)
-
বনলতা সেন (Edgar Allan Poe-এর To Helen এর প্রভাব) – ১৯৫৩ সালে নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলনে পুরস্কৃত
-
রূপসী বাংলা – ১৯৬০-এর দশকে জাতিসত্তা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় বাঙালি জনতাকে অনুপ্রাণিত করেছে
-
-
-
মৃত্যু: ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর, কলকাতা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago