‘লোকটি যদিও ধনী, তবুও সে কৃপণ’ কোন ধরনের বাক্য?
A
খণ্ড
B
যৌগিকসরল
C
সরল
D
জটিল
উত্তরের বিবরণ
বাক্যটি একটি জটিল বাক্য, কারণ এতে দুটি অংশ পরস্পরের উপর নির্ভরশীলভাবে যুক্ত হয়েছে। এখানে একটি অংশ শর্ত প্রকাশ করছে এবং অপরটি ফলাফল প্রকাশ করছে, যা জটিল বাক্যের বৈশিষ্ট্য।
বাক্যটির বিশ্লেষণঃ
• “যদিও ধনী” অংশটি একটি অধীন উপবাক্য, যা মূল বাক্যের উপর নির্ভরশীল।
• “তবুও সে কৃপণ” অংশটি মূল বাক্য, যা সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করছে।
• “যদিও...তবুও” সংযোজক পদ দুটি দুইটি ভিন্ন কাজ করে—একটি শর্ত প্রকাশ করে, অপরটি তার ফলাফল বা বিপরীত দিক নির্দেশ করে।
• এই ধরনের সংযোজক ব্যবহারে বাক্যটি সরল বা যৌগিক নয়; বরং তা জটিল গঠন ধারণ করে।
0
Updated: 16 hours ago
'তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা সখিনা বিবির কপাল ভাঙল।' এটি কোন বাক্য?
Created: 2 months ago
A
সরল
B
মিশ্র বা জটিল
C
যৌগিক
D
সংযুক্ত
• তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা, সখিনা বিবির কপাল ভাঙ্গল।- বাক্যটি একটি জটিল বাক্য।
• জটিল বাক্য:
একটি মূল বাক্যের অধীনে এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য বা বাক্যাংশ থাকলে জটিল বাক্য তৈরি হয়।
যেমন:
- কোথাও পথ পেলাম না বলে তোমার কাছে এসেছি।
• জটিল বাক্যে ‘বলে’ শব্দটি ব্যবহারের নিয়ম:
জটিল বাক্যে একটি বাক্য আরেকটি বাক্যের সঙ্গে সাপেক্ষ অবস্থায় থাকবে। এখানে ‘বলে’ অনুসর্গ দুটি বাক্যকে একটির সঙ্গে আরেকটির সাপেক্ষ অবস্থা সৃষ্টি করেছে। ‘বলে’ ক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি, ক্রিয়াবাচক অনুসর্গ হিসেবে বসে একটি বাক্যের সঙ্গে আরেকটি বাক্যের নির্ভরশীলতা বা সাপেক্ষ অবস্থা বুঝিয়েছে। যদি ‘বলে’ ক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হতো তবে সেটি সরল বাক্য হতো।
অব্যশই অব্যশই মনে রাখতে হবে : বলে দ্বারা যদি ক্রিয়া না বোঝায় তবে ধরে নিতে হবে সেটি ক্রিয়া হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হয়নি ক্রিয়াবাচক অনুসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, আর অবশ্যই বাক্যটি জটিল বাক্য হবে। প্রসঙ্গত ক্রিয়াবাচক অনুসর্গগুলো দেখে নেই।
[ক্রিয়াজাত অনুসর্গ : ক্রিয়া থেকে নির্মিত অনুসর্গকে ক্রিয়াজাত অনুসর্গ বলে। এ জাতীয় অনুসর্গ হলো : বলে, করে, থেকে, দিয়ে, ধরে, হতে ইত্যাদি। যেমন : ভালো করে পড়াশুনা করো। মন দিয়ে কাজ করো।]
কয়েকটি উদাহরণ লক্ষ করি, যে উদাহরণগুলো প্রতিযোগিতমূলক পরীক্ষায় এসেছে।
- ‘তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা সাকিনা বিবির কপাল ভাঙল।’ [৩৩তম বিসিএস]
- মা ছিল না বলে কেউ তার চুল বেঁধে দেয়নি। [৩২তম বিসিএস]
- তুমি আসবে বলে আমি অপেক্ষা করছি।
উল্লেখ্য,
মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণের ২০১৯ সংস্করণে জটিল বাক্যকে মিশ্র বাক্যও বলা হয়েছে।
এই ক্ষেত্রে দুটোই অপশনে থাকলে জটিল বাক্য উত্তর করাটা বেশি যুক্তিযুক্ত।
উৎস: মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী রচিত নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ গ্রন্থ।
0
Updated: 2 months ago
"আমি বাংলা বিভাগের ছাত্র।" - বাক্যটির জটিল রূপ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আমি যে বাংলা বিভাগের ছাত্র, তা সবাই জানে।
B
আমার বিভাগের নাম বাংলা।
C
আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা।
D
আমি একটি বিভাগের ছাত্র এবং তার নাম বাংলা।
সঠিক উত্তর: গ) আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা।
ব্যাখ্যা:
মূল বাক্য: "আমি বাংলা বিভাগের ছাত্র।" — এটি একটি সরল বাক্য (একটি উদ্দেশ্য + একটি বিধেয়)।
জটিল বাক্যের বৈশিষ্ট্য:
-
একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক আশ্রিত খণ্ডবাক্য থাকে।
-
সংযোজক শব্দ (যে, যা, যার, যেখানে ইত্যাদি) দ্বারা যুক্ত থাকে।
-
সাপেক্ষ সর্বনাম: যে-সে, যিনি-তিনি, যারা-তারা, যা-তা ইত্যাদি।
-
সাপেক্ষ যোজক: যদি-তবে, যেহু-সেহু, যখন-তখন, যত-তত, যেমন-তেমন ইত্যাদি।
এগুলো ব্যবহার করে সরল বাক্যকে জটিল বাক্যে রূপান্তর করা যায়।
সুতরাং, এই উদাহরণে "আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা" একটি জটিল বাক্য।
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'যতই করিবে দান, তত যাবে বেড়ে।' কোন ধরনের বাক্য?
Created: 2 months ago
A
সরল
B
জটিল
C
যৌগিক
D
অনজ্ঞাসূচক
মিশ্র বা জটিল বাক্য
সংজ্ঞা:
-
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের সঙ্গে এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে।
আশ্রিত খণ্ডবাক্য তিন প্রকার
-
বিশেষ্য স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য
-
বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য
-
ক্রিয়া বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য
ক্রিয়া-বিশেষণ স্থানীয় খণ্ডবাক্য (Adverbial clause)
-
সংজ্ঞা: যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য ক্রিয়াপদের স্থান, কাল ও কারণ নির্দেশক অর্থে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ:
-
যতই করিবে দান, তত যাবে বেড়ে।
-
তুমি আসবে বলে আমি অপেক্ষা করছি।
-
যেখানে আকাশ আর সমুদ্র একাকার হয়ে গেছে, সেখানেই দিকচক্রবাল।
-
সূত্র:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 2 months ago