নাসিক্য ব্যঞ্জন ধ্বনির উদাহরণ কোনটি?
A
শ
B
হ
C
স
D
ম
উত্তরের বিবরণ
• নাসিক্য ব্যঞ্জন:
- যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে ফুসফুস থেকে আসা বাতাসমুখের মধ্যে প্রথমে বাধা পায় এবং নাক ও মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়, সেসব ধ্বনিকে নাসিক্য ব্যঞ্জন বলে।
যেমন:
- ম, ন, ঙ নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনি।
অন্যদিকে,
- স, শ, হ উষ্ম ধ্বনির উদাহরণ।
উল্লেখ্য,
- যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে দুটি বাক্সত্যঙ্গ কাছাকাছি এসে নিঃসৃত বায়ুতে ঘর্ষণ সৃষ্টি করে, সেগুলোকে উষ্ম ব্যঞ্জন বলে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ৯ম-১০ম শ্রেণি, ২০২৫ সালের সংস্করণ।

0
Updated: 2 months ago
'ফল' শব্দের 'ফ' কোন ধরনের ব্যঞ্জন?
Created: 1 month ago
A
মূর্ধা স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন
B
ওষ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন
C
কণ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন
D
দন্ত স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন
• স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন:
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় দুটি বাক্প্রত্যঙ্গ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলোকে স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন বলা হয়। এগুলোকে স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি নামেও পরিচিত।
উদাহরণ:
ফল, থলে, ঠাণ্ডা, ছুরি, খেলা — এই শব্দগুলির ফ, থ, ঠ, ছ, খ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনি।
উচ্চারণ স্থানের ভিত্তিতে স্পৃষ্ট ব্যঞ্জনকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়:
-
ওষ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: প, ফ, ব, ভ
-
দন্ত স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ত, থ, দ, ধ
-
মূর্ধা স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ট, ঠ, ড, ঢ
-
তালু স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: চ, ছ, জ, ঝ
-
কণ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ক, খ, গ, ঘ

0
Updated: 1 month ago
বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা কয়টি?
Created: 1 week ago
A
আটটি
B
ছয়টি
C
দশটি
D
চারটি
বাংলা বর্ণমালায় বর্ণগুলোর উচ্চারণে ব্যবহৃত মাত্রার পরিমাণ অনুসারে বর্ণকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়—অর্ধমাত্রার বর্ণ, মাত্রাহীন বর্ণ ও পূর্ণমাত্রার বর্ণ। এই শ্রেণিবিন্যাস বর্ণের উচ্চারণগত দৈর্ঘ্য ও ধ্বনিগত প্রকৃতি বোঝাতে সাহায্য করে।
তথ্যসমূহ:
-
অর্ধমাত্রার বর্ণ:
-
বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রার বর্ণ সংখ্যা ৮টি।
-
ব্যঞ্জনবর্ণে অর্ধমাত্রার বর্ণ সংখ্যা ৭টি।
-
স্বরবর্ণে অর্ধমাত্রার বর্ণ সংখ্যা ১টি।
-
-
মাত্রাহীন বর্ণ:
-
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ সংখ্যা ১০টি।
-
ব্যঞ্জনবর্ণে মাত্রাহীন বর্ণ সংখ্যা ৬টি।
-
স্বরবর্ণে মাত্রাহীন বর্ণ সংখ্যা ৪টি।
-
-
পূর্ণমাত্রার বর্ণ:
-
ব্যঞ্জনবর্ণে পূর্ণমাত্রার বর্ণ সংখ্যা ২৬টি।
-
স্বরবর্ণে পূর্ণমাত্রার বর্ণ সংখ্যা ৬টি।
-
অতিরিক্ত তথ্য:
অর্ধমাত্রার বর্ণে উচ্চারণের সময় শব্দের দৈর্ঘ্য ছোট ও সংক্ষিপ্ত হয়; মাত্রাহীন বর্ণে উচ্চারণ আরও দ্রুত হয় এবং তা প্রায় ক্ষণস্থায়ী; আর পূর্ণমাত্রার বর্ণ উচ্চারণে দীর্ঘ ও স্পষ্ট ধ্বনি সৃষ্টি করে। এই শ্রেণিবিন্যাস বাংলা ভাষার ধ্বনিতত্ত্বে উচ্চারণের তাল ও স্বরভঙ্গি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 week ago
কোনটি মহাপ্রাণ ব্যঞ্জন?
Created: 1 month ago
A
শ
B
ড়
C
ছ
D
স
• ধ্বনি সৃষ্টিতে বায়ুর প্রবাহ অনুযায়ী বিভাজন:
ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় বায়ুপ্রবাহের বেগ অনুযায়ী দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়: অল্পপ্রাণ এবং মহাপ্রাণ।
1. অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জন:
যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে নির্গত বায়ুপ্রবাহের মাত্রা অপেক্ষাকৃত কম, সেগুলোকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলা হয়।
উদাহরণ: প, ব, ত, দ, স, ট, ড, ড়, চ, জ, শ, ক, গ ইত্যাদি।
2. মহাপ্রাণ ব্যঞ্জন:
যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে নির্গত বায়ুপ্রবাহ অপেক্ষাকৃত বেশি, সেগুলোকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলা হয়।
উদাহরণ: ফ, ভ, থ, ধ, ঠ, ঢ, ঢ়, ছ, ঝ, খ, ঘ, হ ইত্যাদি।

0
Updated: 1 month ago