‘ঝিনুক থেকে মুক্তা মেলে’- এখানে ‘ঝিনুক’ কোন কারক?
A
সম্প্রদান কারক
B
কর্ম কারক
C
অধিকরণ কারক
D
অপাদান কারক
উত্তরের বিবরণ
বাক্যটি ‘ঝিনুক থেকে মুক্তা মেলে’-এ মূলত উৎস বা বিচ্ছিন্নতার ভাব প্রকাশ পেয়েছে। এখানে “ঝিনুক থেকে” অংশটি নির্দেশ করছে যে মুক্তা ঝিনুকের মধ্য থেকে বের হয় বা উৎসারিত হয়। তাই এই ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শব্দগুচ্ছটি অপাদান কারক নির্দেশ করছে।
- অপাদান কারক সেই কারক, যা থেকে কোনো কিছু পৃথক হয়, বের হয় বা উৎপন্ন হয়।
- “থেকে” অব্যয়টির মাধ্যমে এ কারকের পরিচয় বোঝা যায়।
এখানে “ঝিনুক থেকে” মানে ঝিনুকের মধ্য হইতে বা ঝিনুক হতে, যা স্পষ্টতই বিচ্ছিন্নতার ভাব প্রকাশ করছে।
অন্য বিকল্পগুলো যেমন সম্প্রদান, কর্ম বা অধিকরণ কারকের সঙ্গে এই ব্যবহারের মিল নেই, কারণ এগুলো ক্রিয়াপ্রভাব, দানগ্রহণ বা অবস্থান নির্দেশ করে, উৎস নয়।
0
Updated: 16 hours ago
খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ওষুধ খাবে- কোন কারক?
Created: 1 month ago
A
করণ কারক
B
অপাদান কারক
C
অধিকরণ কারক
D
কর্মকারক
অধিকরণ কারক: ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে (সময় এবং স্থানকে) অধিকরণ কারক বলে। অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোন বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়। খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ওষুধ খাবে- এখানে ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান বা আধারকে বোঝাচ্ছে। এবং দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক, হচ্ছে তৃতীয়া বিভক্তি।
তাই, খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ওষুধ খাবে- অধিকরণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তির উদাহরণ। অধিকরণ কারকে বিভক্তির প্রয়োগ: ক. প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি: আমি ঢাকা যাব। বাবা বাড়ি নেই। সারারাত বৃষ্টি ছিলো। খ. তৃতীয়া বিভক্তি: খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ঔষধ খাবে। গ. পঞ্চমী বিভক্তি: বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়। ঘ. সপ্তমী বা তে বিভক্তি: এ বাড়িতে কেউ নেই।
0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ কোন কারক বাদ দিতে চেয়েছিলেন?
Created: 1 month ago
A
করণ কারক
B
সম্প্রদান কারক
C
অপাদান কারক
D
অধিকরণ কারক
বাক্যের ক্রিয়াপদের সাথে নামপদের যে সম্পর্ক স্থাপন করা হয় তাকে কারক বলা হয়। কারকের বিভিন্ন প্রকার আগে ছয়টি বলে জানা যেত, তবে সাম্প্রতিক পরিবর্তনের সঙ্গে কিছু পরিবর্তন এসেছে।
-
কারকের প্রাথমিক ছয়টি প্রকার হলো: কর্তৃ কারক, কর্ম কারক, করণ কারক, অপাদান কারক, সম্প্রদান কারক, অধিকরণ কারক।
-
মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (২০২১ সংস্করণ) অনুসারে, সম্প্রদান কারককে বাদ দেওয়া হয়েছে।
-
নতুন সংস্করণে কারকের ছয়টি প্রকার হলো: কর্তৃ কারক, কর্ম কারক, করণ কারক, অপাদান কারক, অধিকরণ কারক, সমন্ধ কারক।
-
ড. হায়াৎ মামুদ তার ভাষা শিক্ষা বইয়ে একটি নিমিত্ত কারক নামে নতুন শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
-
আধুনিক ব্যাকরণ এবং হায়াৎ মামুদসহ অনেক বইয়ে সম্প্রদান কারক নেই, কারণ এর তাত্ত্বিক বৈধতা স্বীকৃত নয়।
-
বাংলায় সম্প্রদান কারকের প্রয়োজনীয়তা নেই, এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ বহু ভাষাবিদ মন্তব্য করেছেন।
-
নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বই (২০২১) অনুসারে, সম্প্রদান কারককে কর্ম কারকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এবং সম্বন্ধ পদকে সম্বন্ধ কারক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
‘সবাই মিলে বিদ্যালয় পরিষ্কার করল।' - ‘সবাই' কোন কারকের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
কর্তৃকারক
B
কর্মকারক
C
করণ কারক
D
অপাদান কারক
• কর্তৃকারক:
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তা ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক।
ক্রিয়াকে ‘কে/কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক।
যেমন:
-
সবাই মিলে বিদ্যালয় পরিষ্কার করল।
-
এখানে ‘সবাই’ হলো কর্তৃকারকের উদাহরণ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম ও দশম শ্রেণি (২০১৯)।
0
Updated: 1 month ago