ধ্বনি উচ্চারণে মানবশরীরের যেসব প্রত্যঙ্গ জড়িত সেগুলোকে একত্রে কী বলে?
A
গলনালি
B
বাগযন্ত্র
C
স্বরযন্ত্র
D
শ্বাসনালী
উত্তরের বিবরণ
মানবদেহে ধ্বনি উৎপাদন একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন অঙ্গ একসাথে কাজ করে। এই অঙ্গগুলোর সম্মিলিত নাম বাগযন্ত্র, যা উচ্চারণের জন্য অপরিহার্য।
- বাগযন্ত্রে মূলত মুখ, নাক, জিহ্বা, ঠোঁট, দাঁত, তালু, গলা ও স্বরযন্ত্র অন্তর্ভুক্ত থাকে।
এই অঙ্গগুলো ধ্বনির প্রবাহ ও রূপ নির্ধারণ করে—যেমন জিহ্বার অবস্থান বা ঠোঁটের নড়াচড়া ধ্বনির প্রকৃতি বদলায়। - স্বরযন্ত্র কেবলমাত্র স্বরধ্বনি উৎপাদনে ভূমিকা রাখে, কিন্তু সব ধ্বনি গঠনে অংশ নেয় না।
- শ্বাসনালী ও গলনালি শ্বাসপ্রশ্বাসে সাহায্য করলেও ধ্বনির রূপ নির্ধারণে তাদের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
তাই ধ্বনি উচ্চারণে সক্রিয় সব অঙ্গের সম্মিলিত নামই বাগযন্ত্র।
0
Updated: 16 hours ago
বাংলা ভাষায় মাত্রাহীন বর্ণ কয়টি?
Created: 1 week ago
A
৮টি
B
১০টি
C
১২টি
D
১৬টি
বাংলা ভাষার ধ্বনিতত্ত্বে বর্ণসমূহ তাদের উচ্চারণ ও গঠনগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভিন্নভাবে শ্রেণিবদ্ধ। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণি হলো মাত্রাহীন বর্ণ, যেগুলোর উচ্চারণে কোনো সময়কাল বা ‘মাত্রা’ ব্যয় হয় না। বাংলা ভাষায় এই মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা মোট ১০টি, যা ধ্বনিগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা বর্ণমালায় দুটি প্রধান ধ্বনি-প্রকার রয়েছে— স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ। স্বরবর্ণগুলো উচ্চারণের সময় মুখগহ্বর খোলা থাকে এবং বাতাসে কোনো বাধা সৃষ্টি হয় না, ফলে এগুলো সাধারণত মাত্রাযুক্ত। কিন্তু কিছু ব্যঞ্জনবর্ণ এমন আছে যেগুলোর উচ্চারণের সময় কোনো স্বরধ্বনি যুক্ত হয় না এবং শব্দে এরা মাত্রাহীন অবস্থায় থাকে।
এই মাত্রাহীন বর্ণগুলো হলো— ক, খ, গ, ঘ, চ, ছ, ট, ঠ, ত, থ।
এগুলোর উচ্চারণে স্বরবর্ণের মতো দীর্ঘায়িত ধ্বনি হয় না, বরং স্বল্প ও সংক্ষিপ্ত আঘাতের মাধ্যমে উচ্চারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, “কমল”, “ছাতা”, “ঠান্ডা” প্রভৃতি শব্দে দেখা যায় যে এই বর্ণগুলো শব্দের শুরুতে বা মাঝখানে অবস্থান করলেও স্বরধ্বনি ছাড়াই উচ্চারিত হয়।
বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এই বর্ণগুলোকে অল্পপ্রাণ ও মাত্রাহীন ধ্বনি বলা হয়। এদের উচ্চারণের সময় মুখগহ্বরের বায়ুপ্রবাহ এক মুহূর্তে থেমে যায়, তাই এগুলোকে ধ্বনিগতভাবে হালকা বা সংক্ষিপ্ত ধ্বনি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ কারণেই এদের মাত্রাহীন বলা হয়।
এই শ্রেণিবিন্যাস বাংলা ছন্দ ও কাব্যতত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কবিতায় মাত্রা গণনার সময় এই বর্ণগুলোকে একক ধ্বনি হিসেবে ধরা হয় না, কারণ এগুলো কোনো স্বরমাত্রা বহন করে না। ফলে মাত্রাবৃত্ত ছন্দে সঠিক ছন্দরূপ বজায় রাখতে মাত্রাহীন বর্ণের উপস্থিতি বিশেষভাবে বিবেচিত হয়।
অন্যদিকে, স্বরবর্ণ এবং কিছু ব্যঞ্জনবর্ণ যেমন ম, ন, ল, র, ব, দ, ধ, য ইত্যাদি উচ্চারণের সময় স্বরধ্বনি যুক্ত থাকে, তাই সেগুলো মাত্রাযুক্ত বর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
অতএব, বাংলা ভাষায় মোট ১০টি মাত্রাহীন বর্ণ বিদ্যমান, এবং এই বর্ণগুলো ভাষার উচ্চারণ ও ছন্দরচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো — খ) ১০টি।
0
Updated: 1 week ago
বাগযন্ত্রের অংশ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
স্বরযন্ত্র
B
ফুসফুস
C
দাঁত
D
উপরের সবকটি
বাগ্যন্ত্র হলো ধ্বনি উৎপাদনের জন্য যেসব প্রত্যঙ্গ ব্যবহৃত হয়, তাদের সমষ্টি। এটি মানবদেহের ফুসফুস থেকে শুরু করে ঠোঁট পর্যন্ত সমস্ত অংশকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা ধ্বনি উচ্চারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
বাগ্যন্ত্রের মূল অংশগুলো হলো:
-
ফুসফুস
-
শ্বাসনালি
-
স্বরযন্ত্র
-
জিভ
-
আলজিভ
-
তালু
-
মূর্ধা
-
দন্তমূল
-
ওষ্ঠ
-
নাসিকা
-
দাঁত
0
Updated: 1 month ago
বর্ণ হচ্ছে-
Created: 5 months ago
A
শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশ
B
একসঙ্গে উচ্চারিত ধ্বনিগুচ্ছ
C
ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক
D
ধ্বনির শ্রুতিগ্রাহ্য রূপ
ধ্বনি ও বর্ণ:
ধ্বনির প্রতীককে বর্ণ বলা হয়। বর্ণ কানে শোনার বিষয়কে চোখে দেখতে সাহায্য করে। ভাষার সকল বর্ণকে মিলিয়ে বর্ণমালা গঠন হয়।
বাংলা বর্ণমালা:
বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি বর্ণ রয়েছে। যার মধ্যে স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি।
মাত্রাহীন বর্ণ:
বাংলা বর্ণমালায় মোট ১০টি মাত্রাহীন বর্ণ আছে। এর মধ্যে ৪টি স্বরবর্ণ (এ, ঐ, ও, ঔ) এবং ৬টি ব্যঞ্জনবর্ণ (ঙ্, ঞ্, ৎ, ং, ঃ, ঁ)।
অর্ধমাত্রা বর্ণ:
অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮টি। যেগুলোর মধ্যে ১টি স্বরবর্ণ (ঋ) এবং ৭টি ব্যঞ্জনবর্ণ (খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ) রয়েছে।
পূর্ণমাত্রা বর্ণ:
পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২টি, যার মধ্যে ৬টি স্বরবর্ণ এবং ২৬টি ব্যঞ্জনবর্ণ।
উৎস: বাংলা দ্বিতীয় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 5 months ago