‘দন্ত্য বর্ণ” কোনগুলো?
A
প, ফ, ব, ভ
B
ট, ঠ, ড, ঢ
C
ত, থ, দ, ধ
D
ক, খ, গ, ঘ
উত্তরের বিবরণ
দন্ত্য বর্ণ এমন কিছু ব্যঞ্জনবর্ণ যেগুলো উচ্চারণের সময় জিহ্বার আগা ওপরের দাঁতে স্পর্শ করে। তাই এদের উচ্চারণে দাঁতের সক্রিয় ভূমিকা থাকে। এই বৈশিষ্ট্যের জন্যই এদের বলা হয় দন্ত্য বর্ণ।
ত, থ, দ, ধ বর্ণগুলো দন্ত্য কারণ—
-
এদের উচ্চারণে জিহ্বার অগ্রভাগ ওপরের দাঁতে ঠেকে ধ্বনি উৎপন্ন হয়।
-
এই বর্ণগুলোর শব্দধ্বনি স্পষ্ট ও দাঁতের ঘর্ষণজাত।
-
বাংলা বর্ণমালায় এগুলো ব্যঞ্জনধ্বনির চতুর্থ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত।
-
অন্যান্য বর্ণ যেমন ট, ঠ, ড, ঢ হলো মূর্ধন্য, আর প, ফ, ব, ভ হলো ওষ্ঠ্য, যা দাঁতের সাহায্যে উচ্চারিত হয় না।
তাই দন্ত্য বর্ণ বলতে ত, থ, দ, ধ-কেই বোঝায়।
0
Updated: 16 hours ago
'উদর সম্পর্কিত' এক কথায় কী বলে?
Created: 2 months ago
A
ঔদনিক
B
ঔদ্ধারিক
C
ঔদবাহিক
D
ঔদরিক
ঔদরিক
-
প্রকার: বিশেষণ পদ
-
অর্থ: উদর-সম্বন্ধীয়, উদরসর্বস্ব, উদরপরায়ণ, পেটুক
-
উদাহরণ: ‘উদর সম্পর্কিত’ বিষয়কে এক কথায় বলা যায় ঔদরিক।
অন্যান্য সংশ্লিষ্ট শব্দ:
-
ঔদনিক: পাচক; সূপকার
-
ঔদবাহিক: বিবাহসংক্রান্ত, বৈবাহিকসূত্রে প্রাপ্ত
-
ঔদ্ধারিক: উদ্ধারবিষয়ক, ঋণ পরিশোধসংক্রান্ত
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান
0
Updated: 2 months ago
'নবছিদ্র' শব্দটির উচ্চারণে কয়টি অক্ষর পাওয়া যায়?
Created: 2 months ago
A
১টি
B
২টি
C
৩টি
D
৪টি
উত্তর: খ) ৩ টি অক্ষর পাওয়া যায়।
ব্যাখ্যা:• অক্ষর:এর ইংরেজি নাম - syllable. অল্প প্রয়াসে যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ একবারে উচ্চারিত হয় তাকে অক্ষর বলে। তাই একে শব্দাংশ ও বলা হয়।
অক্ষর মূলত দুই প্রকার।যথা-- মুক্তাক্ষর: টানা যাবে না (যেমন- ক/লা)- বদ্ধাক্ষর: টানা যাবে (যেমন- দিন, রাত)
যেমন: 'বিশ্ববিদ্যালয়' শব্দে ৫টি অক্ষর রয়েছে (বি + শ্ব + বি + দ্যা + লয়)।
'নবছিদ্র' শব্দের উচ্চারণ হল: নবোছিদ্রো।
'নবছিদ্র' শব্দটির উচ্চারণ বিশ্লেষণ:- নবো (প্রথম অক্ষর);- ছিদ্ (দ্বিতীয় অক্ষর);- রো (তৃতীয় অক্ষর)।
উৎস: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান; বাংলা কবিতার ছন্দ বিশ্লেষণ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
B
তৎসম শব্দবহুল।
C
সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে।
D
বক্তৃতা ও আলাপ-আলোচনার উপযোগী।
সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য নয়— বক্তৃতা ও আলাপ-আলোচনার উপযোগী হওয়া। সাধু রীতি মূলত লেখ্য ভাষায় ব্যবহার হয় এবং এর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
সাধু রীতি
-
বাংলা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
-
এ রীতি গুরুগম্ভীর এবং তৎসম শব্দবহুল।
-
সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য অনুপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
চলিত রীতি
-
চলিত রীতি পরিবর্তনশীল। একশ বছর আগে যে চলিত রীতি শিষ্ট ও ভদ্রজনের কথ্য ভাষা হিসেবে প্রচলিত ছিল, বর্তমানে তা পরিবর্তিত রূপ লাভ করেছে।
-
এ রীতি তদ্ভব শব্দবহুল।
-
চলিত রীতি সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য। বক্তৃতা, আলাপ-আলোচনা ও নাট্যসংলাপের জন্য এটি বেশি উপযোগী।
-
সাধু রীতির সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত হয়ে সহজতর রূপ গ্রহণ করে। বহু বিশেষ্য ও বিশেষণেও একই রকম পরিবর্তন ঘটে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago